Wednesday, May 06, 2020

উপরে বিদ্যানন্দ, ভিতরে ইস্কনানন্দ- ১ম পর্ব

ছোটবেলায় আমরা অনেক মিশনারি কার্যক্রমের কথা শুনেছি। বিশেষ করে আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলসমূহে, বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে তাদের উৎকট উপদ্রব খুবই মর্মান্তিক একটি বিষয়। সেবার নামে মিশনারিবৃত্তি করা খ্রিস্টানদের অনেক পুরাতন কৌশল।  

মিশনারী খ্রিস্টানরা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে পার্বত্য চট্টোগ্রামের উপজাতিদের কাছে চিকিৎসা সেবা দিতে যেত। গিয়ে প্রথমে উপজাতিদের দেবতা গৌতম বুদ্ধের নামে ওষুধ খেতে বলতো। কিন্তু রোগ সারতো না। এরপর তাদেরকে বলতো এবার যিশুখ্রিস্টের নামে ওষুধ খাও দেখি। যিশু খ্রিস্টের নামে ওষুধ খাওয়ায় রোগাক্রান্ত উপজাতি আশ্চর্যজনকভাবে সুস্থ হয়ে যেত। তখন মিশনারী ক্রিস্টান বলতো দেখেছো যীশু খ্রীষ্ট তোমাকে সুস্থ করে দিয়েছেন। কাজেই যীশু ঠিক, তুমি যীশুর প্রতি ঈমান আন। অর্থাৎ খ্রীষ্টান হয়ে যাও। সরল উপজাতিরা শেষে সুস্থ হয়ে যেত।  আসলে যখন গৌতম বুদ্ধের নামে ওষুধ খেতে বলতো, তখন তাদেরকে ভুয়া ওষুধ দিত, অর্থাৎ এমন ওষুধ দিত যে অষুধে রোগ ভালো হবে না। যথারীতি রোগ ভালো হতো না। কিন্তু যখন যিশুর নামে ওষুধ খাওয়াতো তখন সঠিক ওষুধ দিত। সঠিক ওষুধ খাওয়ার কারণে রোগগ্রস্ত উপজাতি সুস্থ হয়ে যেত এবং মনে করত যীশুর নামের কারণেই তার রোগ মুক্তি করেছে। এতে করে উপজাতিরা খ্রিস্টান মিশনারিদের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়তো। অর্থাৎ ক্রমেই খ্রিস্টান ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়তো। এ

ভাবে সেবার নাম দিয়ে ছলে বলে কৌশলে দরিদ্র ও পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীকে খ্রিস্টান বানিয়েছে মিশনারীরা। প্রলোভন কিন্তু খুবই চমকপ্রদ। ফ্রি খাবার, ফ্রি চিকিৎসা। ক্ষেত্রবিশেষে জমি ভূমি ইত্যাদিও দিত।

একটা পর্যায়ে মোসাদ তাদের একান্ত বিশ্বস্ত সংগঠন ইসকনের মাধ্যমে একই পলিসি এপ্লাই করে। ফ্রি ফুডের নাম দিয়ে তারা তাদের পৌত্তলিক মন্ত্রযুক্ত পুজোর প্রসাদ সবাইকে খাওয়াতে থাকে। কথিত প্রভুপাদ সে একবার বলেছিল যে এই প্রসাদ খেতে থাকো, একদিন তুমিও পরিণত হবে একান্ত কৃষ্ণভক্ত। 

আজকে যে ‘এক টাকায় আহার’ বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন, এরা হচ্ছে ইসকনের বি-টিম। আজ বাংলাদেশে যখন ইসকন অনেকের কাছেই বিতর্কিত, তখন মিশনারি চার্চ এর মত সেবার স্লোগান মুখে নিয়ে ফ্রী ফ্রী প্রসাদ খাইয়ে তারা বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে কৃষ্ণভক্ত বানাতে চাচ্ছে। 

এটার উদাহরণ হল সেই কুচক্রী মোড়লের মতো যে গরিব চাষীকে সাহায্য করার নামে দরিদ্র অথচ রূপবতী কৃষকপত্নীর সম্ভ্রম বিনাশ করতে চায় এবং সাহায্য করে করে বিশ্বস্ত হয়ে উঠলে সুযোগবুঝে কৃষকপত্নীর সম্ভ্রম বিনাশ করে ছাড়ে।

পার্শ্ববর্তী দখলদার রাষ্ট্রের সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা থাকায় এক টাকায় আহারের নামে ইসকন মিশনারীদের কার্যক্রম বিনা বাধায় দ্রুত গতিতে ্এগিয়ে চলছে বাংলাদেশে। এমনকি তারা আজ মুসলিমদের যাকাতও তুলে নিয়ে যাচ্ছে। 

ভারতীয় নৈরাজ্যে দেশীয় কলকারখানা ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ে আজ তারা সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব আর দারিদ্র্যকে পুঁজি করে ‘এক টাকায় আহার’ এর নামে প্রসাদ খাওয়াচ্ছে এবং মনে মনে হেসে হেসে কুটি কুটি হচ্ছে "দৈত্যকুলে প্রহ্লাদ" তৈরি হচ্ছে। (চলবে)

(বি:দ্র: স্রোতের বিপরীতে সত্যটা জানতে আমার এই পেইজটিতে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন)

No comments: