Wednesday, August 07, 2019

কষ্ট তোমার

তোমার কথা মনে করেই
ভাল থাকার যুদ্ধ করি
আমি হয়তো কিছু কষ্টে আছি
দেখাতো যায় কষ্টে আছি
তুমি কেমন কষ্টে আছ শুধুই জানি আমি
কষ্ট শুধুই দেখে গেলাম জেনেই গেছি শুধু
কষ্ট কমার করছি কিছু হয়তো কিছু
কষ্ট তোমার বাড়িয়েছি আমার কষ্টগুলো দিয়ে
তোমার কষ্ট আমার কষ্ট আর কতদিন বইবে
কষ্ট শুধু দিয়েই গেলাম আনন্দটাই ফাঁকি
মন খারাপের দিনগুলোতে
তোমার পাশে কে থাকে
একে একে যাচ্ছে চলে পাশে থাকার জন
তুমি শুধু যাচ্ছ দেখে তাদের একমুখি চলন
একদিন সব শেষ হবে জানি
শুধুই জানিনা কবে কখন

Monday, July 22, 2019

কি খুঁজ

তোমায় একদিন নিয়ে যাব হাত ধরে
দেখাতে রক্তের জলপ্রপাত
ঠিক কোথায়
তুমি তারপর খুঁজে দেখো
এর উৎস পেয়ে যাবে একদিন
প্রপাতের দাগের শেষ
কিন্তু কখনো বুঝবে না
কেন এত নিঃশব্দ
সবইতো চলছে
যে যার নিয়মের বেড়াজালে
কোথায় হারিয়ে গেল
উচ্ছল উদ্দাম চঞ্চলতা
এইতো সেদিনও
অবগাহনের কথা চলছিল
হওয়ার কথা ছিল পাহাড়ি নদী
ছলাৎছলাৎ শব্দে মুখর
আঁজলে ভরে নিজের
মুঠোয় আকাশ ধরার
কখনো জন্মাবে না শেওলা
রংবেরঙের বাহারি লতাপাতায়
ভরে থাকবে দুই পাড়
কেমন করে এমন হল
জানতে শুধু নিজেকেই প্রশ্ন কর
তাকিয়ে দেখ নিজের দিকে
তুমিতো চলে গিয়েছ
পাহাড় থেকে অরন্যের খোঁজে
পেয়েছো কি অরন্যের খোঁজ
নাকি তেপান্তরের মাঠেই
পথ হারিয়ে ফিরে এলে


Tuesday, April 23, 2019

মাইক্রোসফট এক্সেল-এর যাবতীয় সূত্রাদিঃ

আমরা আগেই জেনেছি যে Microsoft Excel এ বিভিন্ন Formula ব্যবহার করে সকল প্রকার গাণিতিক হিসাব তৈরি করা যায়। আর এই গাণিতিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহার করতে হয় বিভিন্ন Function, যার মাধ্যমে আমরা গাণিতিক হিসাব গুলো করে থাকি। আমাদের আজকে আমরা জানবো কিভাবে Microsoft Excel এ Formula বা সূত্র গঠন করা যায়, Formula কি, এর উপাদান গুলো কি কি এবং এর বিভিন্ন উপাদান গুলো কিভাবে কাজ করে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে জেনে নিই বিষয়গুলো সম্পর্কেঃ


STATISTICAL FUNCTION


পরিসংখ্যান সূত্র সমূহঃ


ওয়ার্কশীটের বিভিন্ন সেল এ লিখিত সংখ্যা সমূহের যোগফল, গড়, মোট সংখ্যার সংখ্যা, সর্ববৃহৎ ও সর্বনিম্ন সংখ্যা নির্ণয় ছাড়াও পরিমিত ব্যবধান এবং ভেদাংক ইত্যাদি পরিসংখ্যানের কাজ করার জন্য কয়েকটি = ফাংশন রয়েছে। নিম্নে এ ফাংশনগুলো আলোচনা করা হলো। যেমন-


= SUM (List) অংকের এ সূত্রটি দ্বারা কোন নির্দিষ্ট রেঞ্জের সংখ্যা সমূহের যোগফল নির্ণয় করা হয়। = SUM (List) এখানে List হচ্ছে ভেল্যু যা আমরা যোগ করতে চাই। এই List যদি একাধিক হয় তাহলে আর্গুমেন্ট পৃথককারী চিহ্ন কমা (,) ব্যবহার করতে হয়।


উদাহরণঃ উদাহরণঃ সেল পয়েন্টার C8 এ রাখি।


=SUM (C2:C7) লিখে Enter দিই।


C8 ঘরে মোট যোগফল  3115 আসবে।


=MAX (List)  পরিসংখ্যানের এই সূত্রটি দ্বারা নির্দিষ্ট রেঞ্জের সংখ্যাসমূহ হতে Maximum অর্থাৎ সর্ববৃহৎ সংখ্যাটি নির্ণয় করা হয়।


উদাহরণঃ সেল পয়েন্টার কোন ফাকা সেল- এ রাখি। উদাহরণঃ


=MAX (B2:B5) লিখে Enter দিই।


রেঞ্জের সর্ববৃহৎ সংখ্যা 89423 আসবে।


আবার =MAX (SAL) লিখে Enter দিলে একই ফল দেখাবে।


=AVERAGE (List) পরিসংখ্যানের এই সূত্রটি দ্বারা নির্দিষ্ট রেঞ্জের সংখ্যাসমূহের গড় নির্ণয় করা হয়।উদাহরণঃ সেল পয়েন্টার কোন ফাকা সেল- এ রাখি।


=AVERAGE (B2:B5) লিখে Enter দিই।


রেঞ্জের সংখ্যা সমূহের গড় বেরিয়ে আসবে।


=MIN (List) পরিসংখ্যানের এই সূত্রটি দ্বারা নির্দিষ্ট রেঞ্জের সংখ্যাসমূহ হতে সর্বনিম্ন সংখ্যা নির্ণয় করা হয়। উদাহরণঃ সেল পয়েন্টার কোন ফাকা সেল-এ রাখি।


=MIN (B2:B5)  অথবা, =MIN (SAL) লিখে Enter দিই।


রেঞ্জের সংখ্যা সমূহের সর্বনিম্ন সংখ্যাটি বেরিয়ে আসবে।


=COUNT (List) পরিসংখ্যানের এই সূত্রটি দ্বারা নির্দিষ্ট রেঞ্জের মোট সংখ্যা কত তা নির্ণয় করা হয়। উদাহরণঃ সেল পয়েন্টার কোন ফাকা সেল- এ রাখি।


