Sunday, December 27, 2015

একজন বাবা

একজন বাবা কাজের শেষে
দিনান্তে স্কুলের নোটিসবোর্ডে
আতিপাতি করে সল্প আলোয়
ঝাপসা চোখে সন্তানের রোল
খুজচ্ছেন উন্নীত হল কিনা?

একজন বাবা বাসায় ফিরে
দিনের ক্লান্তি ঢেকে সন্তানকে
পড়াতে বসান আসছে দিনের
কথাভেবে আসায় আসায়
ক্ষন গুনে যান অপেক্ষায়

একজন বাবা শিয়রে দাড়িয়ে
অসুস্থ সন্তানের মাথায় হাত
বুলিয়ে কত কথায় প্রবোধ
সন্তানের জন্য কত উদ্দেগ
কাউকে বুঝতে দেন না
তার কি নিজের কি চাওয়া

Tuesday, December 08, 2015

আমজনতার মঞ্চ


বাংলাদেশিরা বড্ডো বোকা। বোকারা গুইসাপ দেখলেই মা-পদ্মা বলে। উন্নতির নামে যে হৈচৈ করেছে বাকশাল স্টেট, একমাত্র জন্তুজানোয়ারদেরই অর্থনীতির খবর রাখার প্রয়োজন নেই। অর্থনীতিতে যে ধ্বস, ক্ষমতায় রাখার গ্যারান্টি দিয়ে যেভাবে লুটপাট করে যাচ্ছে বিদেশিরা, যেভাবে ভারতীয়দের জাহাজ নোঙর করতে শুরু করেছে... উন্নতির ডামাডোলে অন্তত আমাকে বোকা বানানো যাবে না। উন্নতির প্রমাণ থাকতে হবে পরিসংখ্যানে, ব্যক্তির মুখের কথায় নয়। একমাত্র জন্তুজানোয়ারদের দেশেই রাস্তাঘাটে মাইক আর বিলবোর্ড দিয়ে উন্নতি প্রচার করে মন্ত্রী-এমপিরা, অর্থনীতি সম্পর্কে যাদের শূন্য জ্ঞান। বিলবোর্ডে উন্নতি প্রচার একমাত্র জন্তুজানোয়ারদের কাজ। সুতরাং আমি নিশ্চিত যে, এই দেশের মানুষেরা এখনো গরু-গাধার সীমানা অতিক্রম করেনি। তাই প্রতিদিনই নিজের শোয়ার ঘরে আগুন দিয়ে আলুপোড়া খাচ্ছে।
প্রতিদিনই নতুন নতুন উন্নতির খবরে হাঁপিয়ে উঠেছি। ৩৫ বছরে আমেরিকাতে যতো উন্নতি, মনে হচ্ছে, এক বছরেই করে ফেলতে চায় বাংলাদেশ। আজ এই করবো, কাল সেই করবো, বিশ্বের ৩য় উঁচু ভবন হবে বাংলাদেশেই। শুধুই কি তাই? উঁচু ভবনকে ঘিরে তুলকালাম পরিকল্পনা যেন সত্যিই আমরা ধনী দেশ। অথচ বাস্তবে যা-তা। গণতন্ত্রের কবরের উপর জেগে উঠবে মেট্রোরেল, ৩য় উচ্চতম ভবন, পদ্মাসেতু, মুজিব স্যাটেলাইট, কর্ণফুলির তলে ট্যানেল, বাংলাদেশে চীনের সাবমেরিন ঘাঁটি ইত্যাদি।
৩য় বৃহত্তম উঁচু ভবনের সংবাদ ঘেটে চক্ষু চড়কগাছ। ইত্তেফাক সেটা ইচ্ছা করেই লুকিয়ে গেছে কারণ এখানেও দাদাদের গন্ধ। ইত্তেফাক লুকিয়ে গেছে ড. কালি প্রদীপ চৌধুরি নামক ব্যবসায়ীর কথা, যাকে এই ভবনটি তৈরির টোপ দিয়েছে অর্থমন্ত্রী। ইত্তেফাক লুকিয়ে গেছে, ১৬ বছর বয়সে কালিপদ ভারতে লেখাপড়া, এরপর মালয়েশিয়া হয়ে যুক্তরাষ্ট্র। কেন কালিপদর কথা লেখেনি? টাটার মতোই ভারতে এই লোকের বিশাল ব্যবসা। অতীতেও সাহারা গ্রুপ একই টোপ ফেলেছিলো। আসুন আমরা উন্নতির কবরে ঢুকে বাংলাদেশের শবের উপর দাঁড়িয়ে রক এণ্ড রোল পেটাই।

