Tuesday, April 09, 2013

রিক্স বা ঝুকি ব্যাবস্থাপনা

ঝুকি ব্যাবস্থাপনা বিষয়টা নতুন না হলেও খুব পুরাতন ও নয়। অনেক দিন ধরেই বিষয়টা নিয়ে বিস্তর গবেষনা হলেও পূর্নাঙ্গতা পায় ১৯৭০ এর দিকে। উন্নত বিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলে বিষয়টি। হঠাৎ করেই যেন উন্নয়নের জোয়ারে গতি বেড়ে যায় অনেকটা। যদিও তার ধাক্কা লাগতে শুরু করেছে আমাদের দেশে ইদানিং কালে। তাও আবার সদিচ্ছায় নয় উন্নত বিশ্বের দাতাদের চাপে পড়ে। ফলে বিষয়টি এমন দাড়িয়েছে যে, চিনি জোর করে খাইয়ে দিলে মিষ্টি লাগবেই। কারন এটা চিনির ধর্ম খাওয়ার নয়। যারা সুফল ভোগ করতে শুরু করেছেন তারা অবশ্য বসে নেই। আর যারা এখনও দূরে দাড়িয়ে ভাবছেন দেখিনা কি হয়। তারা কতটা পিছিয়ে পড়ছেন তা বোধ হয় আর কিছুদিন পরে বলতে হবে না নিজেরাই জেনে যাবেন। অবশ্য এখন আশা করছি বাকিদের বোধদয় হতে দেরী হবে না।

এখন দেখা যাক ঝুকি ব্যাবস্থাপনটা আসলে কি? কি কাজে লাগে? সুফল পেতে কতদিন অপেক্ষা করতে হয়? সুফলটা ক্ষনস্থায়ী না দীর্ঘ মেয়াদি? বিষয়টি কতটা ব্যায় বহুল? মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে কার জন্য সুবিধা জনক?

ঝুকি ব্যাবস্থাপনার মূল লক্ষ হচ্ছে, এটা এমন একটা করপোরেট কালচার গড়ে তোলে যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের ভিতর সচেতনতার ভিত তৈরী করে, ফলে কোন অবস্থাতেই প্রতিষ্ঠানের পতন বা ভাঙ্গন প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।

ঝুকি ব্যাবস্থাপনা কঠর ও দক্ষ ভাবে সবার স্বার্থ রক্ষা করে, যেমন: সকল স্থাপনা, যন্ত্রাদী, ভবন, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিক ও মালিক, প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরক্ষ ভাবে জড়িত সবার। যার ফলে এটি প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যায় এবং মূল লক্ষের প্রতি সজাগ থাকে যাতে লক্ষ্যচুত্যির সুযোগ না হয়।

সবচাইতে লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে এটি বোধ হয় এমন একটা ব্যবস্থাপনা যার সুফল পাওয়া যার প্রায় তৎক্ষনাৎ। অনেকটা আয়নায় নিজেকে দেখতে পাওয়ার মত। আর ততক্ষন এর সুফল পাওয়া যাবে যতক্ষন চর্চা অব্যাহত থাকবে। ফলে দেখা যাচ্ছে এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। ঝুকি ব্যাবস্থাপনা নির্ভর করে পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়ার উপর।