=COUNT (C2:C7)  অথবা, =COUNT (SAL) লিখে Enter দিই।


রেঞ্জের মধ্যে মোট সংখ্যা (৬) আছে তা বেরিয়ে আসবে।


=VAR(List) পরিসংখ্যানের এই সূত্রটি দ্বারা কোন সংখ্যা সমষ্ঠির ভেদাংক নির্ণয় করা হয়। উদাহরণঃ টেষ্ট স্কোর 500, 510, 550, 515, 505, 535 ইত্যাদি E কলামের E1:E8  রেঞ্জে সংখ্যা সমূহের ভেদাংক নির্ণয় করতে সেল পয়েন্টার E10 অথবা কোন ফাকা সেল- এ রাখি।


=VAR (E1:E8) লিখে Enter দিই। ভেদাংক 311.8055 বেরিয়ে আসবে।


=PV (present Value) পরিসংখ্যানের এ সূত্রটির সাহায্যে কোন বিণিয়োগের বর্তমান মূল্য বের করা যায়।


উদাহরণঃ ধরা যাক কোন স্বায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে অবসর গ্রহনের পর প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ৫০০০০। ইচ্ছা করলে টাকাগুলো ব্যাংকে রাখা যায়। সে ক্ষেত্রে ব্যাংক ১২% সুদ দেবে। এ টাকা এককালীণ গ্রহন না করলে ব্যাংক প্রতি বছর ১০,০০০টাকা করে ১০ বছর ধরে দেবে।


এখন নির্বাচন করতে হবে কোন পন্থাটি বেশী লাভজনক। দ্বিতীয় পন্থাটি লাভজনক হবে কিনা তা আমরা এই সূত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করবো।


সেল পয়েন্টার C4 সেলে রাখি।


=PV(.12,10,10000) লিখে Enter দিই।


C4 সেল এ 56502.23 টাকা আসবে।


তাহলে দেখা যাচ্ছে 50,000 টাকা মূলধন দ্বিতীয়শর্তের ভিত্তিতে খাটালে বেশী লাভজনক।


=SLN (Cost,Salvage,Life) সরল রৈখিক হারে বার্ষিক Deperciation/অবচয় বের করার সূত্র।


এখানে Cost= সম্পত্তির মূল্য, Salvage= ব্যবহার কাল শেষে অবশিষ্ট মূল্য, Life= ব্যবহার কাল। সেল পয়েন্টার C5 সেলে রাখি।


=SLN (C1,C2,C3) লিখে Enter দিই।


C5 সেল এ SLN Deperciation 14000 দেখাবে।


অর্থনৈতিক সূত্রঃ


=DB (Cost, Salvage, Life, Period, Month)


সূত্রের ব্যাখ্যাঃ


Cost = বস্তুটির ক্রয় মূল্য।


Salvage = নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে বস্তুটির মূল্য (অবশেষ মূল্য)।


Life =  মেয়াদ কাল।


Period = যে বছরের জন্য অবচয় নির্ণয় করা হবে।


Month = মাস। এখানে মাস হচ্ছে ১ম বছরের মাস সংখ্যা। যদি মাস বাদ দেয়া হয় তাহলে সূত্র ১২ মাস ধরে নেবে।


উদাহরণঃ


ধরা যাক কোন ফ্যাক্টরী একটি নতুন মেশিন ক্রয় করলো। মেশিনটির দাম ১০ লক্ষ টাকা এবং এর মেয়াদকাল বা লাইফ টাইম ৬ বছর। ৬ বছর পর মেশিনটির বিক্রয় মূল্য বা অবশেষ মূল্য এক লক্ষ টাকা। প্রতি বছর ব্যবহার জনিত অপচয় বা Depreciation জানা দরকার।


আমরা হয়তো সহজ গানিতিক পদ্ধতিতে মেশিনের দাম ১০লক্ষ মেয়াদ শেষে মূল্য ১ লক্ষ। অতএব মোট অপচয় ১০-১ = ৯ লক্ষ মোট অপচয়। অতএব বছরে অপচয় ৯ ভাগ ৬ = ১.৫ ল টাকা হিসেব করবো কিন্তু এক্ষেত্রে তা হবে না। প্রথম বছর অপচয় মূল্য বেশী হবে। ১০ লক্ষ টাকার মেশিন ১ বছর পর মূল্য হবে ৭ লক্ষ টাকা। তাহলে ১ম বছরের অপচয় ৩ লক্ষ টাকা। ২য় বছরে ৩লক্ষ টাকা না হয়ে আরও কম হবে।  এভাবে বছর যত বাড়বে অপচয় তত কমতে থাকবে। তাই কোন একটা মেয়াদ শেষে Depreciation কত হবে তা বের করা খুবই জটিল, কিন্তু এই সূত্রটি ব্যবহার করে তা সহজেই করা যায়।


=DB (C1,C2,C3,D2) লিখে Enter দিই। সেল পয়েন্টার E2 সেলে রাখি।


E2 সেল এ প্রথম বছরের অপচয় মূল্য আসবে।


E3 তে সেল পয়েন্টার এনে =DB (C1,C2,C3,D3) লিখে Enter দিলে বছরের Depreciation বের হবে। এভাবে E4, E5, E6 সেলে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম বছরের Depreciation বের করা যায়।


যুক্তিগত সূত্র সমূহ (Logical Function)


=IF (Condition)


সূত্রের কতিপয় Condition লেখার ক্ষেত্রে যে সকল গাণিতিক অপারেটর বা চলক ব্যবহৃত হয় তা হলো-


=    সমান অর্থ প্রকাশ করে।


>    অপেক্ষাকৃত বড়।


<    অপেক্ষাকৃত ছোট।


>=  অপেক্ষাকৃত বড় বা সমান।


<=  অপেক্ষাকৃত ছোট বা সমান।


<>   অসমান।


এছাড়াও বিভিন্ন নির্দেশনায় AND, OR, NONE ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন-


যদি কোন কথার ভিতর নির্ধারিত অংশ/ সংখ্যা দেওয়া থাকে সে ক্ষেত্রে AND বসবে(1-1000)


যদি কথার ভিতর নির্ধারিত অংশ/সংখ্যা না থাকে সেক্ষেত্রে OR(1000 বেশী/ কম)


একটি বাক্যে কিছু কথা শেষ করার পর যদি আরও কথা থাকে সেক্ষেত্রে , (কমা) বসে।


সূত্র লেখা শেষ হলে সূত্রের মধ্যে যতবার  IF লেখা ব্যবহার করা হবে ততবার বা ততটি বন্ধনী হবে।


