Friday, April 12, 2019

হুজুরের সব কথা: ফাঁস করে দেবার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী

==================
কওমী এক ভাই, আলীয়া কে দুষে বলছেন, যে আলীয়ায় সত্যিকারের ইসলাম চর্চা হয়না, তাই নুসরাতের এই ঘটনা। এর বিপরীতের কথা।
=========

ঘটনাটা ২০০৪-৫-৬ সালের হবে। ফেসবুক ছিলনা। কামরাঙ্গীরচর বা গওহরডাঙ্গা বা এরকম কোন এলাকার এক মহিলা কওমী মাদ্রাসার ঘটনা।
মাদ্রাসার বড় হুজুর মহিলা আবাসিক মাদ্রাসা খুলেন। তো, তিনি ওই মাদ্রাসায় তারই শ্যালককে একজন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।

ওই মাদ্রাসায় এক গরীবের সুন্দরী মেয়ে পড়তো। তো তার শ্যালক ওই মেয়ের পিছনে লাগে। তার সাথে ল_র প_র করতে চায়, কিন্তু মেয়ে দেয়না। বিয়ের প্রস্তাবও মনে হয় ফিরিয়ে দিছে।

তো, মেয়ের বাবা হুজুরকে এসে অভিযোগ করেন। বড় হুজুর প্রথমে একটু গুরুত্ব দিলেও, পরে উনি এটা ধামাচাপা দিয়ে দেন। কিছুদিন পরে আবারও যেই লাউ সেই কদু। শ্যালক ক্লাস নিতেছে, আর শ্যালকের কাছে ক্লাস করতেছে সেই মাদ্রাসা ছাত্রী। কিয়েক্টাবস্থা চিন্তা করেন তো।

তো, শ্যালক ভাই এক সময় ধৈর্যহারা হয়ে পড়েন। যেহেতু ছাত্রী ওই মাদ্রাসাতেই আবাসিক থাকতেন, তিনি একদিন রাতে ছাত্রী স্থাপনায় ঢুকে যান। ওই মেয়ের ঘরেও ঢুকে যান, এবং সেখানে তাকে ধ_ণ করেন। তারপর গলায় ওড়না/রশি পেঁচিয়ে তাকে হত্যাও করেন।

এরপর মামলা হয়, বিচার হয়েছে কিনা আর আপডেট জানিনা। বড় হুজুরের অবস্থান হল "আঁই কি বুইজছিনি এমন হইবো দেন?"।

এরপরও যেই লাউ সেই কদু, আবাসিক মহিলা মাদ্রাসা চলতেছে। আজ এই ঘটনা, কাল সেই ঘটনা। কোন পরিবর্তন নাই।

এই ঘটনার পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছিল। তবে গরীবের মেয়ে হওয়ায় , আর বড় হুজুর রা ধামাচাপা নীতিতে বিশ্বাসী হওয়ায় গরীব বাবা আর তেমন কিছু হয়তো করতে পারেন নি। এ ধরনের ঘটনায়, না হুজুর রা হেল্প করে, না সেক্যুলার রা হেল্প করে।

------
কাজেই কওমী মাদ্রাসায় সব সাধু সন্ন্যাসী বাস করেন, আর আলীয়া খুব খ্রাপ , ব্যাপারটা এমন না।

তবে সংখ্যানুপাতে কওমী মাদ্রাসায় সত্যিকারের দ্বীনদার, তাকওয়াবান মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী। আলীয়া তে কম।
----------
তবে দুই মাদ্রাসাতেও ঝুঁকি আছে। স্পেশালী আবাসিক মানে এসব হবার সম্ভাবনা যথেষ্ঠ।
-----------
একটা প্রশ্ন করি, আবাসিকে মহিলা মাদ্রাসা করা কিভাবে জায়েজ হয়? তার মাহরাম তার থেকে ১০ মাইল দূরে, আর মাথা গরম হুজুর মাত্র কয়েকশ ফিট দূরে? কোন নিরাপত্তা নাই? কিভাবে জায়েজ?
আমার অবশ্য ইলম নাই।

আবাসিক করার দরকার টা কি? রসূল(স) কি সাহাবীদের সাথে রাতে থেকে দ্বীন শিক্ষা দিতেন? স্কুল কলেজে ছেলেপেলে পড়তেছেনা? তাও আবার মহিলা মাদ্রাসা? তাও আবার আপনারা জানেন, আপনাদের একটা অংশ সমকামিতা লিপ্ত, তো যে সমকামিতা করতে পারে, সে কেন এই পাপ করতে পারবেনা?

