Saturday, August 13, 2016

বিরহ

থাকো না আর কিছুক্ষন
ভালবেসে আবেশে মন
যেন হারায় হারায় প্রতিখন
শুধুই হারতে চায় এই মন

দ্রুত লয়ে কেন যে বয়ে যায়
অধরা জড়ানো মোড়ানো ক্ষন
তুমি কি শুনছো রিনিকিঝিনি
সেই ঝিলমিল করা অনুরণন

চোখ বোজা আর খুলে থাকা
আর কি যায় কিছু দেখা
বিরহে পোড়াও তুমি শুধু
নিজে কি পোড়ো না বধু

Sunday, August 07, 2016

Sharaab or Khuda

These three poets are legendary in  Urdu literature as also their following couplets.

The poets Ghalib(1797-1869), Iqbal(1877-1938) and Faraz(1931-2008) present their views on the universality of God in the couplets.

It was not a feud. At best you can call it a poetic difference of opinion by intellectual and witty minds, spread across centuries.

Ghalib started it: In the 19th century , it was a bold statement. But then Ghalib was never known for meekness or following the crowd.

“Zahid, sharaab peene de masjid mein baith kar
Ya wo jagah bataa, jahaan Khuda nahin”

[Let me drink in a mosque; or tell me the place where there is no God.']

Allama Iqbal was not convinced and decided to reply about half a century later. So in the late 19th-early 20th  century, his poetic reply to Ghalib

“Masjid Khuda ka ghar hai, peene ki jagah nahin
Kaafir ke dil mein jaa, wahaan khuda nahin”

Mosque is the abode of God, not a place to drink. Go to the heart of a non
-believer because there God is not.

Faraz had the last word. (Later half of 19th century) .

“Kaafir ke dil se aaya hun, main ye dekh kar Faraz,
Khuda maujood hai wahaan, par usey pata nahin”

[I have returned from the heart of the disbeliever and i have observed : God is present in his heart too, but he just doesn’t know it. (he is ignorant/sleeping)

Tuesday, August 02, 2016

গল্প-৪

দুই বন্ধু প্রতিদিন বিকালে নৌকা ভাড়া নিয়ে মাছ শিকারে বের হয় …
আজ তাদের ভাগ্য বড়ই প্রশন্ন, মাত্র এক ঘন্টা এর মধ্যে ৩০-৩৫ টা মাছ ধরতে পারল এবং আশেপাশে ভাল করে তাকিয়ে দেখে বুঝতে পারল এই জায়গাটা এখনও অপর শিকারীদের কাছে অপরিচিত।
প্রথম বন্ধু: এটা মাছ ধরার জন্যে খুবই ভাল তুই এই স্হানটা ভালভাবে চিহ্ন দিয়ে রাখ।
দ্বিতীয় বন্ধু: ঠিক আছে।
.
পরদিন ঘাটে এসে …
প্রথম বন্ধু : গতকালকের জায়গাটা চমৎকার ছিল, চল ওখানে সরাসরি যাই। তুই ভাল ভাবে চিহ্ন দিয়ে রেখেছিলিতো?
দ্বিতীয় বন্ধু : অবশ্যই, আমি নৌকার নীচে এমনভাবে “X” চিহ্ন দিয়ে রেখেছি যাতে পানিতে কোনভাবে ধুয়েযেতে না পারে।
প্রথম বন্ধু : (বন্ধুর বোকামী দেখে হতবাক) ওরে গাধা, এটা কি করেছিস? আজ আমরা যে ঐ নৌকা ভাড়া পাব তোকে কে নিশ্চিত করেছে।

মোরাল অব দ্যা ষ্টোরী …
সঠিক সিদ্ধান্ত ও সঠিকভাবে কাজের সমন্নয়ের অভাব আপনার সর্বোচ্চ পরিশ্রমকে অনেক সময় হাস্যকর করে তুলতে পারে।