সূত্রের সাহায্যে স্কুলের রেজাল্ট শীট তৈরিঃ


মনে করি, একটি স্কুলের নির্বাচনী পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ে মোট নম্বরের উপর ভিত্তি করে রেজাল্টশীট তৈরী করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ৮০০ অথবা এর অধিক নম্বর পেলে A+, ৭০০ বা এর উপরে পেলে A,  ৬০০ বা এর উপরে পেলে A-, ৫০০ বা এর উপরে পেলে B, ৪০০ বা এর উপরে পেলে C, ৩৩০ বা এর উপরে পেলে D, ৩৩০ এর নীচে পেলে Fail বা F ধরা হয়েছে। =IF ফরমূলা ব্যবহার করে রেজাল্ট শীট তৈরী করতে হবে। সেল পয়েন্টার D2 সেলে রাখি।


=IF (C2>=800,’A+’, IF(C2>=700,’A’,IF(C2>=600,’A-‘,IF(C2>=500,’B’, IF (C2>=400,’C’,IF(C2>=330,’D’,’F’)))))) লিখে Enter দিই।


সূত্রের সাহায্যে SSC পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ রেজাল্ট শীট তৈরীঃ


মনেকরি একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে একটি রেজাল্টশীট তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে পরীক্ষায় পাশ মার্ক থাকতে হবে এবং প্রতি বিষয়ে 80 এর অধিক নম্বর পেলে রেজাল্ট হবে A+ , 70-79 নম্বর পেলে A, 60-69 নম্বর  পেলে A-, 50-59 নম্বর  পেলে B, 40-49 নম্বর পেলে C,  33-39 নম্বর পেলে D,  আর ৩৩ নম্বরের নিচে পেলে ফেল বা F  হবে। চতুর্থ বিষয়ের নম্বর 40 এর বেশি হলে বেশি অংশ আনুপাতিক হারে প্রত্যেক বিষয় এর সাথে যোগ হবে। ফরমূলা ব্যবহার করে গ্রেড ভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ রেজাল্টশীট তৈরি করতে হবে।


প্রথমে ১১টি বিষয় সস্বলিত নিম্নরূপ শীট তৈরি করতে হবে।সেল পয়েন্টার N2  তে রাখি


=IF (M2>40,M2-40,0) Enter.


সেল পয়েন্টার O2  তে রাখি


=AVERAGE (C2:L2)+N2/10 Enter.


সেল পয়েন্টার P2  তে রাখি


=IF(OR(C2<33,D2<33,E2<33,F2<33,G2<33,H2<33,I2<33,J2<33,K2<33,L2<33),”Fail”,”Pass”)


সেল পয়েন্টার Q2  তে রাখি


= IF(AND(O2>= 80, P2=“Pass’’),’A+’, IF(AND(O2>=70,P2=`Pass’),’A’, IF(AND (O2>=60,       P2=`Pass’),’A-‘, IF (AND(O2>=50,P2=`Pass’),’B’, IF (AND (O2>=40, P2=`Pass’),’C’, IF(AND    (O2>=33,P2=`Pass’),’D’,’F’)))))) Enter.


সূত্রের সাহায্যে ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট শীট তৈরীঃ


মনে করি, একটি ডিগ্রী কলেজের BSC পরীক্ষর ফলাফল গ্রেড পদ্ধতিতে তৈরী করতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলা, ইংরেজী, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত প্রতিটি বিষয়ে আলাদা আলাদা ভাবে পাশ করতে হবে। অর্থাৎ কোন বিষয়ে ৩৩ এর নিচে নম্বর পেলে তাকে অকৃতকার্য ধরতে হবে।


আবার প্রত্যেক পরীক্ষার্থী মোট নম্বর ১৬৫ এর কম পেলে তাকে অকৃতকার্য বা F ধরতে হবে। ১৬৫ অথবা এর বেশী কিন্তু ২০০ এর কম হলে D, ২০০ অথবা এর বেশী কিন্তু ২৫০ এর কম পেলে C, ২৫০ অথবা এর বেশী কিন্তু ৩০০ এর কম পেলে B, ৩০০ অথবা এর বেশী কিন্তু ৩৫০ এর কম পেলে  A-, ৩৫০ অথবা এর বেশী কিন্তু ৪০০ এর কম পেলে A,  ৪০০ অথবা এর বেশী পেলে A+ হবে।


বর্ণিত ডিগ্রী কলেজটির ছাত্রদের বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর এর ওয়ার্কশীট তৈরী করি।


সেল পয়েন্টার I2 সেলে রাখি।   =IF(OR(C2<33,D2<33,E2<33,F2<33,G2<33),`F’,IF(AND(H2>0,H2<165),`F’, IF(AND(H2>=165, H2<200),`D’,IF(AND(H2>=200,H2<250),`C’, IF(AND(H2>=250,H2<300),`B’, IF(AND(H2>=300,H2<350),`A-‘ IF(AND(H2>=350,H2<400),`A’,`A+’))))))) সূত্রটি লিখে Enter দিই।


Tax নির্ণয়ঃ


শর্তঃ যদি বেতন ৫০০০ থেকে ১০০০০ এর মধ্যে হয় তাহলে ২% ট্যাক্স, ১০০০০ এর উপরে হলে ৫% ট্যাক্স ধার্য হবে।


নিচে ওয়ার্কশীট তৈরী করার নিয়মঃ


সেল পয়েন্টার C2 সেলে রাখি।


=IF(AND(B2>5000, B2<10000), B2*.02,IF(B2>10000,B2*.05,”NONE”)) লিখে Enter দিলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল চলে আসবে। তারপর স্ক্রল করে প্রত্যেক ফিল্ডে ফলাফল আনতে হবে।


কমিশন নির্ণয়ঃ


ধরা যাক কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরী পণ্য বিক্রয় করার জন্য কয়েকজন বিক্রয় প্রতিনিধি নিয়োগ করলো। প্রতিনিধিদের মাসিক বেতন এভাবে ধার্য করা হলো যে, মোট বিক্রয়ের পরিমান যদি খরচ বাদে ৮০,০০০ টাকা হয় তাহলে বিক্রয়ের শতকরা ১০ভাগ বেতন পাবে, আবার বিক্রয় যদি খরচ বাদে ১,০০,০০০ টাকার কম হয় তাহলে বিক্রয়ের শতকরা ১১ ভাগ বেতন পাবে।


