Monday, May 28, 2018

CV লেখা

বেশ কিছু ইনবক্স পেয়েছি নতুনদের জন্য কিছু জানাতে। তাহলে তাদের চাকরি পেতে সহজ হয়।
নতুনদের জন্য প্রথমেই বুঝতে হবে তারা আসলে কোন শাখায় নিজেকে সঁপে দেবে। অথবা কোন শাখা তার প্রতিভা প্রমানে কাজে দেবে। অনেককে দেখেছি পড়াশুনা এক বিষয়ে আর কাজ করে ভিন্ন বিষয়ে। যে বিষয়ে পড়াশুনা সেই বিষয়ে কাজ করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। চাকরি পেতে প্রথমে কার্যকরী একটা CV দরকার। তাই আজ নতুনরা কি কি তথ্য CV তে দেবেন সেটাই জানানোর চেষ্টাঃ

প্রথমে থাকবে
পারসোনাল ইনফর্মেশন বা ডাটা। এখন জানবো কি থাকবে সেখানেঃ
১) নাম Name (যে নামে পরিচিত হবেন সেইটুকু বোল্ড করে দেবেন, তাহলে কথপোকথনে সহজ হয়)
2) বর্তমান ঠিকানা (যেখানে চিঠি যাবে)
৩) স্থায়ী ঠিকানা
৪) কন্টাক্ট নাম্বার (একাধিক দিলে ভাল হয়, তবে প্রথমে দিতে হবে যে নাম্বরটা বেশী ব্যাবহার হয়)
৫) অল্টারনেটিভ নাম্বার (এটা খুব জরুরী, এই নাম্বার প্রমান করে আপনি একাকি নন। শুভাকাঙ্ক্ষী আছে। চেষ্টা করবেন বাবার নাম্বর দিতে)
৬) সুন্দর অর্থবোধক ইমেইল এড্রেস। gmail.com খুব কমন, hotmail বা outlook বা yahoo ভিন্ন মর্যাদায় দেখা হয়।
৭) বৈবাহিক অবস্থা
৮) জন্ম তারিখ: dd-mmm-yyyy (১২ November 2018) ফরমেটে দেবেন যাতে কনফিউশন না হয়।
9) জন্মস্থান ( এটা যারা ইন্টারভিউ নেন তাদের সফট কর্নার হিট করে)
১০) জাতীয় পরিচয়পত্র নং
১১) পাসপোর্ট নং (এটা একটা অতিরিক্ত যোগ্যতা ধরা হয়। মানে ঘরে বসে স্মার্ট ডিভাইসে ব্যাস্ত ছিলনা। বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে দুনিয়া নিয়ে)

শিক্ষা (প্রতিটা পরিস্কার করে জানাতে হবে। যেমনঃ
a) সনদ (degree),
b)শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ও কোথায়,
c) শিক্ষা বছর, পরীক্ষার বছর) শেষেরটা প্রথমে তার পর যথাক্রমে

কাজের অভিজ্ঞতা (যে ধরনেরই হোক, আর কতদিনের। বিশেষ যোগ্যতা চাকরি পেতে সহযোগিতা করে)

প্রশিক্ষণ (পাঠ্যক্রম এর বাইরে নিজেকে কিভাবে তৈরি করেছেন সেটা দেখা হয়)

রেফারেন্স (দুইজন, তাদের নাম, পজিশন, কর্মস্থল, যোগাযোগ নম্বর, ইমেইল, কি ধরনের সম্পর্ক তার সাথে)

সাক্ষর

সুন্দর অফিসিয়াল ছবি CV উপরে ডান কোনায়।

বিঃদ্রঃ বেশি রংচং না করতে

আজ এ পর্যন্ত। আবার সামনে কথা হবে।