তবে, কওমীতে নারী নির্যাতনের চেয়ে ছাত্র বলা_কার বেশী। ছাত্র মৃত্যু বেশী। 
-----------

তাহলে চিন্তা করেন, রাতে যেই হুজুর আপনাকে বলা_কার করতেছে, সকালে তিনি আপনাকে কুরআন মুখস্থ করাইতেছে।
যে আপনাকে দিনের পর দিন ধ_ণ , করতেছে, সেই আপনাকে ফিকহ শিখাচ্ছে। এই ফিকহ শিখে কি হবে? ছেলে মেয়েদের ভিতরের ফিলিংসটা কি হচ্ছে?

মার ধর বাদ দিলাম যান।

হুজুর যদি এসব করে ধরা পড়ে, শাস্তি কি? শাস্তি হল এক মাদ্রাসা থেকে চাকরিচ্যুত, আরেক মাদ্রাসায় যোগ। অথবা কোন মসজিদ মাদ্রাসায় খতীব - ইমাম - মুয়াজ্জীন পদে নিয়োগ। কার পিছনে নামাজ পড়ছি আমরা?

অথচ শাতিমির রসূল(স) এর যেই শাস্তি এটারও একই শাস্তি। শাতিমির রসূল(স) কে শাস্তি দেবার জন্য আপনারা আন্দোলন করতে পারেন, কিন্তু এই পাপের জন্য শাস্তির দেবার আন্দোলন করতে পারেন না? দুই একটা কে ধরে আপনারা কিছু করতে পারেন না? তাহলে বাংলাদেশ সেক্যুলার সরকারকে বকেন কেন? সরকার তো পুলিশ-দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তকে ট্রান্সফার করে, আপনারাও কি হুজুরকে এক মাদ্রাসা থেকে অন্য মাদ্রাসায় ট্রান্সফার করতেছেন না?

সেখানে গিয়ে সে তো আবারও একই কাজ করবে, ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত।

-------
আমি জীবনে বহু হুজুরের সাথে মিশেছি, দেখেছি। তো একটা ঘটনা বলি।

তখন, এক মসজিদে নামাজ পড়তাম। মুয়াজ্জিন সাহেবের গলাটায় কোন সুর ছিলনা। কেমন জানি লাগতো। তার পিছে নামাজ পড়তেও কেমন লাগতো। ইমাম না থাকলে তো মুয়াজ্জিন ভাই পড়ায়!!!

তো যাই হোক, মসজিদে এক বুজুর্গ ছিলেন, তিনি বেশ ভাল দ্বীনি বয়ান করতেন। তো, একদিন বেশ নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেলাম, যে তিনি যিনায় লিপ্ত। মসজিদের পাশে এক বাসায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে, আসতাগফিরুল্লাহ। শুক্রবারে ওই নাপাক দেহে মসজিদে ঢুকে গোসল করে তারপরই জুমা পড়েন। আসতাগফিরুল্লাহ। উনিই আবার জাতিকে বেশ ভাল বয়ান করে দ্বীনী গাসত করেন টরেন।

মসজিদের আশে পাশে আরও কে কে কিসে কিসে লিপ্ত তারও খবর পেলাম। তবে সবচে' শকিং নিউজ এগুলা না। শকিং নিউজ হইলো, এসব কাজে লিংক হিসেবে কাজ করেন, আমাদের মুয়াজ্জিন ভাই, এমনি উপরে উপরে তার বুজুর্গীর শেষ নাই। ।
মাটি ফাঁক হইতো, আর আমি ডাইরেক্ট নীচে চলে যেতাম এটাও বোধ হয় ভাল হতো, রাইট? গলাটায় সুর কেন নাই বুঝলাম।
-------