এরূপ সমস্যা সমাধানের জন্য নিম্নরূপ একটি ওয়ার্কশীট তৈরী করি এবং =IF সূত্র ব্যবহার করে সমাধান করি। উদাহরণঃ


সেল পয়েন্টার D2 সেলে রাখি।


=IF(OR (B2-C2<80000,B2<100000),B2*.10,B2*.11) Enter দিলে কাঙ্ক্ষিত হিসাবটি পাওয়া যাবে।


মজুরী নির্ণয়ঃ


মনে করি, গ্রাফিক স্কুল অফ বাংলাদেশ তার কর্মচারীদের প্রতি ঘন্টা হিসেবে মজুরী প্রদান করে। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা বা তার চেয়ে কম সময়ের জন্য প্রতি ঘন্টা মজুরী ১৫ টাকা। আর্থাৎ কোন শ্রমিক কর্মচারী ৮ ঘন্টা কাজ করলে সে পাবে ১৫´৮=১২০ টাকা। আবার ৮ ঘন্টার কম অর্থাৎ ৬ ঘন্টা কাজ করলে পাবে ১৫´৬ = ৯০টাকা। পক্ষান্তরে ৮ ঘন্টার বেশী কাজ করলে অতিরিক্ত প্রতি ঘন্টার জন্য মজুরী পাবে ২০টাকা। অর্থাৎ কেহ ১২ ঘন্টা কাজ করলে মজুরী পাবে ১৫´৮=১২০, ২০´৪=৮০, ১২ ঘন্টার মজুরী হবে ১২০+৮০=২০০টাকা। প্রতিষ্ঠানের একটি Wage Sheet তৈরী করতে হবে। যেখানে শুধুমাত্র কর্মঘন্টা দেয়া মাত্র ওভার টাইম ও মোট মজুরী বের হবে।


উদাহরণঃ  নিম্নরূপ ওয়ার্কশীট তৈরী করি। সেল পয়েন্টার D5 সেলে এনে =IF(C5>8,C5-8,0) Enter ।


সেল পয়েন্টার E5 সেলে এনে =IF(D5>0,D5*20+8*15,C5*15) Enter ।


D5:E10 সিলেক্ট করে সেল পয়েন্টার D2 তে রেখে Shift চেপে ধরে E2 তে আসি। Fill Handel এ ক্লিক করে ড্রাগ করে নিচের দিকে E10 এ এনে Enter দিতে হবে।


C5 সেলে 8 টাইপ করি। এভাবে C6 সেলে 11 টাইপ করি। C7 সেলে 7 টাইপ করি। C8 সেলে 13 টাইপ করি। C9 সেলে 9 টাইপ করি। C10 সেলে 15 টাইপ করি। ফলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে ওভার টাইমসহ মজুরী নির্ণয় হয়ে যাবে।


বিদ্যুৎ বিল তৈরীঃ


বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিল ধার্য করার জন্য সাধারণত: তাদের নির্ধারিত রীতি প্রয়োগ করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে তাদের প্রবর্তিত রীতি হলো বিদ্যুৎ খরচ যদি ১ থেকে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ১.৭৫ টাকা, ২০১ থেকে ৪০০ ইউনিট পর্যন্ত ২.৫০ টাকা, ৪০১ থেকে ৫০০ ইউনিট পর্যন্ত ৩.৭৫ টাকা এবং তার উপরে হলে প্রতি ইউনিট ৪.৫০ টাকা করে ধার্য করে বিদ্যুৎ বিল নির্ধারিত করে।


এ ধরণের সমস্যা সমাধানের জন্য নিম্নরূপ ওয়ার্কশীট তৈরী করে =IF ফাংশন ব্যবহার করলে সমাধান মিলবে।


উদাহরণঃ নিম্নরূপ ওয়ার্কশীট তৈরী করি। সেল পয়েন্টার  D2 সেলে রাখি।


=IF(C2<=200,C2*1.75,IF(C2<=400,C2*2.50,IF(C2<=500,C2*3.75,C2*4.50))) Enter ।


D2 এর Fill Handel ড্রাগ করে অন্যান্য ব্যবহারকারীদের হিসাব পওয়া যাবে।


Salary Sheet তৈরিঃ


মনেকরি মেসার্স জামান এন্ড কোং এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন শীট নিম্ন বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে তৈরী করতে হবে এবং মোট বেতন নির্ণয় করতে হবে।


House Rent Basic এর ৫০%, Medical Allowance, Basic এর ১০%, Provident Fund Basic এর ১০%, Income Tax Basic ২০০০ এর নীচে হলে ০, ২০০০-৫০০০ পর্যন্ত ৫% এবং ৫০০০ টাকার উর্ধে ১০% ।


উদাহরণঃ নিম্নরূপ ওয়ার্কশীট তৈরী করি।D2 সেলে=C2*50%, E2 সেলে=C2*10%, F2 সেলে=C2*10% টাইপ করতে হবে।


G2 সেলে কার্সর এনে নিম্নের সূত্রটি টাইপ করতে হবে।


=IF(C2<2000,0,IF(AND(C2>2000,C2<=5000),C2*5%,IF(C2>5000,C2*10%))) Enter ।


H2 সেলে =C2+D2+E2-(F2+G2) টাইপ করতে হবে।


D2:H2 সিলেক্ট করে H10 পর্যন্ত Fill Handel ড্রাগ করে অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের হিসাব পওয়া যাবে।


Data কি ?


ডেটা বা উপাত্ত বলতে সাধারণত: কোন তথ্য বা Information কে বুঝায়। এই তথ্য বা ইনফরমেশন বিভিন্ন রকম হতে পারে। যেমন, আমাদের ব্যক্তিগত টেলিফোন গাইড বা ডায়েরীতে আমরা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখে থাকি। এই তথ্য বা ইনফরমেশনগুলোই হলো ডেটা।


Data base কি ?


পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তথ্যের সমাহারকে তথ্য ঘাঁটি বা ডাটাবেজ বলা হয়। বেজ শব্দের অর্থ হচ্ছে ঘাঁটি বা ধারক বা ভিত্তি। Flower base অর্থ ফুলদানী। অনেক ফুলকে সুসজ্জিত ভাবে যেমন ফুলদানীতে রাখা হয় তেমনি ডেটাকে সুসংগঠিত করে রাখার ব্যবস্থাপনা বা ঘাঁটিকে Data base বা উপাত্ত ঘাঁটি বলা হয়।


Data Table তৈরিঃ


ধরা যাক, কোন ব্যাংক থেকে ৫% সুদে ১০০০০ টাকা ঋণ গ্রহন করা হলো।


১০০০০ টাকার ৫ বছরে ৫% সুদে সুদাসল কত হবে ?


