Saturday, November 04, 2017

সিজারে বাচ্চা নেওয়ার অপর নাম নীরব মৃত্যু (হাতে সময় থাকলে দুজনেই পড়ুন)

এক নার্স (সেবীকা)হলি ক্রস মেডিক্যালএর চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন ! গত মাসে তার ফুটফুটে পুত্র সন্তান হয় । আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম সিজারে অনেক বাচ্চা ই তো পৃথিবীতে নিয়ে আসলি অপারেশন করে , এখন তোর সিজার কোন চিকিৎসক করবে ?
উত্তরে জানায় ,
নরমাল ডেলিভারি ‘র জন্য প্রিপারেসন নেওয়া হয়েছে । কারন ! সিজারে বাচ্চা হলে একজন নারী ২য় ,৩য় বার পুনরায় মা হতে গেলে ঝুকি থাকে ৯০.৭ % । অনেক সময়েই বাচ্চার শরীর ছুরি , কাচি লেগে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতি হয় যা আমাদের দেশের চিকিৎসক গন কাউকেই বলেন না ! অর্থের লোভে প্রত্যেক গর্ভবতী মা কে মেডিক্যাল চেকাপ এর আগে থেকে ই বলে রাখা হয় সিজারে বাচ্চা নিতে হবে অন্যথায় ! মৃত্যু ঝুঁকির ভয় দেখানো হয় । জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিসয়ক সংস্থা WHO জানিয়েছে একটি দেশে ‘র ১৫% মেয়ে যদি একান্তে ই না পারে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তে বাচ্চা নিতে , সে ক্ষেত্রে সিজার করাতে হবে ।
আমার দেশে বর্তমান সিজারে বাচ্চা হচ্ছে সে অনুপাতে ৯৭.৩% যা নারী স্বাস্থ্য’র জন্য ঝুঁকিপূর্ণ । এই সিজারে বাচ্চা নিতে গেলে যেমন মা মারা যায় বেশীরভাগ সময় তেমনি ক্ষতি হয় নব জন্ম নেওয়া শিশুটির । সিজারে হওয়া বাচ্চা অনেক বেশী অসুস্থ থাকে একটু খেয়াল করে দেখবেন, যা নরমালে হওয়া বাচ্চাদের হয় না খুব একটা । প্রতি বছর সিজারে বাচ্চা হতে গিয়ে মারা যায় আমাদের দেশে ২৭.৯% মা ,শিশু ।
এই ছারাও সিজার অপারেশনে রোগীর জন্য রক্ত চাওয়া হয় অনেক সময় ই ১০-১৫ ব্যাগ , যার মধ্যে বড় জোর ২ ব্যাগ রক্ত কাজে লাগিয়ে অন্যগুলো বিক্রি করা হয় । সামাজিক স্ট্যাটাস হয়ে গেছে এখন সিজারে বাচ্চা নেওয়া ! যা বর্তমান নারী দেহ কে ধ্বংস করে দিচ্ছে নীরবে,
চিকিৎসকরা সবই জানেন , বুঝেন কিন্তু হাঁসপাতালের মালিক দের খুশী রাখতে এবং নিজেদের অর্থনীতি কে শক্তিশালী করতে তারা করেন নারীর পেট কাঁটা বিজনেস ।

সুত্রঃ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ,
পিজি হাঁসপাতালের গাইনি বিভাগের
অধ্যাপক।
তথ্যঃ Independent Tv

Thursday, November 02, 2017

অব্যক্ততা

বলার ছিল কিছু বলা যাবে না
বুকের ভিতর ডুকরে ডুকরে
আটকে আছে দলা পাকিয়ে
গলার কাছে খাচ্ছে কুরেকুরে

অনেক কিছু দেখানোর ছিল
সময়ের অভাব দেখানো যাবে না
চালচিত্র ছবিগুলো ঝাপসা হয়
কি ছিল তা আর বোঝা যাবে না

বোঝাতে চেয়েছি কিছু অব্যক্ততা
বোঝাতে পারিনা যা আছে মনে
সময় বয়ে যায় আপনারে লয়ে
যুঝতে যুঝতে কাটে সুর লয় তানে