এবার ছেড়ে দে! কবরে বুড়াদে এক পা। এইসব বুড়াধুরাদের নিয়ে কেন টানাটানি? কেন ইস্রায়েল-ফিলিস্তিনের মতো রক্তপাত? ফাঁসি দিতে দিতে এমন কলংকমুক্ত করে ফেলেছে, সারা বিশ্বে ছিঃ ছিঃ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চোখে কিছুই পড়ে না। আলকাতরার মতো কালো কলংকে ঢেকে গেছে রাধা-রানীর গৌরবর্ণ দেহ। আমি বলবো, এইসব বলির পাঠাদেরকে ছেড়ে দে মা।
কালিপূজায় হিন্দুরা পাঠা বলি দেয়। বাংলাদেশেও স্বাধীনতা দিবসগুলোর আগে একটা করে পাঠা বলি। এবার আসিতেছে ১৬ ডিসেম্বরে পাঠা নিজামী। এদিকে মামা-ভাগ্নে কোম্পানির সিইও মুনতাসির মামুন বেজায় চটেছে। চটেছে ইমরান সরকারও। শাহারিয়ার কবির তো সব সময় চটেই থাকে। মনে হয় এরা পা উপরে মাথা নিচে, না হলে এইসব কথা কেউ বলে? সকলেই খারাপ, আমি একাই ভালো, এটাই এখন প্রচলিত বেদ।
মামা-ভাগ্নে কোম্পানির দাবি পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক কাট। ওলামা, মাশায়েক আর পুলিশের দাবি, জাকের নায়েক জঙ্গি ছড়াচ্ছে পিস টিভি কাট। হাসিনার দাবি, জামায়েত জঙ্গি দল, নিবন্ধন কাট। আমি বলবো, ১০০ হাজার যুদ্ধাপরাধী সৈন্য আর ১৯৫ জন হিটলারকে বেকসুর খালাস দিয়ে সাকাদের ফাঁসির মধ্যে অবশ্যই বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করার ন্যূনতম যুক্তি নেই। বরং বিরোধী নেতাদেরকে একটার পর একটা ফাঁসি। একথা এখন পরিষ্কার বলছে বিদেশিরাও। বিরোধীনেতাদেরকে ফাঁসি দিয়ে দেশটাকে উপনিবেশ বানানোর মাধ্যমে ৭৫এর মতোই আরেকবার আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা। জন্তুজানোয়ারেরা যত্রতত্র মল ত্যাগ করে, মানুষ করে নির্দিষ্ট জায়গায়। বলবো, পুঁজার আগে একটা করে বলির পাঠা না বোঝার মতো বোকা আমি নই।
বুদ্ধিহীনরা কথায় কথায় ন্যূনেমবার্গ ট্রায়ালের উদাহরণ দিচ্ছে কিন্তু মানুষগুলো এতো বেশি জন্তুজানোয়ার যে, উচিত জবাব দেয়ার মতো একটি কথাও বলতে শেখেনি। বিরোধীদল নয় বরং গাধাদের অভয়াশ্রম। নিরাপদে থাকতে হলে ২০ দলে যোগ দেও। আসল কথা, ন্যূরেমবার্গ নিয়ে বিশাল ধোকা। আমার সঙ্গে হাঁটুন। দেখুন, ২য় বিশ্বযুদ্ধে জাপান এবং ঠান্ডাযুদ্ধে কোরিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার উদাহরণ। ভিয়েতনামে দিনে ৫০০ টন বোমা ফেলতো নিক্সন। হিরোশিমা-নাগাসাকিতে বোমা মেরে আজো কলংকিত আমেরিকা। কোরিয়া ও কম্বোডিয়ায় কম্যুনিস্ট মেরে সাফ করে দিয়েছিলো আমেরিকা। আমেরিকার ঠান্ডাযুদ্ধ আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ একই সময়ের কথা।
এখও যদি বাংলাদেশিদের চোখ-কান না খোলে, বাকশালী স্টেটের মতো জঙ্গিবাদি দলের ষড়যন্ত্রে এই দেশ চলে যাবে অন্য দেশের হাতে। আব্বাস আর গাবগাছ এক নয়। লাল-সবুজ পতাকা হলেই বাংলাদেশ হয় না। তাকিয়ে দেখুন বাংলাদেশে আজ কাদের ভিড়? হিসাব করুন, কিহারে মুদ্রা নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয়রা। বস্তায় বস্তায় সোনা আর ড্রামে ড্রামে ফেনসিডিল। সীমান্ত খুলে দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বানিয়েছে ভারতীয় মাফিয়াদের জন্য আন্তর্জাতিক চোরাচালানের ঘাঁটি। আজ ভারতের ষড়যন্ত্রেই কথায় কথায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জিহাদ। পাকিস্তান ৭১এ এই করেছে, ওই করছে, যেন গলাবাজি করে নিন্দা করলেই পুরষ্কার পাওয়া যাবে। তাই যে যতো জোরে পারছে, বলছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক কাট। আসলেই কি তাই?
২য় বিশ্বযুদ্ধ এবং ঠান্ডা যুদ্ধে আমেরিকার নিষ্ঠুর ভূমিকার পরেও- জাপান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া কি আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক কাট করেছে? বন্দি যুদ্ধারপরাধীদেরকে নিজামী, সাকাদের মতো ঝটপট ফাঁসি দিয়েছে? নাকি ফেরত দিয়েছে? এছাড়াও রয়েছে মেন্ডেলার উদাহরণ, যে নাকি সবাইকে ক্ষমা করে দিয়ে সামনে তাকাতে বলেছিলেন। বরং আমি বলবো, পুঁিটমাছ দিয়ে যেমন কোরমা হয় না, একপয়সার বুদ্ধি দিয়ে রাষ্ট্র চালানো যায় না। তাকিয়ে দেখুন, জাপান, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার দিকে। দেখুন, হোয়াইট হাউজের সঙ্গে তাদের কি সম্পর্ক। বরং সব জানার পর একটি কথাই বলবো, বাংলাদেশ নয়, যদি কারো কলংকমুক্ত হওয়ার প্রয়োজন থাকে, সেটা জাপান, ভিয়েতনাম, কোরিয়া। কারণ মার্কিনীরা ওইসব দেশগুলোতে বছরের পর বছর যুদ্ধ বাঁধিয়ে রেখে যে পরিমাণ গণহত্যা করেছিলো... সিনজো আবে অর্থাৎ জাপানের প্রধানমন্ত্রী নিজমুখে ওবামাকে বললেন, আমরা অতীত ভুলে যেতে চাই। মার্কিন প্রেসিডেন্টরাও ওইসব দেশে গেলে গোরস্তানে ফুল দেয়। অতীত ভুলে যাওয়ার মাধ্যমে সত্যি সত্যিই কলংকমুক্ত হয়েছে জাপান, ভিয়েতনাম...।
আরো একটি কথা। ন্যূরেমবার্গ ট্রায়াল আমার মুখস্ত। হিটলারের গণহত্যার জন্য চাক্ষুস সাক্ষির প্রয়োজন ছিলো না। দেশজুড়েই গণহত্যার বদ্ধভূমি। ইহুদিদেরকে নাৎসীরা যেভাবে হত্যা করেছে বরং ফাঁসি না দিলেই ভিকটিমদের প্রতি অবিচার করা হতো, যে প্রমাণ দিতে পারবে না বাংলাদেশ। সাজানো নাটক নিয়ে আর কতো বলবো! যারাই কলংকমুক্ত করার ঢোল পেটাচ্ছে, তারা বিরোধিদলকে নিশ্চিহ্ন করছে। গণহত্যার কোন রকম দালিলিক প্রমাণ ছাড়াই গণহত্যা, গণহত্যা বলে চেঁচাচ্ছে। বড় বেশি বিরক্ত বোধ করছি। কলংকমুক্ত করতে গিয়ে এমন অবস্থা, বিদেশিরা এখন গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে যাচ্ছে ভিয়েতনামে। আমি বলবো, পুঁজার সময় পাঠা বলি দেয়া বন্ধ করা হোক।

আমি মনে করি, যদি একটা দেশের সঙ্গেও সম্পর্ক কাট করতে হয়, সেটা চীন। চীন এমনই একটি জন্তু, যাকে কোনকিছু দিয়েই চেনা যাবে না। ৭১এ চীনের কোন ভেটো পাওয়ার না থাকায়, নিক্সনের হস্তক্ষেপে নিরাপত্তা পরিষদে সদস্য করার মাধ্যমে ৭১এর বিরুদ্ধে ভেটোর ব্যবস্থা করলো আমেরিকা। এরপর স্বাধীনতার প্রশ্ন এলেই ভেটো দিয়েছে চীন-আমেরিকা। যুদ্ধের সকল অস্ত্র সরবরাহ করেছে চীন। চীন অস্ত্র সরবরাহ না করলে, পাকিস্তানের সেই ক্ষমতা ছিলো না। নিউইয়র্কে চীনা দূতাবাসের ভেতরে অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করতো পাকিস্তান-চীন-আমেরিকা। একমাত্র জন্তুজানোয়ারেরাই এইসব খবর রাখে না কিন্তু স্বাধীনতা স্বাধীনতা বলে চেঁচায়। ৭৪এর দুর্ভিক্ষের অন্যতম পার্টি চীন। গণবাহিনী, চীনাবাহিনী, মুজিববাহিনী সবগুলাকেই নকশাল পার্টি বানিয়েছিলো চীন। মুক্তিযুদ্ধ পছন্দ করেনি তাই এদের হাতে অস্ত্র এবং ট্রেনিং দিয়ে জনজীবনে নাভিশ্বাস তুলেছিলো চীন। মুজিব হত্যার পরোক্ষ পার্টিও চীন, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিলো ১৬ আগষ্ট ১৯৭৫। আরো বলতে হবে?
এবার বলুন, বাংলাদেশকে কলংকমুক্ত করতে হলে কার সঙ্গে সম্পর্ক কাট করতে হবে? উল্টা চীনের পেটের ভিতরে ঢুকে গেছে বাংলাদেশ আর পাকিস্তানকে কাট? আমি এদেরকে জগৎশেঠ ছাড়া আর কিছুই বলবো না।