সুদের হার পরিবর্তন হয়ে ১০%, ১২%, ১৫%, ১৭%, ২০% হলে সুদাসল কত হবে ?


সুদের হার এবং আসল যদি (৫০০০০ টাকা বা ৮০০০০টাকা) পরিবর্তন হয় তাহলে সুদাসল কত হবে ? এ সব সমস্যার সমাধানগুলো ডেটা টেবিলের মাধ্যমে করতে হবে


উদাহরণঃ পদ্ধতি-১ ওয়ার্কশীট তৈরীঃ A3 সেলে লেখাটি ধরানোর জন্য Format>Column>Width. নির্দেশ দিয়ে 12 লিখে Enter দিয়ে A কলামের প্রশস্ততা বৃদ্ধি করে নিতে হবে।


সেল পয়েন্টার B4 সেলে রেখে =+B1*B2*B3+B1 লিখে Enter দিতে হবে।


এরপর A4 থেকে B9 সিলেক্ট করে Data >Table ক্লিক করতে হবে। ফলে পর্দায় একটি ডায়ালগ বক্স আসবে।


ডায়ালগ বক্সের Column input Cell এ ক্লিক করে B2 সেলে ক্লিক করতে হবে। এরপর ডায়ালগ বক্স থেকে ওকে বার্টন ক্লিক করলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল চলে আসবে।


উদাহরণঃ পদ্ধতি–২ ওয়ার্কশীট তৈরীঃ সেল পয়েন্টার A4 সেলে রেখে =+B1*B2*B3+B1 লিখে Enter দিতে হবে।


B4 সেলে 10000, C4 সেলে 50000,  D4 সেলে 80000 টাইপ করি।


এরপর A4 থেকে D9 সিলেক্ট করে Data >Table ক্লিক করতে হবে। ফলে পর্দায় একটি ডায়ালগ বক্স আসবে।


ডায়ালগ বক্সের Row input Cell এ কিক করে E1 সেলে কিক করতে হবে।


ডায়ালগ বক্সের Column input Cell এ ক্লিক করে B2 সেলে কিক করতে হবে। এরপর ডায়ালগ বক্স থেকে ওকে বার্টন কিক করলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল চলে আসবে। নিম্নরূপ-Goal Seek:


ধরা যাক বাড়ি ক্রয়ের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহন করতে হবে। ব্যাংক ১টি শর্তে ঋণ দিতে চায় বছরে ৯টাকা হার সুদে ৩০ বছরে মাসিক কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করতে হবে। এ পদ্ধতিতে নিজের পারগতার উপর অর্থাৎ মাসে কত টাকা জমা দিতে পারবো সেই অনুপাতে ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহন করলে ঋণ সময় মতো পরিশোধ করা যাবে। তাই যদি মাসে ৯০০০ টাকা হারে জমা দেওয়ার পারগতা থাকে তাহলে ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ পাওয়া যাবে তা গোলচেকের মাধ্যমে আমরা পরীক্ষা করে নিতে পারি।


তাহলে সুদের হার ৯%, সময়কাল ৩০ বছর, মাসিক কিস্তি ৯০০০ টাকা, ঋণের পরিমান ?


ধরা যাক ঋণের পরিমান আনুমানিক ৯,০০,০০০ টাকা।


করণীয়ঃ


সেল পয়েন্টার সেলে রেখে =PMT (B2/12,B3*12,B1)  লিখে Enter দিই। ফলে এখানে রেজাল্ট আসবে ৭২৪১.৬০ টাকা। কিন্তু আমরা দিতে পারি ৯,০০০ টাকা। তাহলে কত টাকা ঋণ পাওয়া যাবে জানতে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। যেমন- সেল পয়েন্টার B5 সেলে ফলাফল সিলেক্ট করে টুলস মেনু থেকে কমান্ড দিয়ে ডায়ালগ বক্সের প্রথম সেলে পয়েন্টার রেখে B1 সেলে ক্লিক করতে হবে। পুণরায় ডায়ালগ বক্সের মাঝের সেলে পয়েন্টার নিয়ে কত পরিশোধ করতে পারি তা লিখতে হবে। তাহলে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাবে।


Data Auto Filter = উদাহরণঃ


ডেটা বেজের যে কোন সেলে পয়েন্টার রাখি। এরপর Data মেনুতে কিক করে অথবা কীবোড Alt+D চাপি।


এরপর Filter এ ক্লিক করে Auto Filter এ ক্লিক করলে অথবা দুইবার চাপলেও কাজটি হয়ে যাবে।


আজকে আমরা এমএস এক্সেল এ Formula ব্যবহার করে কিভাবে Logical Function এর কাজ করা যায় তা শিখব।


Logical Function :


একটি পূর্ণাঙ্গ রেজাল্ট শীটের উপর আমরা আজকে Logical Function এর কাজ শিখব। একটি ছাত্র সকল বিষয়ে পাস করল, নাকি কোন একটি অথবা একাধিক বিষয়ে ফেল করল এবং ছাত্রটির প্রাপ্ত নম্বরের উপর সে কোন গ্রেডে পাস করল সবধরনের ফলাফলই আমরা আজকে তৈরী করব।


# প্রথমে আমরা Result Sheet এর নিম্নরূপ একটি ছক তৈরী করি।


MS Excel 12-1


# এখন আমরা উক্ত রেজাল্ট শীটের ৫ জন ছাত্রের রেজাল্ট তৈরী করব। অর্থাৎ পাস/ফেল এবং কোন ছাত্র কোন গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছে তা তৈরী করব।


# Result এর Row তে প্রথম ছাত্র Shofik সব বিষয়ে পাস করেছে নাকি কোন বিষয়ে ফেল করেছে তা Logical Function এর মাধ্যমে তৈরী করব। সেজন্য প্রথমে সেল পয়েন্টারটি G6 ঘরে রাখি।


# ধরি কোন বিষয়ে পাস করতে হলে কমপক্ষে ৪০ নম্বর পেতে হবে। তাহলে G6 সেলে নিচের সূত্রটি লিখে Enter প্রেস করি।


=IF(OR(B6<40,C6<40,D6<40), “Fail”, “Pass”)


# Enter প্রেস করার সাথে সাথে ফলাফল চলে আসবে। এখন উক্ত সূত্রটি কপি করে অন্যান্য ছাত্রের নামের পাশে Result এর ঘরে পেস্ট করলে সকলের ফলাফল তৈরী হবে। # Result এর ঘরে Pass অথবা Fail চলে আসবে। সেখানে সূত্র দেখা যাবে না। তবে Formula Bar এর মধ্যে সূত্রটি দেখা যাবে।