Monday, August 01, 2016

গল্প-৩

এক সুন্দরী বিক্রয়কর্মী, অফিস সহকারী ও তাদের পরিচালক অফিস বিরতীতে একত্রে মধ্যাহ্নভোজে বেড়িয়েছে। পথে হঠাৎ এক প্রাচীন তৈল প্রদীপ পড়ে থাকতে দেখতে পায়, স্বভাবগতভাবে বিক্রয়কর্মী অতি উৎসাহের সাথে এগিয়ে কিছু না ভেবেই আলতো করে পাশে লেগে থাকা ধুলা হাত দিয়ে মুছতে থাকে।
বিশাল এক দৈত্য বেড়িয়ে এল …
দৈত্য: আমি তিনটি ইচ্ছা পূরনে সক্ষম, তবে তোমরা তিনজন হওয়াতে প্রত্যেকে একটা করে ইচ্ছা প্রকাশ কর।
বিক্রয়কর্মী: আমি প্রথম … প্লিজ, … আমি বাহামা যেতে চাই, জগৎ সংসারের সকল চিন্তা ভুলে সমুদ্রস্হানের স্বাদ পেতে চাই।
…. ছুহ … … নিমেশে অদৃশ্য হয়ে গেল
অফিস সহকারী: এবার আমি, আমি হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের সমুদ্রতটে যেতে চাই সাথে থাকবে পছন্দের ম্যাসেজ, অফুরান পিনা কলোডাস ও আমার প্রিয়তমা …
… শেষ হবার সাথে সাথে … ছুহ … অদৃশ্য …
দৈত্য: এবার তোমার পালা (পরিচালক এর দিকে তাকিয়ে)
পরিচালক: (একটু বিরক্তির সাথে ভ্রু কুচকে) অফিসের মধ্যাহ্নভোজের বিরতী শেষ হবার সাথে সাথে আমার দুইজনকে একসাথে অফিসে দেখতে চাই।

মোরাল অব দ্যা ষ্টোরী …
প্রথম মতামতটা বসের জন্যে সংরক্ষিত রাখুন।

গল্প-২

চমৎকার রোদ্দজ্বল সকালে নিজ গর্তের একটু সামনে এক ছোট খরগোশ চোখের সামনে এক ভারী চশমা লাগিয়ে টস-টকাশ-টস … টস-টকাশ-টস করে পুরানো এক টাইপরাইটারে শব্দ করে চলেছে।
শব্দে আগ্রহী হয়ে সকালে হাঁটতে বের হওয়া নিঃসংগ শিয়াল এগিয়ে এল …
শিয়াল: কিরে ব্যটা, সাত-সকালে এমন পথের মাঝে কি করছিস?
খরগোশ: (গম্ভীর গলায়) আহা বিরক্ত করনা, আমি একটা থিসিস এর উপর কাজ করছি।
শিয়াল: (একটু আগ্রহী গলায়) হুম … তা কিসের উপর থিসিস?
খরগোশ: আমি লিখছি কিভাবে খরগোশ শিয়াল খায়।
শিয়াল: (হাসতে হাসতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল) ওরে, এতো মহা আহম্মকও জানে খরগোশের শিয়াল ধরা কেন শিয়ালের দিকে তাকাতেও সাহস লাগে।
খরগোশ: তবে চল ঝোপের পিছনের আমার বাসায়, তোমায় প্রমান দেখাই।
মিনিট ১৫ পর …
খরগোশ হাতে করে শিয়ালের একটা হাড় চাটতে চাটতে ফিরলো এবং পুনরায় অসমাপ্ত লেখা এগিয়ে নিয়ে চলল।
খানিক পর একাকি এক নেকড়ে দেখতে পেল খরগোশের কঠোর পরিশ্রম, আগ্রহী হয়ে এগিয়ে এল …
নেকড়ে: কি এতো মনযোগ দিয়ে লিখছ?
খরগোশ: আমি একটা থিসিস তৈরি করছি, কিভাবে খরগোশ নেকড়ে খেতে পারে।
নেকড়ে: (কিছুটা বিরক্ত হয়ে) তুমি এভাবে সময় অপচয় করছ, তুমি মনে কর কেউ তোমার এই থিসিস প্রকাশ করবে!!!
খরগোশ: তোমার অস্বাভাবিক মনে হলে চল আমার বাসায় প্রমান দেখিয়ে দেই।
দুজনে খরগোশের গর্তের পথ ধরল, আগের মতো ১৫ মিনিট পর খরগোশ একা ফিরে এসে আবার টাইপরাইটারে মনযোগী হলো।
এবার এক ভাল্লুক জানতে চাইল: কি করছ?
খরগোশ: আমি থিসিস লিখছি কিভাবে খরগোশ ভাল্লুক খায়।
ভাল্লুক: তুমি কিছু একটা করছ এটা ভাল; কিন্তু বিষয়টা অসম্ভব।
খরগোশ: আহা, তবে চল আমার বাসায় তোমায় প্রমান দেখিয়ে আনি।
যখনি দুজনে গর্তে প্রবেশ করল, খরগোশ হাসিমুখে ভাল্লুকের সাথে গর্তে অপেক্ষমান সিংহের পরিচয় করিয়ে দিল … অতঃপর … …
মোরাল অব দ্যা ষ্টোরী …
তোমার থিসিস এর বিষয় কতটা অযোক্তিক বা হাস্যকর এটা মুখ্যবিষয় নয়, মুখ্যবিষয় কে তোমার সুপারভাইজর, এই বিষয়ে তোমায় সহায়তা করছে এবং বিষয়টা সে পছন্দ করছেন কিনা।
(তোমার কর্মদক্ষতার প্রদর্শনী চাইতে বিবেচ্য বিষয় তুমি বসের সুনজরে তো?)