ওলামা মাশায়েক, পুলিশ নামের আলাল-দুলালদের আবদার এবার পিস্‌ টিভি বন্ধ করুন। কারণ? জাকের নায়েকের লেজে জঙ্গি খুঁজে পেয়েছে তাই লাগাও আগুন। খেয়ে ফেললো ইটিভি, আমার দেশ, দিগন্ত টিভি... এবার দখল করবে পিস্‌ টিভি। আসিতেছে এনটিভি এবং বাংলাভিশন। ফেইসবুক, ভাইবার, ট্যাংগো সবকটার লেজে আগুন দিয়েছে। সবাই খারাপ খালি আমিই ভালো। পিস্‌ টিভিতে জঙ্গি কিন্তু স্টারজলসায় মথুরা বৃন্দাবন। যেন ভারতীয় সিরিয়ালগুলো দেখে ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে চরিত্রবতী নারী এবং ধোয়া তুলসিপাতা পুরুষ। যেন ভারতীয় সিরিয়ালগুলোর কারণে একটার পর একটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গণিকালয়। আমি বলবো, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। সবাই জঙ্গি একমাত্র বাকশালীস্টেট বাদে। সবাই খারাপ একমাত্র বাকশালীরা বাদে। সব টিভি বন্ধ, চলবে ভারতীয় চ্যানেল। জন্তুজানোয়ারদের জন্য টলয়েটের প্রয়োজন হয় না, হয় মানুষের জন্য।

প্রেক্ষাগৃহে আবার মুক্তি পাচ্ছে নিশা দেশাই। এতোবার ফ্লপ করেও এই নায়িকার শিক্ষা হলো না। হবে কেন? চিত্রপরিচালক ওবামার নেতৃত্বে সত্যিসত্যিই আমেরিকা একটি ভোতা দেশে। ভালো ছবি সম্পর্কে চিত্র পরিচালক ওবামার ন্যূনতম জ্ঞান নেই কিন্তু জোর করেই ছবি মুক্তি দেবে আর সঙ্গে সঙ্গে ফ্লপ। ওবামার নেতৃত্বে আমেরিকা সারা বিশ্বজুড়েই ফ্লপ। পিওন দিয়ে যেমন পোস্ট অফিস চলে না, সারেংগি শুনলে জঠরজ্বালাও মিটবে না। আবার মুক্তি পাচ্ছে নিশা দেশাই নামের দুইআনার মন্ত্রী ছবি। এরা যে কেন এতো বোকা হয়ে গেলো, মাথায় ধরে না। দেখেছি রেগ্যান, ক্লিন্টন, বুশের আমেরিকা। এই আমেরিকা এখন বাংলাদেশ। মন্ত্রী-এমপিরা কথা বলে বাংলাদেশের জন্তুজানোয়ারদের মতোই। যেমন কথার কোন মূল্য নেই, তেমনিই সারাক্ষণ একপক্ষকে লেজে আগুন দেয়া ছাড়া কাজ নেই। রিপাবলিকান আর বিএনপির একদশা। ডেমোক্রেট আর বাকশালীস্টেটের একরকম। দুইআনার মন্ত্রীরা আবারো লোক হাসাবে। এবার দুইআনার বদলে একআনা হবে। গোপালভাড় বেঁচে থাকলে লজ্জা পেতো। এই আমেরিকা অপরিচিত। বার্ণিকাট একটা কমেডিয়ান, গিবসন একটা জোকার, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত আর ভোদাই জগা এক টাইপের। মার খাচ্ছে পশ্চিমারা। জিতে যাচ্ছে চীন, জাপান, রাশিয়া, ভারত। লোক হাসাতে আবারো আসছে নিশা দেশাই। আসল কথা, অতীতের আমেরিকা দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে। এদেরকে ধরেছে আওয়ামী লীগের রোগে।

তুমুল প্রপাগান্ডর ঝড় তুলেছে বাকশালীস্টেট। এমন দিন নেই যখন একটি প্রপাগান্ডা নেই। এই হচ্ছে, সেই হচ্ছে, বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকদিন কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে? বাংলাদেশে কি প্রত্যেকদিনই হাত-পা গজায় নাকি সাইজে মোটাতাজা হয়? দুঃখের কথা আর কতো বলবো? সত্যি সত্যিই পশ্চিমের স্বর্ণ দিন শেষ। তা না হলে কেউ কি হাসিনাকে চিন্তাবিদ বলে? তবে কুচিন্তাবিদদের তালিকায় রাখলে সাবাশ দিতাম।
একটি জাতির যে পরিমাণ সর্বনাশ করলো, পশ্চিমের পত্রিকাগুলোই সবচে’ বেশি লিখছে কিন্তু তারপরেও তাকে চিন্তাবিদের খেতাব দেয়ার অর্থ, পশ্চিমারা এখন গোপালভাড়। দেশ চলছে প্রপাগান্ডায়, সিকিমতত্ত্ব বাংলাদেশে, একটার পর একটা ভারতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান ঢুকে পড়ছে এই দেশে। জগৎশেঠরা বেজায় খুশি, উন্নতির গণসঙ্গীতের পাগলা গারদ, আমরা পড়েছি মহাপাগলদের খপ্পড়ে। বলুন, আমরা সবাই নারায়নগঞ্জের নূর হোসেন।