প্রত্যেক পরিকল্পনার লক্ষ্য থাকে প্রতিষ্ঠানের অবজেকটিভ, মিশন ও লক্ষ্য এর সমন্বয় সাধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানের অন্যতম পরিকল্পনা থাকে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ প্রতিরক্ষা মূলক লক্ষ্য। পরিকল্পনার সারসংক্ষিপ্ত আকারে প্রধান উপকরনগুলো বলা বলা যায় প্রতিষ্ঠানকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া, প্রত্যেক দপ্তর ও কর্মীদের কাজের সমন্বয় সাধন করা, ব্যাবস্থাপকদের সঠিক ভবিষ্যত পরিকল্পনার জন্য ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহারে বাধ্য করা, সাধারন লক্ষ্য অর্জনের জন্য অভ্যন্তরীন কাজগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং উন্নয়ন মূলক ব্যাবস্থাপনা পরিবর্তনের জন্য উৎসাহিত করা। ফলাফলে দেখা যায় কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়, সর্বসাধারন ও কার্যপদ্ধতির মধ্যে নমনিয়তা আসে, ব্যায় হ্রাস পায়, কাজের মধ্যের ঝুকি হ্রাস পায় এবং নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা যায়। অতএব উদ্ধর্তন কর্তপক্ষই নিশ্চিত করবে তাদের সঠিক পরিকল্পনার বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঝুকির নিয়ন্ত্রন ও নিদৃষ্ট লক্ষে পৌছান। যা সম্ভব ঝুকি ব্যাবস্থাপনা এর সঠিক ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে পরিকল্পিত রিসোর্সের ব্যাবহার এবং সুনিদৃষ্ট দায়ীত্ব বন্টন। আর সঠিক ব্যাবস্থাপনার জন্য প্রয়োজন- সুনিদৃষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, ব্যখ্যাপূর্ন দায়ীত্ব, নিয়ন্ত্রিত কর্ম পদ্ধতি, সহজ বোধগম্য যোগাযোগ ব্যাবস্থা, প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত ও সঠিক রিসোর্স, সহযোগীতা মূলক আচরন। কাজের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন নির্ভর করে কে কোন অবস্থানে ও কোন ধরনের দায়িত্বে অবস্থান করছেন। বিষয়টি সম্মন্ধে সকলের সম্মক জ্ঞান থাকা যেমন জরুরি তেমনি জরুরী সেটির যথাযথ প্রয়োগ। এটি হতে পারে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সর্বনিু পর্যন্ত আবার কখনও কখনও সর্বনিু পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ পর্যন্ত। আন্ত প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্কই নির্ধারন করে দেয় কার কাজ কেমন হবে এবং কতটুকু হবে এবং নির্ধারন করে দেয় কর্মপদ্ধতি ও দায়ীত্ব। এটা একটা চক্রকার প্রক্রিয়া ও বলা যেতে পারে। যেমন প্রথমে ব্যাবস্থাপকগন পরিকল্পনা নির্ধারন করেন, এরপর কর্মপদ্ধতীর চুলচেরা বিশ্লেষন করন, কার্য বন্টন, দপ্তরগুলোর সমন্বয় সাধন, কাজের বাস্তবায়ন এবং পর্যালোচনা। প্রক্রিয়া শেষ হলে পর্যালোচনা অনুযায়ী আবার প্রথম থেকে একই পদ্ধতির প্রয়োগে কাজ করা। এখন দেখা যাচ্ছে সঠিক ব্যাবস্থাপনা থাকলে সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা মোটেই দূরহ নয়।

ব্যাবস্থাপনা বিষয়ের সবচেয়ে জরুরি ও অপরিহায্য অঙ্গ হচ্ছে নেতৃত্ব। নেতৃত্ব এমনটা গুন বা যোগ্যতা যা জোর করে দেওয়া বা অর্জন করা যায় না। এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার যার ভিতর নেতৃত্বের গুনাবলী আছে সে এটাকে নানা ভাবে ব্যাবহার করতে পারে এর মান উন্নয়ন করতে পারে। কিন্তু যার ভিতর এটা নেই তাকে কোন ভাবই এটা দেওয়া সম্ভব নয়। ব্যাবস্থাপক হওয়ার অন্যতম যোগ্যতা হচ্ছে নেতৃত্ব দেওয়ার গুন থাকা। যার ফলে একজন ব্যাবস্থাপক তার নেতৃত্বে পরিকল্পনা নিয়ন্ত্রন করতে পারেন, সবাইকে উদ্ভদ্ধ করতে পারেন, প্রয়োজনীয় আদেশ ও নির্দেশ দিতে সক্ষম, সবাইকে পরিচালনা করতে পারেন, অধিনস্তদের ভিতরকার দন্দ, সংঘাত এড়িয়ে সুসম্পর্ক গড়তে সক্ষম। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব এমন একটা বিষয় যা জড় থেকে সুন্দরের জন্ম দেয়। নেতৃত্ব একটি প্রতিষ্ঠানের মূল চালিকা শক্তি।

