Saturday, April 21, 2018

নারী ও পুরুষ জাতির কতিপয় প্রকারভেদ

ক্ষণভেদে নারীজাতি চার প্রকার : পদ্মিনী,চিত্রিণী, শঙ্খিনী ও হস্তিনী ।

পদ্মিনী নারী : গাঢ় নীল উন্মুক্ত আকাশে উজ্জ্বল পুর্ণচন্দ্রকে যেমন সুন্দর ও মোহনীয় দেখায়, তেমনি রমনীয় পদ্মিনী নারী , আয়তলোচন,নারীসুলভ সরলতা ও সজ্জলতা,স্বর মধুর,বচন সুমিষ্ট, ব্যবহার নমনীয়,ধর্মপরায়ণা,মৃদুভাষিণী,সদা হাস্যময়,পতিব্রতা ,নারী জাতির মধ্যে এরাই সর্বোত্তম।

চিত্রিণী : নীলকমলের মত ক্লান্তিময় মুখযুক্ত, সুদীর্ঘ আয়ত নয়ন,সহজেই সাধারণের মন জয় করতে পারে , দৃঢ়চিত্তা, জিতেন্দ্রিয় , সত্যবাদিনী , পতি বাদে অন্য পুরুষের দিকে আকৃষ্ট হয় না , সর্বদা ধার্মিক, এরা উত্তম শ্রেনীর।

শঙ্খিনী : চোখ তেরছা, লোম বড় বড়, পিঙ্গলবর্ণ, চঞ্চলগতি , ধর্মে মত থাকে না , পরপুরুষের প্রতি আসক্ত হয় ,গুরুজনের প্রতি ভক্তি ভাব থাকে না । এরা মধ্যম প্রকৃতির ।

হস্তিনী : স্থুলাঙ্গী , মেদবহুল ,স্বার্থান্বেষী , মুখে নির্লজ্জতা থাকে ,এরা অধিক কৃচ্ছতায় কষ্ট পায় তবুও এদের স্বার্থভাব কমে না , পরপুরুষের প্রতি সর্বদা আকৃষ্ট থাকে , ধর্মে কর্মে মত থাকে না । এরা নারী জাতির মধ্যে সর্বাপেক্ষা নীচ ।

পুরুষ জাতিও চার প্রকার : শশক,মৃগ,অশ্ব ও বৃষ । এই চার প্রকার পুরুষের স্বভাব উল্লেখিত প্রানির স্বভাবের মত হয়ে থাকে , এর বিস্তারিত আলোচনার দরকার নাই ।

বিবাহ করার জন্য পদ্মিনী নারী সর্বোত্তম, আবার শঙ্খিনী ও হস্তিনী জাতীয় নারীকে কন্ট্রোল করার জন্য অশ্ব ও বৃষ জাতীয় পুরুষ দরকার ।

নারী ও পুরুষ জাতি সম্পর্কে ফকির লালন শাহ বলেছেন , 

"চিন্তামণি পদ্মিনী নারী এরাই পতিসেবার অধিকারী।
হস্তিনী শঙ্খিনী নারী তারা কর্কশ ভাষায় কয় বচন।।
শশক পুরুষ সত্যবাদী মৃগপুরুষ উর্ধ্ধভেদী।
অশ্ব বৃষ বেহুশ নিরবধি তাদের কুকর্মেতে সদাই মন।।"