# এখন আমরা উক্ত ছাত্রদের প্রাপ্ত নাম্বার দিয়ে গ্রেড তৈরী করব। ধরে নেই গ্রেডিং পদ্ধতিটি হলো 80+=A+, 70+=A, 60+=B, 50+=C, 40+=D এবং 40-=F অর্থাৎ ফেল। তবে সূত্রের মধ্যে প্রথমে ছাত্রটি সব বিষয়ে পাস করল নাকি কোন বিষয়ে ফেল করল তা অন্তর্ভূক্ত করার জন্য Result রো এর ফলাফলটি সূত্রের আওতায় আনতে হবে। যদি ছাত্রটি ফেল করে তাহলে সে ‘F’ গ্রেড পাবে, অন্যথায় সে গ্রেডিং পদ্ধতির আওতায় আসবে।


# H6 সেলে নিচের সূত্রটি লিখে Enter প্রেস করি। =IF(G6=”Fail”,”F”,IF(F6>=80,”A+”,IF(F6>=70,”A”,IF(F6>=60, “B”,IF(F6>=50,”C”,IF(F6>=40,”D”,”F”))))))


# Enter প্রেস করার সাথে সাথে গ্রেডিং রেজাল্ট চলে আসবে। এখন উক্ত সূত্রটি কপি করে অন্যান্য ছাত্রের নামের পাশে Grade এর ঘরে পেস্ট করলে সকলের গ্রেডিং রেজাল্ট তৈরী হবে।


MS Excel 12-3


# Grade এর ঘরে Result চলে আসবে। সেখানে কোন সূত্র দেখা যাবে না। তবে Formula Bar এর মধ্যে সূত্রটি দেখা যাবে।


Friday, April 12, 2019

হুজুরের সব কথা: ফাঁস করে দেবার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী

==================
কওমী এক ভাই, আলীয়া কে দুষে বলছেন, যে আলীয়ায় সত্যিকারের ইসলাম চর্চা হয়না, তাই নুসরাতের এই ঘটনা। এর বিপরীতের কথা।
=========

ঘটনাটা ২০০৪-৫-৬ সালের হবে। ফেসবুক ছিলনা। কামরাঙ্গীরচর বা গওহরডাঙ্গা বা এরকম কোন এলাকার এক মহিলা কওমী মাদ্রাসার ঘটনা।
মাদ্রাসার বড় হুজুর মহিলা আবাসিক মাদ্রাসা খুলেন। তো, তিনি ওই মাদ্রাসায় তারই শ্যালককে একজন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন।

ওই মাদ্রাসায় এক গরীবের সুন্দরী মেয়ে পড়তো। তো তার শ্যালক ওই মেয়ের পিছনে লাগে। তার সাথে ল_র প_র করতে চায়, কিন্তু মেয়ে দেয়না। বিয়ের প্রস্তাবও মনে হয় ফিরিয়ে দিছে।

তো, মেয়ের বাবা হুজুরকে এসে অভিযোগ করেন। বড় হুজুর প্রথমে একটু গুরুত্ব দিলেও, পরে উনি এটা ধামাচাপা দিয়ে দেন। কিছুদিন পরে আবারও যেই লাউ সেই কদু। শ্যালক ক্লাস নিতেছে, আর শ্যালকের কাছে ক্লাস করতেছে সেই মাদ্রাসা ছাত্রী। কিয়েক্টাবস্থা চিন্তা করেন তো।

তো, শ্যালক ভাই এক সময় ধৈর্যহারা হয়ে পড়েন। যেহেতু ছাত্রী ওই মাদ্রাসাতেই আবাসিক থাকতেন, তিনি একদিন রাতে ছাত্রী স্থাপনায় ঢুকে যান। ওই মেয়ের ঘরেও ঢুকে যান, এবং সেখানে তাকে ধ_ণ করেন। তারপর গলায় ওড়না/রশি পেঁচিয়ে তাকে হত্যাও করেন।

এরপর মামলা হয়, বিচার হয়েছে কিনা আর আপডেট জানিনা। বড় হুজুরের অবস্থান হল "আঁই কি বুইজছিনি এমন হইবো দেন?"।

এরপরও যেই লাউ সেই কদু, আবাসিক মহিলা মাদ্রাসা চলতেছে। আজ এই ঘটনা, কাল সেই ঘটনা। কোন পরিবর্তন নাই।

এই ঘটনার পত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছিল। তবে গরীবের মেয়ে হওয়ায় , আর বড় হুজুর রা ধামাচাপা নীতিতে বিশ্বাসী হওয়ায় গরীব বাবা আর তেমন কিছু হয়তো করতে পারেন নি। এ ধরনের ঘটনায়, না হুজুর রা হেল্প করে, না সেক্যুলার রা হেল্প করে।

------
কাজেই কওমী মাদ্রাসায় সব সাধু সন্ন্যাসী বাস করেন, আর আলীয়া খুব খ্রাপ , ব্যাপারটা এমন না।

তবে সংখ্যানুপাতে কওমী মাদ্রাসায় সত্যিকারের দ্বীনদার, তাকওয়াবান মানুষের সংখ্যা অনেক বেশী। আলীয়া তে কম।
----------
তবে দুই মাদ্রাসাতেও ঝুঁকি আছে। স্পেশালী আবাসিক মানে এসব হবার সম্ভাবনা যথেষ্ঠ।
-----------
একটা প্রশ্ন করি, আবাসিকে মহিলা মাদ্রাসা করা কিভাবে জায়েজ হয়? তার মাহরাম তার থেকে ১০ মাইল দূরে, আর মাথা গরম হুজুর মাত্র কয়েকশ ফিট দূরে? কোন নিরাপত্তা নাই? কিভাবে জায়েজ?
আমার অবশ্য ইলম নাই।

আবাসিক করার দরকার টা কি? রসূল(স) কি সাহাবীদের সাথে রাতে থেকে দ্বীন শিক্ষা দিতেন? স্কুল কলেজে ছেলেপেলে পড়তেছেনা? তাও আবার মহিলা মাদ্রাসা? তাও আবার আপনারা জানেন, আপনাদের একটা অংশ সমকামিতা লিপ্ত, তো যে সমকামিতা করতে পারে, সে কেন এই পাপ করতে পারবেনা?