গল্প-১

প্রচন্ড ঝড়ে ডুবে যাওয়া এক জাহাজের নাবিক অনেক কষ্টে কাঠের উপর ভাসতে ভাসতে এক বিছিন্ন দ্বীপে পৌছাল।বেশ খানিক পর্যবেক্ষনের পর নিশ্চিত হলেন দ্বীপে দ্বিতীয় কোন জনমানব নাই এবং এর দৃষ্টি সীমার মধ্যে অপরকোন স্হলভূমি নাই।
নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে খাবার খুজতে বের হয় এবং এখান থেকে দ্রুত উদ্ধারের উপায় সন্ধান করতে থাকল।
এক সপ্তাহ পর …
মোটামুটি মাথা গোঁজা যায় এমন একটা পাতা দিয়ে ছাউনি গড়ে তুলেছে, বেশকিছু বনজ ফল ঘরে এনে রেখেছে, রাতের অন্ধকার দুর করার জন্যে আগুন এর ব্যবস্হা করেছে এক কথায় নিজেকে মানিয়ে নেবার প্রস্তুতি সম্পন্ন।
হঠাৎ একদিন …
বিকালে তার ছাউনিতে ফিরে দেখে দুপুরের জ্বালানো চুলার আগুন যেকোনভাবে ছাউনিতে ছড়িয়ে গেছে এবং আগুন প্রায় সবকিছু শেষ করে দিয়েছে।
সমুদ্রতীরে অসহায় নাবিক নিজ ভাগ্যের প্রতি কুটুক্তি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে গেল।
সন্ধা ছুইছুই … …
নাবিক এর কাছে স্বপ্নের মতো ঝাপসা ভাবে মনেহচ্ছে বেশকিছু মানুষ তাকে টেনে তুলবার চেষ্টা করেছে। একটু থিতু হবার পর বুঝতে পারল আসলেই মানুষ তাকে ঘিরে আছে এবং তারা তাকে একটি জাহাজে তুলে নিল এবং নাবিককে অসহায় এর মতো এদিক ওদিক তাকাতে দেখে জাহাজের কাপ্তান প্রশ্ন করল- আপনি উদ্ধারের জন্যে স্মোক সীগনাল দেন নাই?
.
.
মোরাল অব দ্যা ষ্টোরী …
আমরা যখন অসহায় ভাবে যাকে মনেকরি দুভাগ্য প্রকৃতপক্ষে সেটা আল্লাহ্ এর আমাদের প্রতি অনুগ্রহ হয়ে থাকতে পারে।

তুমি যে আছো বলেই

তুমি যে আছো বলেই
জোনাকি জ্বালে বাতি
মাখামাখি জোসনায়
চাদনী আলোয় মাতি

তুমি যে আছো বলেই
সুবে-সাদিকেই শুরু দিন
ভোরের বাতাশে তানপুরা
বেহাগে শিক্ত হয় জমিন

তুমি যে আছো বলেই
দুপর রোদে তাপে তপ্ত
দরজা জানালা দিয়ে
লু হাওয়া শরীর উন্মুক্ত

তুমি যে আছো বলেই
বিকেল হয় স্নিগ্ধ মাখা
চোখে চোখে ভালবাসা
আলতো হাতে হাত রাখা

তুমি যে আছো বলেই
আমিতে আছি প্রতিক্ষণ
আছে আগামি প্রতিশ্রুতি
আসবে আর একটা দিন