ইস্টইন্ডিয়া কোম্পানির মতো, দীর্ঘ ৬ বছর ষড়যন্ত্রের পর লেন্দুপ জর্দিকে ভরণপোষণ করে ভারতের পতাকায় সিকিমকে যোগ করে ছাড়লো ইন্দিরা। দিল্লির কুটকৌশল বোঝার মতো রাজনীতিবিদ নেই। যারাই পাকিস্তানী উপনিবেশের সমালোচনা করে অচিরেই দেখবে দিল্লির উপনিবেশের সাইজ কতো? মোদির রাজনীতি যারা বোঝে না, উচিত বনজঙ্গলে যাওয়া। সুজাতা সিং-কে দিয়ে কি করলো কংগ্রেস? এই দেশের নির্বাচনে উলঙ্গ হয়ে নেমে পড়েছিলো ভারতীয়রা। আমাদের সীমান্ত এখন তাদের, আমাদের রাজনীতিও তাদের। তাই যখন খুশি বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে মানুষ খুন করে চলে যায়। এই বছরে ২৪ জন খুন, ১১ মাসে ৫৬ জন। বিজেবির হাতে একজন ভারতীয়ও খুন না হওয়ার অর্থ কী? এর অর্থ কি দাঁড়ালো?
খবরে প্রকাশ, ইউরোপের রিফিউজি ক্যাম্পে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে বাংলাদেশিরা কিন্তু অবৈধ সরকার টু-শব্দটি করেনি। এবার দেখুন ভারতের বন্যায়, মোদিকে কি বাণী পাঠালো হাসিনা। ভারতের বন্যদূর্গতদের পাশে থাকার জন্য কান্নাকাটি করে মোদিকে চিঠি। ওই চিঠির ভাষা পড়ে আমি থ। অন্তত এর এক চিমটি সমবেদনাও পায়নি রিফিউজি ক্যাম্পের বাংলাদেশিরা। এর মানে হলো, লেন্দুপ জর্দি। লেন্দুপদের কাছে স্বদেশিরা মূল্যহীন, ভারতীয়রা মূল্যবান। কানে ধরে সবকিছু আদায় করে নিলো মোদিভাই। এখন আমাদের আকাশ-বাতাস, স্থলসীমাতে ওদের অবারিত প্রবেশ। যখন খুশি মানুষ খুন করে চলে যায়। বাংলাদেশিরা খুশি কারণ ক্ষমতা চিরন্তন। বাকশালীদের কলেরগান আর জয়হিন্দের জাতীয়গান্ত এক বাঁশিতে। যা বলছিলাম, একথা স্পষ্ট, ভারতে বন্যা হলে কান্নাকাটি করবো, সীমান্তের ভেতরে ঢুকে মানুষ মারলে চুপ থাকবো, প্রত্যুত্তরে কটি গুলিও করবো না। ১১ মাসে ৫৬ জন এবং এই বছর ২৪ জনকে হত্যার জন্য মোদিভাইকে পাঠাবো অভিনন্দনপত্র। সাবাশ বাকশালীদের বাংলাদেশ!

গণগ্রেফতারের সুফল নিয়ে আগেও লিখেছি, আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছি। এছাড়া বিরোধীদলের আন্দোলন এগিয়ে নিতে বিকল্প পথ নেই। খালেদা জিয়ার থিংকট্যাংক এখন গুয়েরট্যাংক। রোগে, শোকে, বয়সে কাতর খালেদা। তার কাছ থেকে আশা করা ছেড়ে দিয়েছি। লন্ডনে ২ মাস পার করার পরেও পরিবর্তন নেই। একটার পর একটা ডান্ডা কিন্তু টু-শব্দটি নেই। খালেদা জিয়াকে লাইফ সাপোর্টে বাঁচিয়ে রেখে গেইম থিওরি খেলছে বাকশালীরা।
গেইম থিওরির অন্যতম, কৌশলে প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করা। লক্ষ্য করুন, আমাদের সঙ্গিত, মিডিয়া, শিক্ষাঙ্গন, হাঁচি, বিষফোঁড়া, অশ্বরোগ, চুলকানি, বাসররাত... সবখানেই ৭১। ৭১ কি নূন যে, এছাড়া তরকারি হবে না? স্বাধীন হওয়া প্রতিটি দেশেই ৭১ হয়েছে কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোন দেশ অতীতে বাস করে। বাংলাদেশের পরে স্বাধীন হয়েছে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া কিন্তু কখনোই দেখিনি, এরা ঠান্ডাযুদ্ধ নিয়ে সারাক্ষণ নিজেদের মধ্যে প্যাঁচাল পারে আর যুদ্ধ করে। একমাত্র আমরাই সারাক্ষণ ৭১ নিয়ে যুদ্ধ করছি, করেই যাচ্ছি। ৭১এর অশেষ যুদ্ধ ৪৪ বছরেও শেষ হয়নি, বরং বাকশালীরা আমাদেরকে ৭১এই বন্দি রেখে পুঁজি কামাচ্ছে।
মাথা থেকে পা পর্যন্ত, চামড়ার ভেতরে এবং বাইরে, গণিকালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, টেলিভিশন থেকে বঙ্গভবন, সর্বত্রই ৭১ আর ৭১এর চিৎকার। এই চিৎকারের সঙ্গে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে “ইমরান সরকার যাত্রাদল”, “মামা-ভাগ্নে নাটকের দল”, “ড. আনিসুজ্জামন র্যা প মিউজিক ব্যান্ড”... সবাই বলে ৭১, জোরছে বলো, ৭১।
আসল উদ্দেশ্য এইরকম। ৭১-কে ঘিরে যেসকল গোপন ষড়যন্ত্র হয়েছিলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে, মানুষ যেন না জানতে পারে, সেইজন্য ৭১এর বোঝা চাপিয়ে দিয়ে জাতিকে সারাক্ষণ ব্যস্ত রাখা। ৭১ ছেড়ে ৭২, ৭৩ কিংবা ২০১৫ সনে পৌঁছে গেলে, এই জাতি জানতে চাইবে গোপন ষড়যন্ত্র। ফাঁস করে দেবে, পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশ দখলের ষড়যন্ত্র। পাকিস্তানকে দুইখন্ড করে এখন যা হচ্ছে, এই পরিকল্পনা ৬৩ সনের আগারতলায়। ৭১এর বাইরে ঢুকতে দিলেই, শিশু সাবালক হবে। সাবালক হলেই জানতে চাইবে তার নাম, ঠিকানা, বংশপরিচয়। এই প্রশ্নের উত্তর সাবালকের বাবা-মা দিতে পারবে না। এর নাম গেইম থিওরি।

১০
আবারো রাষ্ট্রপতির সিঙ্গাপুর যাত্রা? আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। যে রাষ্ট্রপতি টুলে বসে ঈদের নামাজ পড়ে, সেই রাষ্ট্রপতি হেঁটে প্লেনে চড়লে আমার খুব কষ্ট হয়। দেশের রাজনীতিবিদরা কেউ দেশে চিকিৎসা করে না বলে আমার খুব কষ্ট হয়। চিকিৎসকদের উপর রাজনীতিবিদের ঘৃণা এবং অনাস্থা দেখে কষ্ট হয়। আবারো গরিবের টাকায় ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি। আবারো নিজের দেশের ডাক্তারদের উপর অনাস্থা রাষ্ট্রপতির। আবারো দেশের মুদ্রা বিদেশি ডাক্তারদের হাতে তুলে দেয়া। আবারো গার্মেন্টস কর্মিদেরকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বলা, তোরা ট্রেড ইউনিয়ন করলে আমার খরচ যোগাবে কে? তোরা কাবাব না হলে, আমার চিকিৎসার জন্য বছরে লক্ষ লক্ষ ডলার যোগাবে কে? এই রাষ্ট্রপতি বছরে ৪ বার বিদেশ যায় চিকিৎসা নিতে। আমার সমস্যা, মুক্তিযুদ্ধ না করেই যারা মুক্তিযোদ্ধা। আমার লজ্জা, মুক্তিযুদ্ধে যারা পাকিস্তানীদের সঙ্গে আতাঁত করেছিলো, তারাই যখন মুক্তিযুদ্ধকে নিলাম করে এর জমিদারি কামাচ্ছে। আমার একটি প্রশ্ন, খেয়েদেয়ে এই দেশের রাষ্ট্রপতির কাজটা কি? পদেরই বা প্রয়োজন কি! বরং লক্ষ টাকার হাতি না পুষে একে বিলুপ্ত করা জরুরি।

Tuesday, December 01, 2015

বাংলা সিকিম

ভারত আমাদের সর্বনাশ করে অদৃশ্য সিকিম বানিয়েছে
♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
আমজনতার মঞ্চ

খালেদার এখন ডু অর ডাই। আন্দোলন কিভাবে চালাতে হয়, জানেন না ম্যাডাম। সহজ পথ ছেড়ে দিয়ে, কঠিন পথে নামলে, ওই সুযোগে আওয়ামী হাইকমান্ড যতো পেরেছে বোমাবাজি করে মানুষ হত্যা শেষে সকল দায় চাপিয়েছে ম্যাডামের উপর কিন্তু প্রতিউত্তরে ম্যাডাম বোবা এবং ঠসা। হাসিনার বক্তব্য, খালেদার পাশে বসলে নাকি মানুষ পোড়া গন্ধ পায় এবং সেজন্যই খুনির সঙ্গে আলোচনা নয়। আমার উল্টা প্রশ্ন, ৩০৩ দিন হরতালের বিশ্বরেকর্ড, ২৮ অক্টোবর ২০০৬ সনে পল্টনে রণক্ষেত্র বাঁধিয়ে পিটিয়ে-পুড়িয়ে মানুষ মারা, জনতার মঞ্চ বানিয়ে পাইকারি সন্ত্রাস এবং ক্ষমতায় যেতে অবরোধের নামে জনজীবনে নরক নামিয়ে আনা... ম্যাডামের নাক কি বন্ধ হয়ে গেছে? পোড়া গন্ধ কি ঢোকে না? এই পর্যায়ের বিরক্তিকর নেতৃত্ব আমি জীবনেও দেখিনি। ম্যাডামের হাতে আওয়ামী সন্ত্রাসের লক্ষ দলিল কিন্তু ম্যাডাম কথা বলে বিবেকানন্দের মতো। বলেন আমি হাসবো না কাঁদবো?
প্রাচ্যের আফ্রিকায় যতোগুলো ইস্যুর সৃষ্টি করলো আওয়ামী মার্সিনারিরা, অন্য কোন দেশে এক-সহস্রাংশ হলে, সরকার পতন হয়ে যেতো। হয়নি? গেলো ১ বছরে পশ্চিমের প্রায় ৬ প্রধানমন্ত্রী সামান্য কারণে পদত্যাগ করেছেন, যার অন্যতম নাইটক্লাবে আগুন কিংবা সমুদ্রে জাহাজ ডুবির দায় কাঁধে নিয়ে। বাংলাদেশে যে পরিমাণ অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে প্রতিদিন, অবৈধ সরকার পতন না হওয়ার জন্য দায়ী- খালেদার বুদ্ধিহীনতা।
প্রাচ্যের আফ্রিকা বলতে বাংলাদেশ, যেখানে মিথ্যা গণতন্ত্রের নামে গডফাদাররা দিনদুপুরে খুন্তখারাবি করে কিন্তু দেশজুড়ে পয়দা হওয়া জগৎশেঠদের কারণে সবার মুখে উল্টা উন্নতির খুদবা। অবস্তা এমন, উল্টা আফ্রিকা থেকে সৈন্য এনে বাংলাদেশ পাহারা দেয়া উচিত। আফ্রিকায় অন্তত জনে জনে নিরাপত্তা দিতে হয় না, কিন্তু আমাদের হয়। যেমন, শাহারিয়ার কবির, ড. আনিসুজ্জামন, ইমরান সরকার, লেখক, প্রকাশক, ব্লগার, ডিপ্লোমেট পাড়া, এমনকি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বুয়াদের জন্যও রাষ্ট্রের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। আফ্রিকাতে গণতন্ত্র নেই সুতরাং তাদের গডফাদার মন্ত্রীরা যদি রাস্তাঘাটে যাকে খুশি গুলি করে, অবাক হওয়ারও কিছু নেই। আমাদের মন্ত্রী-এমপিরা গণতন্ত্রের নামে দিনরাত মিথ্যা বলছে এবং শিশু ও রিক্সাওয়ালাকেও গুলি করছে। মানুষের বেডরুমে ঢুকে বৌ ছিনতাই করছে, বেডরুমের বাইরে ইটিভি ছিনতাই করে প্রমাণ দিলো, এরা আফ্রিকান মার্সিনারিদের চেয়েও খারাপ। অবশ্যই আফ্রিকান মার্সিনারিদের এনে আমাদের গণতন্ত্র পাহারা দেয়া উচিত কারণ, আমাদের ওয়ারলর্ডদের চেয়ে আফ্রিকানরা নিরাপদ। বিএনপির জন্য আওয়ামী লীগের চেয়ে নরকও নিরাপদ। জাতিসংঘের শান্তিবাহিনীর প্রায় ৯ হাজার সদস্য বাংলাদেশি হওয়ায় আমরা দারুণ লজ্জিত। এদেশের সৈন্যরা আফ্রিকাতে কি পাহারা দেয়? বান কি মুনের প্রয়োজন মোটা অংকের চাঁদা, তাই তার মুখে কুলুপ, ষড়যন্ত্রের অন্যতম খলনায়ক।
এখন জিরো আওয়ার। আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভিটির ভারসাম্যহীন সময় এটা। খালেদার ডু অর ডাই। জরুরি প্রয়োজন গণগ্রেফতার। ১ জন গ্রেফতার হলে ১০ জনকে তৈরি রাখা। ১০ জন হলে ১০০ জন। ৫০ জন হলে ৫০০ এবং ১০০ হলে ১ হাজার। অর্থাৎ ১ঃ১০। প্রয়োজনে আনুপাতিক হার বাড়িয়ে দিয়ে গণগ্রেফতারে সরকারকে এমন ব্যস্থ রাখতে হবে যেন গ্রেফতার করতে করতে সরকার নিজেই পাগল হয়ে যায়। যেন গ্রেফতার করতে করতে চোখে পথ না দেখে। যেন গ্রেফতারের বদলে পালানোর পথ খোঁজে।
কতো গ্রেফতার করবে? ৫৬ হাজার বর্গমাইলে কতো জায়গা আছে? লক্ষ লক্ষ কয়েদি রাখার কয় লক্ষ জেলখানা তৈরি করবে। অবৈধ সরকারের হাতে কয় লক্ষ পুলিশ যারা, লক্ষ লক্ষ বিরোধিনেতাকে গ্রেফতার করেও রাতের বেলায় নিশ্চিন্তে ঘুমাবে? অবৈধ সরকারের কোষাগারে কতো লক্ষ কোটি টাকা, যা দিয়ে জেলখানা তৈরি করে, ক্ষমতা দখলে রাখতে পারবে? এতো টাকা, পুলিশ, মিস্ত্রি আছে? ধরা যাক ৪ কোটি বিএনপি কর্মি, ভাবতে পারেন, ১ কোটিও যদি রাস্তায় নেমে গণগ্রেফতারে বাধ্য করে, চাঁদে পালিয়ে যাবে সরকার। প্রতি ১২০০ জনে মাত্র একজন পুলিশ, জেলখানায় ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৭০ হাজার কিন্তু ইতোমধ্যেই ৪ গুণ বন্দি। ১ কোটিকে কোথায় রাখবে? খালেদার মাথায় এইসব চিন্তা নেই। খালেদার প্রধান অস্ত্র বিপুল কর্মিসম্পদ, এদেরকে রাস্তায় নামালে দিল্লি এবং গণভবন, ৫ জানুয়ারিসহ বঙ্গপোসাগরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে বাঁচতো। গণগ্রেফতারের ক্ষমতা ৬৯এ দেখেছে বাংলাদেশিরা, মার্কিনিরা দেখেছিলো ড. কিং-এর আন্দোলনে। খালেদা জিয়া আসলে কিছুই জানেন না অন্যথায় রেডিক্যাল কম্যুনিস্ট সরকার এখনো ক্ষমতায়? ডু অর ডাই খালেদা।