অন্তন সময় নিয়ে আসিনি আমি
তবু কেন কিসের দ্বিধা সংশয় মনে
পার হয়ে যায় সময়ের প্রবল স্রোত
অসহায় লাগে বড় ক্লান্ত আজ রনে

Monday, October 02, 2017

নুইয়ে আছি মাত্র

নুইয়ে আছি মাত্র-
ভেবনা কুর্ণিশ করছি তোমায়;
তোমার এই সটান দাঁড়িয়ে থাকা'ই
আমায় নুইয়ে রাখে আজীবন।
সময়ের ডাক শুনেছি আবার
এবার দাঁড়াবো নিশ্চয়'ই।

কালের গর্ভে জন্ম আমার-
শতাব্দীর তাপে পিঠ পোড়াতেই
আমার এই নুইয়ে থাকা।
মাটির বুক চিঁড়ে দৌড়ে দাপড়ে
থাপড়ে থাপড়ে রস নিংড়াই,
লাংগলের ফলায় ফলানো ফসলে
তুমি'ই দাঁড়িয়ে থাকো সর্বদায়।

আগামীতে বহমান আমি-
যুগান্তরের ভার বহিবার তরেই
আমার এই নুইয়ে থাকা।
আমার ঘামের বিন্দুকে সিন্ধু করে
বিলিয়েছি; আগামী প্রজন্মে তায়,
সিকিতে দম্ভের বোঝা বহমান পথে
তুমি'ই দাঁড়িয়ে থাকো সর্বদায়।

ইতিহাসের স্বাক্ষী আমি-
প্রতিবাদের হাতিয়ার উঠাতেই
আমার এই নুইয়ে থাকা।
আমার মায়ের লাল সবুজের শাড়ি
দলিত মথিত ঐ নর গণিকার পায়,
প্রতিবাদের মিছিলে মৃতদেহের স্তুপে
তুমি'ই দাঁড়িয়ে থাকো সর্বদায়;

নুইয়ে আছি মাত্র-
ভেবনা কুর্ণিশ করছি তোমায়;
তোমার এই সটান দাঁড়িয়ে থাকা'ই
আমায় নুইয়ে রাখে আজীবন।
সময়ের ডাক শুনেছি আবার
এবার দাঁড়াবো নিশ্চয়'ই।

Sunday, September 10, 2017

তুর্কী নাচন

মুসলিম নাম আর মাথায় হিজাব দেখেই যারা তুরস্ককে আন্ডারএস্টিমেট করছে, মনে করছে তুর্কি নাটক করার চেষ্টা করছে, তারা স্রেফ মাথামোটা অজ্ঞ মানুষ। তুরস্ক সম্পর্কে অজ্ঞ এবং বায়াসড।

মুসলিম নাম আর মাথায় হিজাব নিয়ে এই তুরস্ক দুনিয়ার নানা প্রান্তে মুসলিম রিলেটেড ইস্যুতেই উপস্থিত থাকে। এই কাজে ওরা এক্সপার্ট। এই কাজ করেই ওরা টানা ৫০০ বছর বিশ্ব শাসন করেছে। 

তুর্কিরা কি করেছে? ইতিহাস বাদ দেই। ১৯৭০'র পর থেকে তুর্কি কি করেছে তা সংক্ষেপে বলি।

৭০'র দশকে সাইপ্রাসে মুসলিমরা দীর্ঘদিন থেকে নির্যাতিত হচ্ছিল, তুর্কি এদিক সেদিক বিচারের জন্য দৌড়াদৌড়ি করেছিল। কিন্তু গ্রীসের প্রত্যক্ষ সমর্থনে এবং ইউরোপ আমেরিকার মৌন সমর্থনে সাইপ্রাস তার কাজ করে যাচ্ছিল। তারপর একদিন সকালবেলাতেই ৪০ হাজার তুর্কি সৈন্য প্যারাসুট নিয়ে সাইপ্রাসে নামে এবং ৪০% ভূমি দখলে নিয়ে সেখানে উত্তর সাইপ্রাস প্রতিষ্ঠা করে দেয়। ইয়োরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয়েও সাইপ্রাস ঐ এলাকা ফিরে পায় নাই। ওখানে এখন তুর্কি পতাকার আদলে উত্তর সাইপ্রাসের পতাকা উড়ে।