নিয়ন্ত্রন এমন একটা বন্ধনী যা অদৃশ্য থেকে দৃশ্যমান সবকিছুকে একটি প্রক্রিয়ার ভিতর অবস্থান করায়। নিয়ন্ত্রন এর মাধমে ব্যাবস্থাপকগন সকল পরিকল্পনাকে সফল পরিকল্পনায় রূপান্তরিত করেন। নিয়ন্ত্রন থাকে বলেই প্রতিষ্ঠান তার লক্ষ্যচুতি হয় না। অযাচিত, অনাকাঙ্খিত ঘটনার উদ্ভব হতে পারে না। ফলে কাজের পর্যালোচনা করতে সহজ হয়। আয়-ব্যায় এর মধ্যে সমন্বয় থাকে। কোন রকম দূর্বলতা প্রকাশ পায় না। এটাও আবার সেই চক্রাকার প্রক্রিয়া পরিকল্পনার মান স্থাপন করে, নিয়ন্ত্রন কাজ ও মানের পার্থক্য নিরুপন করে, পার্থক্য অনুযায়ী কাজের মান উন্নয়ন করা হয় আবার নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে কাজ ও মানের পার্থক্য নিরুপন হয় ফলে চলতেই থাকে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে ঝুকি ব্যাবস্থাপনা, মানুষ, সম্পত্তি আয়-ব্যায় ও পরিবেশের রক্ষক এবং বর্তমান সময়ে সবচাইতে সফলতম প্রক্রিয়া। তবে মনে রাখতে হবে এটা ততক্ষন কাজ করবে যতক্ষন প্রক্রিয়াটি চলমান।

ঝুকি হচ্ছে অনিশ্চয়তার উপস্থিতি যা নিদৃষ্ট কাজকে নিদৃষ্ট সময়ে সম্পন্ন করতে বাধাগ্রস্ত করে। ঝুকিকে আমরা দুইভাগে বিভক্ত করতে পারি ১) সচারচর এবং ২) ভয়াবহতা। সচারচর ঝুকি বলতে বোঝায় , কত বার বা কতক্ষন অথবা কোন কোন সময়ে ঝুকি বারবার হচ্ছে। আর ভয়াবহতা বলতে বুঝায়, ঝুকির পরিমান কত, কতটা ক্ষতিকর, কি ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। ঝুকি ব্যাবস্থাপনা মূলত মূল ঝুকির উপর বেশী সংবেদনশিল কারন মূল ঝুকি প্রতিরোধের মাধ্যমেই অদৃশ্যমান ঝুকির নিয়ন্ত্রন সম্ভব। এখন দেখা যাক মূল ঝুকি আসলে কি? এগুলি হচ্ছে আগুন, প্রাকৃতিক দূর্ঘটনা, কার্যক্ষেত্রের দূর্ঘটনা, কাজ সংক্রান্ত শারীরিক সমস্যা বা অসুখ, পরিবেশ গত সমস্যা, অপরাধ, ব্যাবসায়িক সমস্যা, পন্য সমস্যা, চুক্তি সমস্যা, ব্যাবসায়ীক তথ্য সমস্যা। আর এর সঠিক প্রতিকার না হওয়া যে অদৃশমান ঝুকির সৃষ্টি হয় তা হচ্ছে নতুন পন্য, নতুন পন্যের উৎপাদন ব্যবস্থা, সরবরাহ সংক্রান্ত, নতুন ব্যবসায় বাধা, নতুন বাজার সমস্যা।