২ অথবা ১০ জন নয়, স্বৈরাচারেরা গ্রেফতার করছে হাজারে। পুলিশের আইজি একটা আপাদমস্থক প্রধানমন্ত্রী। এই প্রশাসনের ঘরে ঘরে মন্ত্রী। টেলিভিশনের বাক্সে মন্ত্রী। মন্ত্রীর আত্মীয়স্বজনরাও প্রধানমন্ত্রী। এই দেশে কতোগুলো প্রধানমন্ত্রী বলা মুশকিল। গণভবন ভরা প্রধানমন্ত্রী। অর্থাৎ ইরানের শাহ্‌ এবং তার পরিবার। কতোগুলো প্যারালেল সরকার বলা মুশকিল। ইমরান সরকারও, সরকার। অর্থাৎ আফ্রিকার নৈরাজ্যকেও হার মানিয়েছে। কোন কোন গ্রামে বিরোধিদলের সব পুরুষ পালিয়ে গেছে। কোন কোন শহরে বিরোধিদলের সবাই হাওয়া। অধিকাংশই আত্মগোপনে কিংবা দেশ ছেড়েছে। রাজধানীতে যারাই নেতৃস্তানীয় এবং উঁচুস্থরের কর্মি, যদি ভদ্রভাষায়ও বলি, জালিম সরকারের একটাই কাজ, প্রত্যেকের লেজে আগুন দেয়া। কাজ না থাকলে করবেটা কি? আজ সড়কের মাথা উদ্বোধন, কাল পা, পরশু হাত। এই তো প্রতিঘন্টায় উন্নতির সরকার। বছরের পর বছর বিনা বিচারে জেলখানায় রেখে স্লোপয়জনিং করছে, কেউ কেউ মারাও গেছে। মাহমুদুর রহমান এবং বাবর মৃত্যুপথে। পিন্টুকে আগেই মেরেছে। কয়টা বলবো? সাধারণত স্টালিন কিংবা ক্যাস্ট্রোর মতো নৃশংস্য ফেরাউনরাই এই ধরনের অত্যাচারের দৃষ্টান্ত। অবৈধ সরকার আপাদমস্থক রেডিক্যাল কম্যুনিস্ট। গণতন্ত্রের কথা বলে ৬৯এর আন্দোলন, পেয়েছি ৭৫এর কম্যুনিস্ট সংবিধান। খালেদা ডু অর ডাই।
ক্ষমতা দখলের পরেই র-এর সৈন্যরা এসে বিডিআর হত্যাকান্ড ঘটিয়ে ব্রিলিয়ান্ট অফিসারদেরকে হত্যা করলো। পাখির মতো মানুষ মারছে সীমান্তে কিন্তু একজন ভারতীয়কেও বিজেবি হত্যা করেছে বলে খবর নেই। ২০১৫ সনে আজব্দি হত্যা করেছে ২৪ জন। কিন্তু অবৈধ সরকার কখনোই এর প্রতিবাদ করে না। করবে কি করে? এখানেই বিডিআর হত্যাকান্ডের সাফল্য। অর্থাৎ সীমান্ত বিএসএফ-এর দখলে। বিজেবির জন্য সীমান্তের ৬ মাইল পর্যন্ত নিষিদ্ধ। ভারতীয়রা মরে না শুধুই বাংলাদেশিরা মরে, এরপরেও প্রমাণ চাই?
ডু অর ডাই খালেদা। বিরোধিদলকে প্রায় নির্মূল করে ফেলেছে নব্য ফেরাউন। পাইকারি হারে গ্রেফতার করে ভরে ফেলেছে কারাগার। মৃত্যুঝুকিতে খালেদার বহু নেতাকর্মিদের অন্যতম মির্জা ফকরুল। তার ধমনীর যে জায়গায় ব্লক, যে কোন সময় মৃত্যু হতে পারে কিন্তু জেনেশুনেও রিমান্ডে পাঠিয়েছে বিচারহীন বিচারকেরা। যাদের হাতে বিচারের ভার, তারাই যখন দিনদুপুরে অপরাধ করে, বিচার উঠেছে চিতায়। যে বেটা কালো মানিক অতীতে আপিল বিভাগের বিচারপতি, বেঈমানটা এখন টকশো করে? এই লোক এখন সাপ এবং ওঝার ভূমিকায়। টকশোতে বসে জামায়েত-বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার বুদ্ধি দিচ্ছে আপিল বিভাগের এই বিচারক। ট্রাইবুন্যালের নামে জুডিশিয়াল কিলিং, আর কি প্রমাণ চাই? খালেদা ডু অর ডাই।
খালেদার মনোজগত বোঝা কঠিন। আমনের দরে জেলেহাজতে ভরছে হাজার হাজার নেতাকর্মি কিন্তু তিনি নিরব। গণগ্রেফতারের কথা তার মাথায় নেই। আমি জানি, রাস্তায় যদি হাজার হাজার নেতাকর্মির ঢল নামতো, যদি গণগ্রেফতারে বাধ্য করা হতো, যদি শান্তিপূর্ণ মিছিল করে শ্লোগান দিয়ে ভরে ফেলতো আকাশ-বাতাস... পালানোর পথ খুঁজে পেতো না ভয়ংকর হাসিনা। তার অবস্তা হতো আফ্রিকার চার্লস টেইলরের মতো। কারণ তার সরাসরি নির্দেশেই বিরোধিদলকে নির্মূল করা হচ্ছে। নেতাকর্মিরা পালিয়ে না থেকে গণগ্রেফতারে বাধ্য করতে সমস্যা কি?
পশ্চিমে যতো মুভমেন্ট, গণগ্রেফতারের জন্য মুখিয়ে থাকে নেতাকর্মিরা। গ্রেফতার হওয়ার জন্য এগিয়ে এসে পুলিশকে উত্তপ্ত করে। এমনকি মহাত্মা গান্ধিও ১৯১৫ সনে আফ্রিকাতে সেটাই করে পরবর্তীতে মহাত্মা গান্ধি হতে পেরেছেন। তাকে অনুসরণ করেছেন, ম্যান্ডেলা এবং ড. কিং। কারণ, প্রতিটি গণগ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হয়। সাধারণ মানুষ তখন প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্বরব হয়। এইভাবেই মুভমেন্টের উপর ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে দাবি আদায় করে এক্টিভিস্টরা। এভাবেই আন্দোলন সফল হয়। খালেদার উচিত এখনই নেতকর্মিদেরকে গণগ্রেফতারের জন্য রাস্তায় নামিয়ে দেয়া। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মি শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় নামলে, একবার ভাবুন...।