৯০'র দশকে বসনিয়া হার্জেগোভিনার মুসলিমদের যখন কসাই স্টাইলে হত্যা করা হচ্ছিল তখন এই তুরস্কই দৌড়ঝাঁপ আরম্ভ করে এবং কিছুদিন পর কসোভোর মুসলিমদের জন্যও একই কাজ করে। আজকে বসনিয়া এবং কসোভো দুইটাই স্বাধীন রাষ্ট্র। চেচনিয়ার স্বাধীনতার জন্যও সবচেয়ে বেশী দৌড়ঝাঁপ করে তুরস্ক। চেচনিয়া সেই যাত্রায় স্বাধীনও হয়েছিল।

সারা বিশ্বে এমনকি বাংলাদেশের কাছেও জাস্ট দারিদ্র্যতার উপমা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ছিল মুসলিম দেশ সোমালিয়া। এই তুরস্কই একক উদ্যোগে সোমালিয়ার পাশে যেয়ে দাঁড়িয়েছে ঐ মুসলিম পরিচয়ের টানে।

একাডেমিক পড়াশোনা করে বিশ্বরাজনীতি সম্পর্কে কিছু শেখার সামর্থ্য বা ইচ্ছা যদি নাও থাকে তবে পত্রিকা পড়ুন। দেখবেন যে বিশ্বে যখনই কোন অতি এনারজেটিক তৎপরতা অথবা অসাধারন নৈপুণ্য প্রদর্শিত হয়, বিশ্বগণমাধ্যম  আজও তার উপমা দিতে যেয়ে বলে, Young Turks, বাংলায় লেখে তুর্কি নাচন! 

তাই আশাকরি, #বাংলাদেশ সরকারে কিছু লোক আছে যারা রোহিঙ্গা নিয়ে তুর্কিদের নাচানাচি দেখে, শুধু মুসলিম পরিচয়ের কারণেই  ওদের আন্ডারএস্টিমেট করবে না। তুর্কিদের ইতিহাস, ফরেন পলিসি নিয়ে পড়াশোনা করবে এবং মনে রাখবে যে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ওদের এক্টিভিটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এদের ডিসিশনের ফলে সিচুয়েশনে বড় রকমেরই ইমপ্যাক্ট হয়। এখন যেহেতু ওরা বাংলাদেশের আশেপাশে এসেছে তাই বাংলাদেশের উচিৎ হবে ম্যাচিওরিটির সাথে ওদের ডিল করা।

Tuesday, August 29, 2017

২৫ টি প্রশ্ন আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উত্তর !!