ঝুকি সনাক্ত করনের লক্ষ হচ্ছে ব্যাবসায়ীক প্রতিরক্ষা ও ক্ষতি সনাক্ত করন। ঝুকি সনাক্তের কারন বিচার, বিশ্লেষন, নিয়ন্ত্রন ও সনক্তিকরনের মাধ্যমে বিপদ ও দূর্ঘটনার থেকে উত্তরন। ঝুকির মাত্রা পরিমাপ করা হয় বৃহৎ পরিসরে ও ক্ষুদ্র পরিসরে। বৃহৎ পরিসর হচ্ছে বড় মাপের এবং প্রধান বিষয় থেকে সৃষ্ট সমস্যা যাকে আমরা বড় ঝুকিও বলতে পারি। ক্ষুদ্র পরিসর হচ্ছে ক্ষুদ্র সমস্যা যা সাধারনত অনেক সময় শিকলের মত, একটির সাথে অন্যটি সম্পর্কিত যার মাধ্যমে বৃহৎ সমস্যা সৃষ্টি হয়। ঝুকি সনাক্ত করন করা যায় বাস্তবিক পরীক্ষা ও পরিদর্শনের মাধ্যমে, সাক্ষাৎকার গ্রহনের মাধ্যমে ও তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে, বাস্তবিক পরীক্ষা ও পরিদর্শনের মাধ্যমে, স্বাস্থ, নিরাপত্তা ও পরিবেশ সংক্রান্ত ঝুকি সহজেই সনাক্ত করা যায়। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা এখন সহজেই পাওয়া যায়। সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে যে ঝুকি সনাক্ত করা হয় সেটি সম্ভব কাজ চলাকালে কর্মরতদের কাছ থেকে। কারন কাজ চলাকালে খুব সহজেই ঝুকি ও সমস্যা চিহ্নিত করা যায় যা অন্যভাবে এত ব্যাপক ভাবে প্রায় অসম্ভব। তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে ঝুকি সনাক্ত করন খুবই জরুরি একটি বিষয়। কাজ শুরু, চলাকালে এবং কাজ শেষে প্রচুর তথ্য ও উপাত্ত সংগৃহিত হয় যেমন-রেকর্ড বই, কার্য পদ্ধতির বই, লগ বই, মাসিক উৎপাদন তথ্যের রিপোর্ট, উক্ত কাজ সংক্রান্ত আইন, প্রাতিষ্ঠানিক কর্মধারা, আয় ব্যায়ের নিরীক্ষা তথ্য, যোগাযোগ তথ্য ইত্যাদির মাধ্যমে। এই সব তথ্য থেকে অনুসন্ধানের মাধ্যমে পরবর্তীতে কাজ প্রায় ঝুকি মুক্ত করা সম্ভব।
ঝুকি ব্যাবস্থাপনার একটি প্রধান অংশই হচ্ছে ঝুকি নিরুপন। সঠিকভাবে ঝুকি নিরুপনই নির্ধারন করেদেয় ঝুকি সমাধানের জন্য সঠিক পদক্ষেপ কি হবে বা হতে পারে। এর আগে আমরা জেনেছি, ঝুকি কেমন হতে পারে এবং ঝুকি কি কি হতে পারে এবং কোথায় আঘাত করতে পারে। এখন পরিমাপ করা যেতে পারে ক্ষতির মাত্রা। ঝুকি ব্যাবস্থাপনার একটা বড় গবেষনা ফলাফল এসেছে মিঃ ফ্রাংক বার্ডের ১৯৯২ সালের গবেশনার পত্রের মাধ্যমে। মিঃ ফ্রাংক বার্ডের দূর্ঘটনার অনুপাতে হিসাব থেকে জানা যায়, প্রায় ৬০০ (ছয় শত) দূর্ঘটনার যার কোন দূশ্যমান ক্ষতি নেই এবং প্রতিকার না করার ফলে সৃষ্টি হয় প্রায় ৩০ (ত্রিশ) টির মত সম্পত্তির ক্ষতি, ১০ (দশ) টি সাধারন আহত হওয়ার মত দূর্ঘটনা এবং ১ (এক) টি মৃত্যু বা স্থায়ী পঙ্গুঁ হওয়ার মত দূর্ঘটনার জন্ম দেয়। ফলে দেখা যাচ্ছে ক্ষুদ্র দূর্ঘটনাই বৃহৎ দূর্ঘটনার প্রধান উপকরন। আর ক্ষুদ্র দূর্ঘটনা সঠিক তথ্য সংরক্ষন এবং প্রতিকারের ব্যাবস্থা গ্রহনই পারে বৃহৎ দূর্ঘটনা প্রতিরোধের অন্যতম হাতিয়ার।

ঝুকির ভয়াবহতা কতটা মারাত্মক হতে পারে সে সম্মন্ধে মিঃ ফ্রাংক বার্ড এর অন্য একটি গবেষনা থেকে ধারনা পাওয়া যায়। ক্ষতির পরিমাপ করা হয় দৃশ্যমান খরচ ও অদৃশ্যমান খরচ হিসাব করলে । এটা একমাত্র তুলনা করা চলে হিমবাহের সাথে । যার সামান্য অংশ পানিতে ভাসমান দেখা যায় তার প্রায় ১০ গুন পরিমান পানিতে ডুবে থাকে। দৃশমান খরচ যা সকলের গোচেরীভূত হয় যা সবাই ওয়াকিবহাল থাকে, যেমন-চিকিৎসা, ক্ষতিপূরন, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি। আর অদৃশ্যমান খরচগুলো হচ্ছে-বীমার অতিরিক্ত খরচ, অবীমাক্রিত খরচ, বীমা করা যায় না এমন খরচ যেমন-বেতন, বোনাস, প্রশিক্ষন, ওভার টাইম ইত্যাদি। বাধাগ্রস্থ ও বিলম্বিত উৎপাদন, ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রাদি ও সরাঞ্জাম ইত্যাদি। সুতরাং এর থেকে সহজেই অনুমান করা যায় আমলে না আনা ঝুকি মারাত্মক পরিনতির দিকে ঠেলে দেয়।