হুজুরের কাছে মেয়েকে কুরআন পড়তে দিলে পাশে বসে থাকতে হয়। না হলে মেয়ের এখানে ওখানে হাত দেয়। জিজ্ঞেস করেন, আপনার মা-বোন-স্ত্রী কে, অনেকে বলবে।

------

জেনারেল লাইনে কি অবস্থা? অবস্থা খারাপ। কিন্তু সব কনসেনশুয়াল। মানে যারা করে, স্বেচ্ছায় করে। জোর জবরদস্তি কম। শিক্ষক রা এসব করার সুযোগ কম পায়, কারণ আবাসিক না তো। আর উল্টাপাল্টা করলে একশন হয়। অনেকে নিজ চরিত্র রক্ষা করে চলে। ইচ্ছা করলে সম্ভব।

ডেটা ছাড়া তুলনা করাসম্ভব না।

========

পশ্চিমা বিশ্বকে নিয়া হাসতাম , চার্চের ঘটনা নিয়ে। চাইল্ড এন্ড নান এবিউস।
কিন্তু এখন?
আমি এটা ভেবে পাইনা, যে ইসলামে তো বিয়ের বিধান আছে। ওরা বিয়ে করতে পারেনা, তাই , মাথা গরম হলে ....।
কিন্তু আমাদের কি হইলো? আমি কোন এক্সপ্লেনেশন জানিনা।
=======

পশ্চিমা বিশ্ব যৌনা ব্যাপারে একদম... ইউ নো। কিন্তু এসব কনসেনশুয়াল। আপনি যদি নারী হয়ে বলেন, আমি নিজেকে স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে হেফাজত করে চলবো, কেউ আপনাকে কিছু করতে পারবেনা।

ইভেন টেনিউর ট্র্যাকড প্রফেসর এর ও চাকরি চলে যাবে, যদি সে কোন মেয়ের সাথে ল_রপ_র করতে চেষ্টা করে। এরপর জেল হবে, এরপর আর কোথাও চাকরি পাবেনা, কারণ তার নামে রিপোর্ট হবে। বাসা ভাড়া করতে পারবনা, গাড়ী কিনতে পারবেনা। পুরা জীবন শেষ। খালী একটা মেয়ের অভিযোগই যথেষ্ঠ, যদি প্রমাণ করতে পারে, বা আদালত মনে করে। ঘটনা ঘটলে ইউনিভার্সিটি ছাত্রীকে সমর্থন করে, মাস্টারকে না। পুরা উল্টা।

কেউ চাইল্ড এবিউস করলে, বড় অনুষ্ঠানের সময় তারে এসে পুলিশ পাহারা দেয়, ঘর থেকে বাহির হইতে দেয়না। কারণ সে ছোট বাচ্চা মেয়ের গায়ে হাত দেয়। আর এক বার রিপোর্ট হইলে, কোথাও চাকরি পায়না, ব্যবসা করতে পারেনা, বাসা ভাড়া পাইতে প্রবলেম হয়। জীবন শেষ করে দেয়।

এজন্য সবাই সাবধানে থাকে। উদাহরণ দিলাম এজন্য যে যাতে মানুষ বুঝে, যে ধামাচাপা না দিয়ে প্রকাশ করলে এসব বন্ধ হয়।

=====
পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের মাকসাদ না। আমাদের মাকসাদ সুন্নাহ। রসূল(স) কি ধামাচাপা দিতেন? না প্রকাশ করতেন?