১.প্রশ্নঃ আমি ধনী হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, অল্পতুষ্টি অবলম্বন কর,ধনী হয়ে যাবে।
২.প্রশ্নঃ আমি সবচেয়ে বড় আলেম
(ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী) হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন,তাক্বওয়া অবলম্বন কর (আল্লাহ্ ভীরুতা) আলেম হয়ে যাবে।
৩.প্রশ্নঃ সম্মানী হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, সৃষ্টির কাছে চাওয়া বন্ধ কর,সম্মানী হয়ে যাবে।
৪.প্রশ্নঃ ভাল মানুষ হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন,মানুষের উপকার কর।
৫.প্রশ্নঃ ন্যায়পরায়ণ হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন,যা নিজের জন্য পছন্দ কর, তা অন্যের
জন্যেও পছন্দ কর৷
৬.প্রশ্নঃ শক্তিশালী হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন,আল্লাহর উপর ভরসা কর।
৭.প্রশ্নঃ আল্লাহর দরবারে বিশেষ
মর্যাদার অধিকরী হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন,বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ জিকির) কর।
৮.প্রশ্নঃ রিযিকের প্রশস্ততা চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, সর্বদা অযু অবস্থায় থাকো।
৯.প্রশ্নঃ সমস্ত দোয়া কবুলের
আশা করি ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, হারাম খাবার হতে বিরত থাকো।
১০.প্রশ্নঃ ঈমানে পূর্ণতা কামনা করি ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, চরিত্রবান হও ৷
১১.প্রশ্নঃ কেয়ামতের দিন আল্লাহর
সাথে গুনামুক্ত হয়ে সাক্ষাৎ করতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, জানাবত তথা গোসল ফরজ হওয়ার
সাথে সাথে গোসল করে নাও।
১২.প্রশ্নঃ গুনাহ্ কিভাবে কমে যাবে ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী ইস্তেগফার (আল্লাহর
নিকট কৃত গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা) কর।
১৩.প্রশ্নঃ কেয়ামত
দিবসে আলোতে থাকতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, জুলুম করা ছেড়ে দাও।
১৪.প্রশ্নঃ আল্লাহ্ তা’য়ালার অনুগ্রহ কামনা করি ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, আল্লাহর বান্দাদের উপর দয়া-
অনুগ্রহ কর।
১৫.প্রশ্নঃ আমি চাই আল্লাহ্ তা’য়ালা আমার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখ।
১৬.প্রশ্নঃ অপমানিত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করলেন, জিনা (ব্যাভিচার ইত্যাদি...) থেকে বেঁচে থাকো।
১৭.প্রশ্নঃ আল্লাহ্ এবং তাঁর
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট প্রিয়
হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, যা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পছন্দনীয় তা নিজের
জন্য প্রিয় বানিয়ে নাও।
১৮.প্রশ্নঃ আল্লাহর একান্ত অনুগত হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, ফরজ সমূহকে গুরুত্বের সহিত আদায়
কর।
১৯.প্রশ্নঃ ইহ্সান সম্পাদন কারী হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, এমন ভাবে আল্লাহর এবাদত কর যেন
তুমি আল্লাহকে দেখছ অথবা তিনি তোমাকে দেখছেন।
২০.প্রশ্নঃ ইয়া ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন বস্তু গুনাহ্ মাফে সহায়তা করবে ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করলেন,
ক) কান্না (আল্লাহর নিকট কৃত গুনাহের জন্য)
খ) বিনয়
গ) অসুস্থতা।
২১.প্রশ্নঃ কোন জিনিষ দোযখের
ভয়াবহ আগুনকে শীতল করবে ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, দুনিয়ার মুছিবত সমূহ।
২২.প্রশ্নঃ কোন কাজ আল্লাহর
ক্রোধ ঠান্ডা করবে ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ
করলেন, ....গোপন দান এবং ...আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা।
২৩.প্রশ্নঃ সবচাইতে নিকৃষ্ট কি ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ
করলেন, ...দুশ্চরিত্র এবং ...কৃপণতা।
২৪.প্রশ্নঃ সবচাইতে উৎকৃষ্ট কি ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ
করলেন,সৎ চরিত্র,বিনয়, এবং ধৈর্য্য ।
২৫.প্রশ্নঃ আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার উপায় কি ?
উঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, মানুষের উপর রাগান্বিত
হওয়া পরিহার কর। আল্লাহ্
তা'য়ালা আমাকে এবং সবাইকে আমল
করার তৌফিক দান করুন ।
আমীন।

Monday, August 21, 2017

অবহেলা

বার বার টোকা দেবে আবেগে
ইচ্ছে হলে খুলে দিব সীমান্ত,
না হলে দাঁড়িয়ে রবে
অন্ধকার ঘেঁষে,
মেপে দেখবে একাকীত্বের গভীরতা।

ইচ্ছে হলে নক্ষত্র  ফোঁটাবো করতলে
সহস্র শতদল হবে সাধনের সেবাদাস।
হরপ্পার টেরাকোটায় সাজানো হবে
সব অলিগলি,আদিম অভিলাষ।
ভাদ্রের  পহেলা লালদিন হবে
এক বিনীত  প্রণয় প্রহর।

বার বার ডাকবে,
ইচ্ছে হলে ফিরবো
না হলে মিলিটারির মত সড়কে পাহারা দেবে
শাশ্বত  সম্পদ।

বারবার  বলবে 'ভালবাসি, ভালবাসি'
ইচ্ছে হলে শুনবো
না হলে ভেসে যাবে
অবহেলার কোমল প্রলয়ে
সভ্যতার শিকার হবে  জানি
খরগোশের ভীরুতায়  পালাবে না তবু
মিটবে  না আড়াল খোঁজার সাধ।

Thursday, August 17, 2017

নিঃসঙ্গতা

সাড়া দেওয়ার নজরানা
বড্ড বেশী দামী হয়ে গেছে,
হঠাৎ করেই,
থেমে গেছে আকুতির ঝড়।
ক্লোরোফিলের অভাবে
বিবর্ণ জীবন,
থেমে গেছে সংশ্লেষণ।
থেমে গেছে কোলাহলপূর্ণ
এক বন্দরের কাজ,
সুখের বিবরে আমদানি রপ্তানি
তলিয়ে যেত যার।

কাঁচা পাকা রোদে
ভাঙেনা আর স্বপ্নের সকাল,
উপুড় হয়ে পড়ে আছে
মাধবী বিকেল।
জীবনের বারোবেলা
ঝলসে গেছে
মসৃণ উদাসীনতায়।

চাঁদের প্রান্তর ঘেঁষে
হাঁটা হয়নি জোৎস্নার অন্ধকারে,
হয়নি দেখা বর্ধিঞ্চু
অন্তরের প্রশ্রয়।
এখন শুধু নিজের ভিতরে
নিজের ঘোরা ফেরা
নিঃসঙ্গতাকে নিয়ে বসত করা।

Thursday, July 27, 2017

ভালো থাকবে কতদিন

আমি যার জন্য
অস্থির হয়েছি বার বার
আমি যার জন্য
বৃষ্টিতে ভিজেছি বার বার
সে আমাকে বলে তোমাকে ছাড়াই ভালো থাকবো
আমি যার জন্য
নিসঙ্গ রাত কাটিয়েছি বার বার
আমি যার জন্য
সন্ধ্যার একাকিত্তে অপেক্ষায় থেকেছি বার বার
সে আমাকে বলে তোমাকে ছাড়াই ভালো থাকবো
আমি যার জন্য
শিয়রে প্রদীপ জ্বালিয়েছি বার বার
আমি যার জন্য
দীর্ঘশ্বাসে নিজেকে সঁপেছি বার বার
সে আমাকে বলে তোমাকে ছাড়াই ভালো থাকবো
আমি যার জন্য
কবিতার শব্দমালা সাজিয়েছি বার বার
আমি যাকে ভালোবেসে
নিঃশেষ হয়েছি বার বার
সে আমাকে ছাড়া ভালো থাকবে কতোদিন কতো বার?

Tuesday, July 25, 2017

নারী-পুরুষের অলঙ্কার পরিধানের যে বিধান রয়েছে ইসলামে

ইসলামে নারী-পুরুষের অলঙ্কার পরিধানের বিধান মানব সভ্যতায় আদিকাল থেকে অলঙ্কারের ব্যবহার চলে এসেছে অলঙ্কার ধর্মবিশ্বাস, সংস্কৃতি, রুচী, বোধ, মননশীলতা ও সৃজনশীল মানসিকতার বহিপ্রকাশ অলঙ্কারের মাধ্যমে মানুষের জীবনাচার, ঐতিহ্য-ইতিহাস এবং আর্থিক অবস্থা, সামাজিক মূল্যবোধ ও ব্যক্তিত্বের প্রকাশ ঘটে।

অলঙ্কার প্রবর্তনের সূচনা কাহিনীরূপে কথিত আছে : হযরত ইবরাহীম (আ.) এর প্রথম স্ত্রী সারা তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হাজেরাকে সৌন্দর্যহানীর লক্ষ্যে কান ফুটো করে দেন পরবর্তীতে হযরত ইবরাহীম (আ.) হাজেরাকে কানে অলঙ্কার পরিয়ে দিলে তার সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পায় এখান থেকেই অলঙ্কার ব্যবহারের প্রচলন ঘটে (আল্লাহই ভালো জানেন) কুরআনুল কারীমে অলঙ্কার ব্যবহারের ইতিহাস হযরত মূসা (আ.) এর সময়কাল (এবং তার পূর্বকাল) থেকে জানা যায় সূরা আরাফের ১৪৮ নম্বর আয়াতে এর বর্ণনা পাওয়া যায় সূরা নাহল এর ১৪ নম্বর আয়াতে অলঙ্কার হিসেবে মুক্তার ব্যবহারে উল্লেখ রয়েছে সূরা ফাতির এর ১২ নম্বর আয়াতে অলঙ্কার হিসেবে প্রবাল ব্যবহারের কথা এসেছে

বেহেশতবাসীদের অলঙ্কার ব্যবহার : এ প্রসঙ্গে কুরআনুল কারীমে সূরা দাহার এর ২১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে জান্নাতবাসীদের রজত কাঁকন পরানো হবে সূরা কাহাফ এর ৩১ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে তাদের কাঞ্চন কঙ্কনে অলঙ্ককৃত হরা হবে সূরা হজ্জ এর ২৩ নম্বর আয়াতে ও সূরা ফাতির এর ৩৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে সেথায় তাদের স্বর্ণবালা ও মানিক্যালঙ্কারে সজ্জিত করা হবে

উম্মুল মুমিনীন ও মহিলা সাহাবীদের অলঙ্কার ব্যবহার : প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) এর সহধর্মিনীগণও অলঙ্কার ব্যবহার করতেন হযরত মা আয়িশা (রা.) এর গলার হার হারানোর ঘটনা অত্যন্ত বিখ্যাত, যে বিষয়ে পরবর্তি পর্যায়ে কুরআনে আয়াতও নাযিল হয়েছে প্রায় মহিলা সাহাবীগণ অলঙ্কার ব্যবহার করতেন বিভিন্ন সময় মহিলা সাহাবীগণ জিহাদের ব্যয় নির্বাহের জন্য নিজেদের হাতের বালা খুলে দিয়েছেন বলে হাদীসে উল্লেখ আছে নবীজী (সা.) কোন কোন বয়ানে মহিলাদের অলঙ্কারের যাকাত প্রদানের প্রসঙ্গও আলোকপাত করেছেন যা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণীত

অলঙ্কারের সিদ্ধ ও নিষিদ্ধ ধাতুসমূহ : লোহা ও স্টীলের অলঙ্কার পরিধান করা মাকরূহ; কেননা দোযখীদের শাস্তিস্বরূপ লোহার বেড়ী পরানো হবে এ ছাড়া অন্য যে কোন ধাতু বা বস্তু নির্মিত অলঙ্কার পরিধান করা যাবে

পুরুষদের অলঙ্কার ব্যবহার : পুরুষের জন্য রূপার আংটি ব্যতিত সকল প্রকার অলঙ্কারই নিষিদ্ধ বিশেষ করে সোনার আংটি ও সোনার চেইনসহ যাতীয় স্বর্ণালঙ্কার সমপূর্ণরূপে নিষেধ

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর অলঙ্কার ব্যবহার : আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) অলঙ্কার ব্যবহার করতেন না রাষ্ট্রিয় দাফতরিক প্রয়োজনে সীল মোহর হিসেবে রূপার অঙ্গুটি ব্যবহার করেছেন তাতে লেখা ছিল মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ তিনি এই আংটি ডান হাতে কনিষ্ঠাঙ্গুলে পরতেন তাই কারো মতে পুরুষ শুধু প্রয়োজনে আংটি ব্যবহার করতে পারবে, কারো কারো মতে পুরুষের জন্য সাধারণভাবে আংটি পরা অনুমোদিত; আবার কারো কারো মতে আংটি ব্যবহার করা সুন্নাত, তবে সর্বাবস্তায় সেটি হতে হবে রূপার

অলঙ্কার ব্যহারের অঙ্গসমূহ : পুরুষ শুধু হাতের আঙ্গুলেই রূপার আংটি পরতে পারবেন মহিলাগণ হাত, পা, নাক, কান, গলা, বাজু, কব্জি, হাতের আঙ্গুল, পায়ের নলা, পায়ের আঙ্গুল ও কোমরে অলঙ্কার পরিধান করতে পারবেন উল্লেখ্য যে, কান ফোঁড়ানো বা কান ফুটো করে তাতে অলঙ্কার ব্যবহার করা প্রমাণীত; কিন্তু নাক ফোঁড়ানো বা নাক ফুটো করে নাকে অলঙ্কারের ব্যবহার প্রমাণীত নয়।

যেসব অঙ্গে অলঙ্কার ব্যবহার করা যাবে না : বর্তমানে আরো কিছু কিছু অঙ্গে অলঙ্কার ব্যবহার করতে দেখা যায়, যেমনঃ ঠোট, চোখ, নাভী, জিহ্বা; এসব স্থানে অলঙ্কার ব্যবহার করা অপসংস্কৃতি ও উগ্রতার বহিপ্রকাশ; তাই এসব অনুমোদিত নয় ।

অলঙ্কারের উপকরণ : অলঙ্কারের উপকরণ হিসেবে সাধারণত সোনা, রূপা, ব্রোঞ্জ, পিতল, তামা, দস্তা, কাঁসা, স্টীল, লোহা, কাঠ, ফলের বিচি, শামুক-ঝিনুক, পোড়ামাটি, কাঁচ, চাঁচ, রাবার, প্লাস্টিক, পাথর (হিরা, চুনী, পান্না, রুবী, মার্বেল) মুক্তা ইত্যাদি ব্যবহার হয়ে থাকে মহিলাদের জন্য এসব বস্তু ব্যবহারে বাধা নেই; পুরুষের জন্য রূপার আংটি ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার জায়েজ নেই।

অলঙ্কারের অনুমোদিত ও অনুমোদিত ডিজাইন বা নকশা : নকশা বা আকৃতি হিসেবে ফুল, ফল, লতা-পাতা, গাছ-পালা, নিসর্গ ও প্রকৃতি অলঙ্কারের ক্ষেত্রে অনুমোদিত ক্রুশ, সাপ-বিচ্ছু, পোকা-মাকড়, প্রাণী এবং হারাম বাদ্যযন্ত্র ও জুতা-স্যান্ডেল ইত্যাদি যাতে বিধর্মীদের বিশ্বাস, সভ্যতা, সংস্কৃতির ছাপ থাকে অথবা, অপসংস্কৃতি ও উচ্ছৃখলতা প্রকাশ পায়

প্রচলিত বিভিন্ন প্রকারের অলঙ্কারের নাম-

নাকের অলঙ্কার: নাকফুল, বুট, নাকচাবী; নথ, নাকঠাঁসা, বুলবুলি, বালি, রেজবালি, চাঁদবালি/চন্দ্রবালি, নোলক, বোলক ইত্যাদি।

কানের অলঙ্কার : কানপাশা, কানের দুল, কানফুল, বৈঠাফুল, লটকাফুল, ঝুমকা, কানের বালি, মুড়কি ইত্যাদি

গলার অলঙ্কার : মালা, মুক্তার মালা, পুতির মালা, কাঠের মালা, চেইন, হার, চন্দ্রহার, সীতাহার, তাবিজ, লকেট, হাঁসুলী

হাতের কব্জির অলঙ্কার : চুড়ি, বালা, কাঁকন-কঙ্কন, শাঁখা, শঙ্খচুর, চুর, রুলি, ব্রেসলেট, ঘড়ি ইত্যাদি

হাতের বাজুর অলঙ্কার : বাজুবন্ধ, কালসী ইত্যাদি কোমরের অলঙ্কার:

বিছা পায়ের অলঙ্কার: পায়েল, নূপুর, মল, খাড়ু ইত্যাদি

মাথার অলঙ্কার : টিকলী, চুলকাঁটা, খোঁপা, বেনী, রাবার ব্যান্ড, কাপড়ের ব্যান্ড, ক্লিপ, টিপ ক্লিপ, কালো ক্লিপ, কাঁকড়া ক্লিপ ইত্যাদি

# বিশেষ দ্রষ্টব্য : ক্রুস বা ক্রস চিহ্নযুক্ত কোন অলঙ্কার ব্যবহার করা যাবে না; কারণ এটি খ্রিষ্টানদের ধর্ম বিশ্বাস ও সংস্কৃতির অংশ পৈতা (বিশেষ ধরণের কাঠের পুতির মালা) পরা যাবে না এবং সাদা শাঁখা, যা শাঁখ-শঙ্খ বা সামুদ্রিক শামুকের খোলস কেটে তৈরী করা হয় অথবা সে আদলে অন্য কিছু দিয়ে বানানো হয়; তা পরিধান করা মুসলিম রমণীদের জন্য বৈধ নয় কারণ এ উভয়টি হিন্দু সংস্কৃতি ও সনাতন ধর্ম বিশ্বাসের সাথে সম্পৃক্ত বিষয়

* অলঙ্কার ব্যবহারে ডান-বাম : হাদীস শরীফে আছে রসূলে কারীম (সা.) সকল কর্মে ডান দিককে অগ্রাধিকার দিতেন (সুনানে আবু দাঊদ) তাই যে কোন অলঙ্কার একক হলে ডান অঙ্গে পরা এবং ডান দিক থেকে পরতে শুরু করা সুন্নাত এই বিধান পুরুষ ও মহিলা সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য।

* অলঙ্কার ও পর্দা : মনে রাখতে হবে অলঙ্কার পরিধান করে গায়রে মাহরাম বা পরপুরুষের সামনে বেপর্দা হওয়া কোনক্রমেই বৈধ নয় অলঙ্কার শুধু আপন ও অনুমোদিত পরিবেশে পরতে হবে বেপর্দা হওয়া এমনিতেই গুনাহ, অলঙ্কৃতাবস্থায় পর্দা লঙ্ঘণ করা আরো কঠিন গুনাহ।

* মহর ও অলঙ্কার : বিয়ের সময় বরের পক্ষ থেকে কনেকে যে অলঙ্কার প্রদান করা হয়, তা মহর হিসেবে উল্লেখ করা থাকলে মহর হিসেবে গণ্য হবে; নচেৎ উপহার বা হাদিয়ারূপে পরিগণিত হবে পরবর্তিতে স্বামী স্ত্রীকে কোন অলঙ্কার দিলে তা মহর বলে নির্ধারণ করলে স্ত্রীর সম্মতি ক্রমে তা মহররূপে গণ্য হবে; নয়তো দান বা উপঢৌকন হবে।

* অলঙ্কারের যাকাত : কারো মালিকানায় সোনা সাড়ে সাত ভরি বা বেশী থাকলে তাকে সম্পূর্ণ সোনার এবং রূপা সাড়ে বায়ান্ন ভরি বা বেশী থাকলে তাকে সম্পূর্ণ রূপার যাকাত প্রদান করতে হবে এই সোনা-রূপা অলঙ্কার হোক বা অন্য যাই হোক না কেন ব্যবহারের অলঙ্কারসহ যাবতীয় স্বর্ণ-রৌপ্য যাকাতের আওতাধীন ।

শেষ কথা : এমন অলঙ্কার ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয় যা ব্যবহারে শোভা বর্ধনের পাশাপাশি ব্যবহারকারীকে আকর্ষণীয়, মোহণীয়, কমনীয়, রুচীশীল, সংস্কৃতিবান, ঐতিহ্যশালী করে তুলবে এমন অলঙ্কার ব্যবহার করা সমীচিন নয় যা ব্যবহারকারীকে অশোভন, লোভনীয়, অহঙ্কারী, উচ্ছৃঙ্খল, অশ্লীল, বেহায়া-নির্লজ্জ ও উত্তেজক হিসেবে দর্শকের সম্মুখে প্রকাশ করবে নহে সুন্দর দামী পোষাকে ও অলঙ্করণে; সুন্দর হলো জ্ঞানে ও ভদ্র আচরণে।

Sunday, July 16, 2017

ফিরে যাবে

ফিরে তো একদিন যাবেই,
করোটিতে ফোঁটা নেশার ফুল কতদিন আর টাটকা থাকবে।
কতদিন আর প্রশস্ত আশাকে
জমিয়ে রাখবে
সংকীর্ণ চিলেকোঠায়।
ফিরে  তো তুমি যাবেই।

পৃথিবীর সব পথ, সব গলি, আনাচেকানাচে  ঘুরে
ক্লান্ত হয়ে
ফিরে যাবে।
কতদিন আর নক্ষত্রের মত জ্বলজ্বল করবে
কক্ষচ্যুত  ইচ্ছে।
ফিরে তুমি যাবেই।
কত রাতকে খুঁড়ে খুঁড়ে
আর ভোর দেখবে।
ফিরে তোমাকে যেতেই হবে।

উর্বশী, রম্ভা আর মেনকাদের ভিড়ে
কতদিন নিজের ইচ্ছে গুলিকে
পাহারা দিয়ে রাখবে।
ফিরে তুমি যাবেই।