দেশ কতোটা ব্যক্তিমালিকানায়, আজ তার প্রমাণ দিলো স্বঘোষিত মাস্তান মেয়র আনিসুল হক। অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর নেক নজরে আসার জন্য ট্রাকস্ট্যান্ডের লেজে আগুন দিতে গিয়ে গোলাগুলির পর, যা ঘটলো সকলেই দেখেছে। হনুমানের হাতে খন্তা দিলে যা হয়।
মস্তিষ্কহীনরা একেকটা দুর্ঘটনা ঘটায় আর গুলিগালাজ হলেই টাকা দিয়ে মিটিয়ে ফেলে। যেমনটি হয়েছিলো, হেফাজত এবং ৭ মার্ডারের বেলায়। ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। আজ কি হলো? গুলিগালাজের পর, ট্রাক মালিকদের খবর পাঠালো, প্রধানমন্ত্রী নাকি ট্রাকস্ট্যান্ডের জন্য নগদ অর্থ বরাদ্দ করেছেন। এরপর সবাই খুশি। একেই বলে হনুমানের হাতে খন্তা। এতো টাকা কোথায় পায়? টিআইবি এবং রওশনের অভিযোগ রানাপ্লাজার ১০৮ কোটি টাকা এখনো প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণতহবিলে। আমাদের প্রশ্ন, টাকা আর কোত্থেকে আসে? এদিকে ফেইসবুক বন্ধ করে মুদ্রাপাচারকারি খুঁজছে। ভাগ্যের কি পরিহাস! একজন প্রধানমন্ত্রীকেই যদি বারবার গন্ডগোল বাঁধিয়ে শোধরাতে হয়, সেটাকে কি বলবো?

মুদিখানার মতো টেলিভিশনের দোকান খুলে বসেছে খয়েরখালীগ। যারাই ব্যতিক্রম, আক্রান্ত হচ্ছে যেমন, দিগন্ত টিভি এবং আমাদের দেশ পত্রিকা। ইটিভি চেয়ারম্যানকে কারাগারে রেখে ছিনতাই করলো ২১শে টিভি। আনিসুল হকের নাটক শেষ হলে, প্রতিটি মুদিখানার টকশোতে ট্রাকস্ট্যান্ড নিয়ে আলোচনা, যেন এই দেশে করার আর কিছুই নেই। দুএকজন যারা সমালোচনা করতো, যেমন পরিবেশবিদ ইকবাল হাসান, এখন দেখি সেও খয়ের খা। একটি আলোচনায় ৪ জন গেস্টের ৩ জনই মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ৯ বার বললো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনারাই বলেন, আর কতোবার মাননীয় বললে যথেষ্ট মাননীয় বলা হয়? আমি একেবারেই নিশ্চিত, যে হারে মাননীয়, মাননীয় বলতে থাকে, সবকটাই রামছাগলে রূপান্তরিত হয়েছে। আমি ভুল হলে প্রমাণ করুন। প্রতিটি মানুষই নানানভাবে কথা বলে কিন্তু সবকটা রামছাগলই একরকম চিৎকার করে।

বলতে চাইনি কিন্তু বলতে হচ্ছে। ব্লগার হত্যা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। কিন্তু সুযোগ সন্ধানীদের যেন কপাল খুললো। ভিসা নিয়ে রাতের অন্ধকারে একটার পর একটা বিদেশে পালানোর ধুম। মানবজমিনে দেখলাম, আমেরিকার উদ্দেশ্যে রাতের অন্ধকারে প্রকাশক টুটুলের দেশত্যাগ। প্রস'তি নিচ্ছেন ব্লগার রণদীপম বসু। পালিয়ে গেছে শাম্মি হক এবং অনন্ত আজাদ। আরো অনেকেই জার্মানি, ইংল্যান্ড, আমেরিকাতে পালিয়ে যাওয়ার পথে। সময় প্রকাশনীর ফরিদ নাকি ভারতে পালিয়ে আছে। বলতে হয় না তবু বলছি, কয়েকজন ব্লাগার হত্যা হওয়ার পর, যেভাবে রাতের অন্ধকারে অনেকেই দেশ ছাড়ছে, যেন এটাই তারা চেয়েছিলো। কেন বলছি? কারণ, আমি ভুল হলে, তাদের উচিত ছিলো চোরের মতো পালিয়ে না গিয়ে বীরের মতো গণভবনের সামনে আমৃত্যু অনশন করে দায়ী ব্যক্তিকে পদত্যাগে বাধ্য করা।
৫ জানুয়ারিতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে একদলীয় শাসন কায়েমের মাধ্যমে একটি বিশাল বিরোধিদলকে যেভাবে ধ্বংস করলো, খুনিরাও এইরকম বেসামাল শাসকের অপেক্ষাতেই ছিলো। বেসামাল শাসক একদিকে রাষ্ট্রধর্মও রাখবে আবার বলবে ধর্মনিরপেক্ষ। রাষ্ট্রধর্ম থাকলে ধর্মনিরপেক্ষ হয় কি করে, বোঝার মতো মস্তিষ্ক রামছাগলেদের নেই। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে ধর্মের বিরুদ্ধে যা কিছু বলা যাবে। রাষ্ট্রধর্ম থাকলে, ধর্মের বিরুদ্ধে টু-শব্দটিও করা যাবে না। ইহুদিরা কখন মুসলমান হয়? অন্তত আমার জানা নেই। বলছি, হাসিনা না হয়ে যদি একটা তালগাছও প্রধানমন্ত্রী হতো, দেশের অবস্তা এতো খারাপ হতো কি? দেশটাকে আইসলদের জন্য উন্মুক্ত করলো যে ব্যক্তি, তার বিরুদ্ধে আন্দোলন না করে, রাতারাতি যারাই চোরের মতো পালিয়ে যাচ্ছে, বলবো, আপনাদের ভাগ্য খুলেছে। হয়তো নিজেদের ভাগ্য গোছাতে এটাই চাইছিলেন।
ফরিদের কথাই যদি বলি, তার বিশ্বাস, মুক্তিযুদ্ধ এবং যুদ্ধাপরাধ নিয়ে বই প্রকাশ করার অপরাধে হুমকি দিচ্ছে। এই ধরনের লোকজনদের নিয়ে বড়ই বিপদে আছি। চেতনা আর মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এতো মাথাব্যথা? এসব নিয়ে আর কতো বই বের করতে হবে? কয়জন পড়ে? এইসব লিখে জাতির কি উপকার করছে? মানুষের উপর কি প্রভাব ফেলছে চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধের বই? নাকি উল্টা ফিলিস্তিনের যুদ্ধ বাঁধিয়েছে প্রকাশকরাও। চেতনা আর মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ীদেরকে অন্তর থেকে ঘৃণা করি কারণ মহৎ একটি কাজকে ব্যবসা বানিয়ে প্রচুর কামাচ্ছে। চেতনা আর মুক্তিযুদ্ধের বারোটা বাজিয়ে স্বর্ণের নামে ভেজাল ক্রেস্ট দিয়েছে। ৭১এর নামে লক্ষ কণ্ঠে জাতিয় সঙ্গিতের নামে প্রচন্ড চাঁদাবাজি করেছে। আমি ভুল হলে প্রমাণ করুন, বিদেশিদেরকে দেয়া সোনার ক্রেস্টে ভেজাল ছিলো না? প্রমাণ করুন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে পালিয়ে থাকতে দেশে এবং বিদেশে মুজিব পরিবার কি পাকিস্তানীদের আশ্রয়ে ছিলো না? সব কথাই বলতে নেই কিন্তু বলতে বাধ্য করা হচ্ছে।