তবে, কওমীতে নারী নির্যাতনের চেয়ে ছাত্র বলা_কার বেশী। ছাত্র মৃত্যু বেশী। 
-----------

তাহলে চিন্তা করেন, রাতে যেই হুজুর আপনাকে বলা_কার করতেছে, সকালে তিনি আপনাকে কুরআন মুখস্থ করাইতেছে।
যে আপনাকে দিনের পর দিন ধ_ণ , করতেছে, সেই আপনাকে ফিকহ শিখাচ্ছে। এই ফিকহ শিখে কি হবে? ছেলে মেয়েদের ভিতরের ফিলিংসটা কি হচ্ছে?

মার ধর বাদ দিলাম যান।

হুজুর যদি এসব করে ধরা পড়ে, শাস্তি কি? শাস্তি হল এক মাদ্রাসা থেকে চাকরিচ্যুত, আরেক মাদ্রাসায় যোগ। অথবা কোন মসজিদ মাদ্রাসায় খতীব - ইমাম - মুয়াজ্জীন পদে নিয়োগ। কার পিছনে নামাজ পড়ছি আমরা?

অথচ শাতিমির রসূল(স) এর যেই শাস্তি এটারও একই শাস্তি। শাতিমির রসূল(স) কে শাস্তি দেবার জন্য আপনারা আন্দোলন করতে পারেন, কিন্তু এই পাপের জন্য শাস্তির দেবার আন্দোলন করতে পারেন না? দুই একটা কে ধরে আপনারা কিছু করতে পারেন না? তাহলে বাংলাদেশ সেক্যুলার সরকারকে বকেন কেন? সরকার তো পুলিশ-দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তকে ট্রান্সফার করে, আপনারাও কি হুজুরকে এক মাদ্রাসা থেকে অন্য মাদ্রাসায় ট্রান্সফার করতেছেন না?

সেখানে গিয়ে সে তো আবারও একই কাজ করবে, ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত।

-------
আমি জীবনে বহু হুজুরের সাথে মিশেছি, দেখেছি। তো একটা ঘটনা বলি।

তখন, এক মসজিদে নামাজ পড়তাম। মুয়াজ্জিন সাহেবের গলাটায় কোন সুর ছিলনা। কেমন জানি লাগতো। তার পিছে নামাজ পড়তেও কেমন লাগতো। ইমাম না থাকলে তো মুয়াজ্জিন ভাই পড়ায়!!!

তো যাই হোক, মসজিদে এক বুজুর্গ ছিলেন, তিনি বেশ ভাল দ্বীনি বয়ান করতেন। তো, একদিন বেশ নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেলাম, যে তিনি যিনায় লিপ্ত। মসজিদের পাশে এক বাসায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে, আসতাগফিরুল্লাহ। শুক্রবারে ওই নাপাক দেহে মসজিদে ঢুকে গোসল করে তারপরই জুমা পড়েন। আসতাগফিরুল্লাহ। উনিই আবার জাতিকে বেশ ভাল বয়ান করে দ্বীনী গাসত করেন টরেন।

মসজিদের আশে পাশে আরও কে কে কিসে কিসে লিপ্ত তারও খবর পেলাম। তবে সবচে' শকিং নিউজ এগুলা না। শকিং নিউজ হইলো, এসব কাজে লিংক হিসেবে কাজ করেন, আমাদের মুয়াজ্জিন ভাই, এমনি উপরে উপরে তার বুজুর্গীর শেষ নাই। ।
মাটি ফাঁক হইতো, আর আমি ডাইরেক্ট নীচে চলে যেতাম এটাও বোধ হয় ভাল হতো, রাইট? গলাটায় সুর কেন নাই বুঝলাম।
-------

হুজুরের কাছে মেয়েকে কুরআন পড়তে দিলে পাশে বসে থাকতে হয়। না হলে মেয়ের এখানে ওখানে হাত দেয়। জিজ্ঞেস করেন, আপনার মা-বোন-স্ত্রী কে, অনেকে বলবে।

------

জেনারেল লাইনে কি অবস্থা? অবস্থা খারাপ। কিন্তু সব কনসেনশুয়াল। মানে যারা করে, স্বেচ্ছায় করে। জোর জবরদস্তি কম। শিক্ষক রা এসব করার সুযোগ কম পায়, কারণ আবাসিক না তো। আর উল্টাপাল্টা করলে একশন হয়। অনেকে নিজ চরিত্র রক্ষা করে চলে। ইচ্ছা করলে সম্ভব।

ডেটা ছাড়া তুলনা করাসম্ভব না।

========

পশ্চিমা বিশ্বকে নিয়া হাসতাম , চার্চের ঘটনা নিয়ে। চাইল্ড এন্ড নান এবিউস।
কিন্তু এখন?
আমি এটা ভেবে পাইনা, যে ইসলামে তো বিয়ের বিধান আছে। ওরা বিয়ে করতে পারেনা, তাই , মাথা গরম হলে ....।
কিন্তু আমাদের কি হইলো? আমি কোন এক্সপ্লেনেশন জানিনা।
=======

পশ্চিমা বিশ্ব যৌনা ব্যাপারে একদম... ইউ নো। কিন্তু এসব কনসেনশুয়াল। আপনি যদি নারী হয়ে বলেন, আমি নিজেকে স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে হেফাজত করে চলবো, কেউ আপনাকে কিছু করতে পারবেনা।

ইভেন টেনিউর ট্র্যাকড প্রফেসর এর ও চাকরি চলে যাবে, যদি সে কোন মেয়ের সাথে ল_রপ_র করতে চেষ্টা করে। এরপর জেল হবে, এরপর আর কোথাও চাকরি পাবেনা, কারণ তার নামে রিপোর্ট হবে। বাসা ভাড়া করতে পারবনা, গাড়ী কিনতে পারবেনা। পুরা জীবন শেষ। খালী একটা মেয়ের অভিযোগই যথেষ্ঠ, যদি প্রমাণ করতে পারে, বা আদালত মনে করে। ঘটনা ঘটলে ইউনিভার্সিটি ছাত্রীকে সমর্থন করে, মাস্টারকে না। পুরা উল্টা।

কেউ চাইল্ড এবিউস করলে, বড় অনুষ্ঠানের সময় তারে এসে পুলিশ পাহারা দেয়, ঘর থেকে বাহির হইতে দেয়না। কারণ সে ছোট বাচ্চা মেয়ের গায়ে হাত দেয়। আর এক বার রিপোর্ট হইলে, কোথাও চাকরি পায়না, ব্যবসা করতে পারেনা, বাসা ভাড়া পাইতে প্রবলেম হয়। জীবন শেষ করে দেয়।

এজন্য সবাই সাবধানে থাকে। উদাহরণ দিলাম এজন্য যে যাতে মানুষ বুঝে, যে ধামাচাপা না দিয়ে প্রকাশ করলে এসব বন্ধ হয়।

=====
পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের মাকসাদ না। আমাদের মাকসাদ সুন্নাহ। রসূল(স) কি ধামাচাপা দিতেন? না প্রকাশ করতেন?

একবার এক কুরাইশ মহিলা চুরি করে ধরা পড়ে। রসূল(স) এর কাছে ধামাচাপা দেবার রিকুয়েনস্ট আসে। রসূল(স) রাগান্বিত হন। এরপর মহিলাকে তার কুরাইশ হাতখানা কেটে দেন। প্রকাশ্যে।

এক সাহাবী(রা) যিনায় লিপ্ত হয়ে যান। কিন্তু তিনি রসূল(স) এর কাছে সারেন্ডার করেন। তাকে প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। এরকম একাধিক ঘটনা আছে।

রসূল(স) কি বলছেন, যে এসব প্রকাশ করোনা, প্রকাশ করলে ইসলামের বদনাম হবে, কাজেই ধামাচাপা দাও। ? বলেন নি।

বরং সুন্নাহ হল, প্রকাশ করা এবং বিচার করা, বিচার করতে না পারলে, তা করার চেষ্টা টুকু তো করা। ধামাচাপা না দেয়া।
=======

জাতির প্রতি সততর্কবানী: সব হুজুর ভাল না। অনেকেই জবরদস্তিরর মাধ্যমে হুজুর হয়েছে। ইসলাম তার অন্তর এ প্রবেশ করেনি। সে হুজুর এজন্য, যে সে এই সিস্টেমের মধ্যে থেকে বের হয়েছে। সে পারলে হুজুর হইতোনা। কিন্তু তার রুটি রুজির আর কোন উপায় নেই।

কিন্তু সে দাড়ি টুপি পরে এমন সং সেজে থাকে, যে দেখলে মনে হয় এনজেল।

কাজেই আপনার বাচ্চাকে কারও কাছে বা কোন প্রতিষ্ঠানের দেবার আগে সাবধান। ভালভাবে খোঁজ নিয়ে দিবেন। মেয়ে বাচ্চার ব্যাপারে খুবই সাবধান। আবাসিকে কখনও দিবেন না। পরামর্শ।

==========

আর ইসলামী মহলে, যে হাফিজ , আর যে মাওলানা, আর যে মুফতী , আর যে মুহাদ্দিস, সবাই কিন্তু একরকম দেখতে। সেটা মাথায় রাখতে হবে। যত উপরে যাবেন, শতকরা হিসেবে তত ভাল পাবেন। সবাই কিন্তু এক না।

কাজেই অন্ধভাবে সবাইকে বিশ্বাস করবেন না। বরং খোঁজ খবর নিয়েই চলতে হবে। দুনিয়াটা এরকমই।

=======

অনেকে আবার খুব দ্বীনদার পরহেযগার তাক্বওয়াবান আছে, অনেকে আবার না। হুজুর চিনার শর্টকাট উপায় দিলাম, হুজুর ফিল্টার:

হুজুর যদি সহীহ হয়, তাহলে সে:

১. খুব ধীরে সুস্থে নামাজ পড়বে, রুকু সিজদা ঠিকমতন করে কিনা দেখবেন, স্পেশালী: দুই সিজদার মাঝে বেশীক্ষণ থাকে কিনা, রুকু থেকে ঠিক মতন দাঁড়ায় কিনা, দাঁড়িয়ে থাকে কিনা কিছুক্ষণ?; আমাদের মুয়াজ্জিন ভাই, এই ক্রাইটেরিয়ায় ফেইল ছিল, আমি আগেই সন্দেহ করতাম।। অস্থির হয়ে নামাজ পড়লেই 'সমস্যা ' আছে, ইভেন বড় কিরাত করলেও। পিছন/পাশ থেকে দেখবেন।
২. সে তার অধীনস্থ দের সাথে ভাল-বিনয়ী ব্যবহার করবে, ঝাড়ি মেরে কথা বলবেনা।
৩. তার মধ্যে দ্বীনী ব্যাপারে মোটিভেশন থাকবে। সে দ্বীন নিয়ে চিন্তিত হবে। সিনসিয়ারিটি থাকবে, স্যাক্রিফাইস থাকবে। এটা অবশ্য ধরা কঠিন।

তবে ১ নং ফিল্টারেই সব আটকাই যায়। কঠিন ফিল্টার কিন্তু।

======

আকাবীরদের প্রতি আহবান : দয়া করে আপনাদের মাদ্রাসা, আপনারা বাাঁচান। নাহলে গত দেড়শ বছরের স্যাক্রিফাইস সব শেষ হয়ে যাবে।

যাজাকাল্লাহ।

=======
সর্বশেষ খবর : নগরীতে গলায় ফাাঁস দিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যা।
সন্দেহ: মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে না তো< এস ইউজুয়াল? ছেলেটা নাকি ফার্স্ট বয় ছিল।

Thursday, February 14, 2019

ভালোবাসি বৃষ্টিকে

আমি বর্ষাকে নয় বৃষ্টিকে ভালবাসি
বর্ষা চঞ্চল, উচ্ছল, সব কিছু বেশি বেশি
বৃষ্টি স্নিগ্ধ, মন বোঝে, সব উজাড় করে
আমার প্রতিটা স্তবক যেন তার কত চেনা

আমি বর্ষাকে নয়, বৃষ্টিকে ভালবাসি
বর্ষাতো আমার একার নয়, সে সবার
বৃষ্টি একান্তভাবেই আমার, শুধু আমার
আমি যেভাবে চাই সে সেভাবেই শুধু

আমি বর্ষাকে নয়, বৃষ্টিকে ভালবাসি
বর্ষা যেন অবারিত ফসলের মাঠ দিগন্তের
বৃষ্টি আমার সাজানো বাগান একন্তে মুগ্ধতার
যেখানে আমার পদচারণ একান্তই নিজের মত

আমি বর্ষাকে নয়, বৃষ্টিকে ভালবাসি
বর্ষা কখনো আমার, তার অথবা অন্যকারো
বৃষ্টি ছলনা জানেনা, শুধু আষ্টেপৃষ্টে ভালবাসা
এতো পাওয়ার পরও আমি কেন বর্ষাকে চাই