একবার এক কুরাইশ মহিলা চুরি করে ধরা পড়ে। রসূল(স) এর কাছে ধামাচাপা দেবার রিকুয়েনস্ট আসে। রসূল(স) রাগান্বিত হন। এরপর মহিলাকে তার কুরাইশ হাতখানা কেটে দেন। প্রকাশ্যে।

এক সাহাবী(রা) যিনায় লিপ্ত হয়ে যান। কিন্তু তিনি রসূল(স) এর কাছে সারেন্ডার করেন। তাকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। এরকম একাধিক ঘটনা আছে।

রসূল(স) কি বলছেন, যে এসব প্রকাশ করোনা, প্রকাশ করলে ইসলামের বদনাম হবে, কাজেই ধামাচাপা দাও। ? বলেন নি।

বরং সুন্নাহ হল, প্রকাশ করা এবং বিচার করা, বিচার করতে না পারলে, তা করার চেষ্টা টুকু তো করা। ধামাচাপা না দেয়া।
=======

জাতির প্রতি সততর্কবানী: সব হুজুর ভাল না। অনেকেই জবরদস্তিরর মাধ্যমে হুজুর হয়েছে। ইসলাম তার অন্তর এ প্রবেশ করেনি। সে হুজুর এজন্য, যে সে এই সিস্টেমের মধ্যে থেকে বের হয়েছে। সে পারলে হুজুর হইতোনা। কিন্তু তার রুটি রুজির আর কোন উপায় নেই।

কিন্তু সে দাড়ি টুপি পরে এমন সং সেজে থাকে, যে দেখলে মনে হয় এনজেল।

কাজেই আপনার বাচ্চাকে কারও কাছে বা কোন প্রতিষ্ঠানের দেবার আগে সাবধান। ভালভাবে খোঁজ নিয়ে দিবেন। মেয়ে বাচ্চার ব্যাপারে খুবই সাবধান। আবাসিকে কখনও দিবেন না। পরামর্শ।

==========

আর ইসলামী মহলে, যে হাফিজ , আর যে মাওলানা, আর যে মুফতী , আর যে মুহাদ্দিস, সবাই কিন্তু একরকম দেখতে। সেটা মাথায় রাখতে হবে। যত উপরে যাবেন, শতকরা হিসেবে তত ভাল পাবেন। সবাই কিন্তু এক না।

কাজেই অন্ধভাবে সবাইকে বিশ্বাস করবেন না। বরং খোঁজ খবর নিয়েই চলতে হবে। দুনিয়াটা এরকমই।

=======

অনেকে আবার খুব দ্বীনদার পরহেযগার তাক্বওয়াবান আছে, অনেকে আবার না। হুজুর চিনার শর্টকাট উপায় দিলাম, হুজুর ফিল্টার:

হুজুর যদি সহীহ হয়, তাহলে সে:

১. খুব ধীরে সুস্থে নামাজ পড়বে, রুকু সিজদা ঠিকমতন করে কিনা দেখবেন, স্পেশালী: দুই সিজদার মাঝে বেশীক্ষণ থাকে কিনা, রুকু থেকে ঠিক মতন দাঁড়ায় কিনা, দাঁড়িয়ে থাকে কিনা কিছুক্ষণ?; আমাদের মুয়াজ্জিন ভাই, এই ক্রাইটেরিয়ায় ফেইল ছিল, আমি আগেই সন্দেহ করতাম।। অস্থির হয়ে নামাজ পড়লেই 'সমস্যা ' আছে, ইভেন বড় কিরাত করলেও। পিছন/পাশ থেকে দেখবেন।
২. সে তার অধীনস্থ দের সাথে ভাল-বিনয়ী ব্যবহার করবে, ঝাড়ি মেরে কথা বলবেনা।
৩. তার মধ্যে দ্বীনী ব্যাপারে মোটিভেশন থাকবে। সে দ্বীন নিয়ে চিন্তিত হবে। সিনসিয়ারিটি থাকবে, স্যাক্রিফাইস থাকবে। এটা অবশ্য ধরা কঠিন।

তবে ১ নং ফিল্টারেই সব আটকাই যায়। কঠিন ফিল্টার কিন্তু।

======

আকাবীরদের প্রতি আহবান : দয়া করে আপনাদের মাদ্রাসা, আপনারা বাাঁচান। নাহলে গত দেড়শ বছরের স্যাক্রিফাইস সব শেষ হয়ে যাবে।

যাজাকাল্লাহ।

=======
সর্বশেষ খবর : নগরীতে গলায় ফাাঁস দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যা।
সন্দেহ: মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে না তো< এস ইউজুয়াল? ছেলেটা নাকি ফার্স্ট বয় ছিল।