ভারতের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছে নেপাল। সব সম্পর্ক কাট। নেপালকেও প্রায় অঙ্গরাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছিলো। নেপালের মানুষ সেটা বুঝতে পেরে অবশেষ নাড়ি কর্তন। সর্বশেষ খবর, সবগুলো ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে। পারবে আওয়ামী লীগ?

টেলিভিশনগুলো মুদিখানার মতো হওয়ায় মন্ত্রীরাও এখন হাটের বেপারি। সদরঘাটে যাতায়াতের পথে টেলিভিশনে টকশো করে। খেয়েদেয়ে কাজ না থাকলে কি করবে! আমি পৃথিবীর কোন দেশেই দেখি নাই, মন্ত্রী-এমপিরা কাজ বাদ দিয়ে সারাক্ষণ টেলিভিশনের পেটের মধ্যে বসে থাকে। সত্যিই বড় বিচিত্র এ দেশে। এমপি পাপন কি ক্রিকেট মন্ত্রী? শাহজাহান খান কি শ্রমিক মন্ত্রী? খাদ্য এবং ত্রাণ মন্ত্রীর কাজ সারাক্ষণ খালেদার লেজে আগুন দিয়ে সাংবাদিকদের ব্যস্থ রাখা। মন্ত্রী ইনুর আরেক নাম গালিগালাজ মন্ত্রী। যদি ভদ্র ভাষাতেও বলি, তাদের কর্মকান্ডই প্রমাণ করে, খেয়েদেয়ে কাজ নেই তাই মুদিখানায় এসে সারাক্ষণ আড্ডা দেয়।

বিষয়টি কেউ লক্ষ করেছেন কিনা! ওবামা আর হাসিনা, দুজনেই একইরকম দুঃসহ কর্মকান্ডের জন্য জনবিচ্ছিন্ন। দুইজনই নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের রেকর্ড।
তবু তো ওবামার সঙ্গে দ্বিমত পোষণের সুযোগ পান এমপিরা। সমস্যা ওবামাকে নিয়ে। বিরোধিদলের কোন কাজই পছন্দ নয় তাই নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ। ইতোমধ্যেই দিন গুনছে, ত্যাক্তবিরক্ত মার্কিনীরা। দারুণ বিরক্ত এমনকি নিজ দলের লোকেরাও। গণতন্ত্রের আশির্বাদ এটাই, দুইটার্ম শেষে ওবামার বিদায় হতে আর মাত্র ১ বছর বাকি। হাসিনার মতো সেও যদি ২০৪১এর রূপকল্পের লেজ ধরে টানাটানি করতো, একবার ভাবুন, আমেরিকার অবস্তা কি বাংলাদেশের মতো হতো না? আমাদের বুক ইতোমধ্যেই হালকা হতে শুরু করেছে কিন্তু অভিশাপ গিলে খেয়েছে মাতৃভূমি। ভারত আমাদের সর্বনাশ করে অদৃশ্য সিকিম বানিয়েছে। পৃথিবীতে কোথাও যদি টার্মলিমিট প্রয়োজন হয়- বাংলাদেশ। আন্দোলন চলুক টার্মলিমিটের পক্ষে।

কথায় বলে, এক কান কাটলে বাইরে দিয়ে, দুই কান কাটলে যায় ভিতর দিয়ে। আমি কখনোই পশ্চিমের প্রভাবশালী পত্রিকাগুলোকে পাইকারিহারে কোন দেশের সরকার প্রধানের সমালোচনা করতে দেখিনি। প্রতিদিনই এতো যে সমালোচনা, তবু তার লজ্জা নেই।
১০
যে দেশের আদালত কাজ করে না, সেই দেশ একটি কল্পিত দেশ, যার কোন বাস্থবতা নেই। কল্পনার বাংলাদেশ কেমন? এক কে সিনহা নিজ মুখে বলেছেন, ২০ বছরের মামলা জট। অথচ আজ এক আদালতে ফকরুলের বিচার, অন্য আদালতে খালেদার। আছে লক্ষ লক্ষ গ্রেফতারকৃত বিরোধি কর্মিরা। মামলা জট বনাম বিচারকের সংখ্যা বনাম ৯৯ ভাগই বিরোধিদলের বিরুদ্ধে মামলা। এবার বলুন, বাংলাদেশ বাস্থবে নাকি কল্পনায়?
১১
এককথায় প্রকাশ। অবৈধ সরকার ফন্দি করেছে, ১৭ কোটি মানুষকে কিছুতেই ৭১এর বাইরে যেতে দেবে না। অর্থাৎ ১৯৭২, ২০১২, ২০৪২... পঞ্জিকা থেকে উধাও। ৭১এর খাঁচায় বন্দি রেখে, চেতনার ডাল-ভাত খাওয়াবে আর জাতিয় সঙ্গিত দিয়ে ঘুম পারিয়ে রাখবে। ওদের পঞ্জিকা পেছন থেকে শুরু হয় অর্থাৎ ৭১ থেকে ৬৫। আমাকে মিথ্যা পমাণ করে দেখান, এই দেশে যেসকল কর্মকান্ড পালিত হচ্ছে, কোনটা ৬৫ থেকে ৭১এর বাইরে? ৭১এর বাইরে যেসকল অনুষ্ঠান, সবকটাই ৭১কে কেন্দ্র করে। অর্থাৎ ক্যালেন্ডার যখন সামনের দিকে আগায়, আওয়ামী ক্যালেন্ডার শুরু হয় পেছন থেকে। ৭১এ বন্দি রেখে চেতনার নামে একটি জাতিকে ধ্বংস করার মহাপরিকল্পনা।
লেখিকা :মিনা ফারাহ,বিশিষ্ট কলামিষ্ট ও রাজনৈতিত বিশ্লেষক,যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী