Saturday, February 18, 2017

REDUCE CHOLESTEROL

One of the most common causes of heart attacks in the western world is arterial blockage caused by the accumulation of cholesterol. While this can be avoided by a good diet and exercising, if you’ve been diagnosed with high levels of bad cholesterol, there are foods and activities that speed up the process of reducing your cholesterol levels.

 

 


What is cholesterol?

Cholesterol is an organic lipid molecule and is biosynthesized by all animal cells because it is an essential structural component of all animal (not plant or bacterial) cell membranes that is required to maintain both membrane structural integrity and fluidity.

The level of cholesterol in our body is a result of a process in the liver that creates the cholesterol. In fact, over 85% of our cholesterol is produced by the liver. The rest comes from eating animal products, such as beef, chicken, fish, eggs, and dairy.

The body is an incredible system, and a healthy body creates cholesterol for a reason, since it is an essential material in our bodies:

1. Cholesterol is used to produce hormones like estrogen, progesterone, and testosterone.
2. Cholesterol is vital for the creation of vitamin D.
3. The membrane of every cell in our body contains cholesterol.
4. Cholesterol is used to produce needed steroids.
 
When do you have too much cholesterol?

A situation of higher-than-normal levels of cholesterol can be worrying because it may build up in the blood vessels and cause coronary diseases, as well as problems with blood flow.

The normal range of cholesterol in the body is up to 200 mg.

The standard medicine taken to treat additional cholesterol levels operates by delaying the enzyme that takes part in the process of creating cholesterol in the liver, so we limit the rate of building our own cholesterol. But is it logical for us to limit the internal creation of cholesterol without addressing the external source? Nutrition will always be crucial when dealing with a surplus of cholesterol.

How can you speed up cholesterol reduction?

1. Cholesterol


The cholesterol one needs to get rid of is LDL (Low-Density Lipoproteins), which is common in animal products. One of the best ways to lower LDL levels is by consuming foods rich in HDL (High-Density Lipoproteins), which comes from plants and is called Phytosterols. Phytosterols work in a similar manner to the soluble fibers in laxatives, and can be found in foods such as fruits, vegetables, nuts, soy, and whole grains.

2. Onion Extract

Several studies have found that onions are effective in reducing LDL (“bad” cholesterol), as well as your body’s glycemic level. Dr. Deepika Gopal, a cardiologist at The Heart Hospital Baylor Plano, says that: "In the Indian culture, we believe spices have healing properties, and onion and garlic are both very useful in lowering cholesterol, based on what we've seen in Indian cooking." It is not a miracle cure, but can definitely help.

3. Red Yeast Rice


As the name suggests, this is a type of red yeast that is grown on rice. This yeast contains monacolin K, a compound that doesn’t allow the liver to produce cholesterol, which the body needs to build its cells. When not locally produced, the body starts searching for reservoirs of cholesterol in the body and uses them. Taking red yeast in pill form has been shown to reduce LDL levels by 10%-30%.

4. Soy

A moderate consumption of soy products such as tofu has been shown to reduce LDL levels in the body, as well as occasionally having a positive effect on breast cancer. According to a Harvard Medical School study, drinking 2½ cups of soy milk or eating 10 ounces of tofu a day can reduce LDL levels by 5%-6%.

5. Alcohol


You’ve probably heard that a glass of red wine is good for your health, and the reason is that, even though it doesn’t reduce the level of LDL in the body, it increases the level of HDL. Think of HDL as a drain unclogger for cholesterol. The Mayo Clinic warns that men and women under 65 should avoid drinking more than two glasses of wine a day, and those over 65 stick to 1 glass a day. However, consult with your doctor first, as alcohol can exacerbate preexisting liver disease and certain heart conditions.

6. Indian Gooseberry

Indian gooseberry contains potent antioxidants that help the cardiovascular system. Cholesterol will oxidize in your bloodstream, becoming plaque, which adheres to the arterial walls and slowly clogs them. Antioxidants stop oxidization, preventing the buildup of plaque.

7. Pectin


Pectin is a fiber that can be found in the white membrane inside citrus fruits. Pectin can lower LDL levels by 7%-10% and works in a way similar to phytosterol and soluble fibers. Pectin is also found in apples, as well as in pill form.

8. Licorice Root

This is only relevant for fresh licorice root or in pill form, as the candied stuff you find in the store often doesn’t contain any real licorice at all. A few recent studies found that licorice root can lower LDL levels, as well as body fat. Licorice root has many healthy properties. Please be aware, however, that licorice can have severe interactions with certain medication such as insulin, contraceptives, and laxatives. If you are taking any of these and want to start using it, consult with your doctor.

9. Bergamot


A lesser-known citrus fruit, but with potent cholesterol-lowering powers. You may recognize the aroma from Earl Grey tea, as oil from bergamot rinds is used to give that tea its particular flavor. While bergamot has a small amount of pectin, its real power comes from having a high concentration of several flavonoids. In several recent studies, bergamot was found to reduce LDL cholesterol levels by around 25%-27%, as well as raise HDL cholesterol levels.

10. Laxatives

Some laxatives don’t just clear your bowels; they can also block the absorption of cholesterol in the blood. Laxatives that contain soluble fibers become jelly-like and travel through your stomach and intestines, collecting cholesterol and preventing it from being absorbed. The best part is that the laxative absorbs cholesterol from food, not from your body’s reservoirs, which forces the body to start using its own supply. Additionally, fibrous laxatives often help you feel sated and prevent you from craving snacks.

11. Sleep


The Japanese Nihon University School of Medicine found that women who sleep less than 5 hours or more than 8 hours, often suffer from an excess of LDL and absence of HDL. According to the experts at the university, cholesterol metabolism happens when we sleep, so getting too much or not enough will disrupt the body’s natural functions. Additionally, getting enough sleep increases your mental faculties, helping you control unhealthy cravings and giving you energy to exercise and move more during the day. If you are having trouble falling asleep, try doing these exercises before bed.

Wednesday, February 15, 2017

পরকিয়া

মনটা আমি দিচ্ছি তাকে
শরীরটা দেই অন্য বাঁকে
লুকোছাপা চলছে ভাল
সামলে চলি সব আগল

ঘুরে ফিরে যাচ্ছে দিন
শুধু মনের কাছেই ঋন
ছন্নছাড়া দিনগুলি মোর
কাটছে ভালই এই ঘোর

এভাবে আর কত দিন
সময় বয়ে হচ্ছে লীন
জবাব দেবার সময় হলো
উত্তর আজো অগোছালো

ধমক ধামক দিচ্ছি আজো
আর কতদিন সামলে যাবো
পরকিয়ার খেলাতে এই মজে
দুঃখ শুধু পেলাম কি হারজিতে

Monday, February 13, 2017

বাংলাদেশে মিড লেভেল ম্যানেজার পাওয়া যায় না

বাংলাদেশে মিড লেভেল ম্যানেজার পাওয়া যায় না। আমাদের অসংখ্য ভালো এন্ট্রি লেভেল কর্মী আছে। ফ্রেশ এবং বুদ্ধিমান। আমাদের অনেক ভালো ভিশনারি লিডার আছেন। কিন্তু মাঝখানটা একদম ফাঁকা। মাঝখানের কর্মী নেই, একদম নেই।

এটাই বাংলাদেশের উন্নয়নের সবচে বড় বাধা। মানুষ তো আছে প্রচুর, কিন্তু তাদেরকে ম্যানেজ করার মতো মানুষ নেই। ছোট একটা প্রজেক্ট তুলতেও মাথা খারাপ হয়ে যায়। আমাদের এই শিক্ষাটা নেই।

একজন ভারতের কিংবা শ্রীলংকার ম্যানেজার যেরকম দক্ষ হয়, সময়ের ব্যাপারে যেমন পটু হয়, ডেডলাইন মিস করে না, কিংবা একটা টিমকে যেভাবে ফোকাস রাখতে পারে, আমাদের ছেলেমেয়েরা সেটা পারে না। তারা এটাকে নিজের বাসা-বাড়ি বানিয়ে ফেলে। নয়তো চরম কঠিন বস হয়ে সবার ওপর ছড়ি ঘুরাতে থাকে। এটাকে প্রফেশনালি কীভাবে পরিচালনা করতে হয়, সেটা আমরা শিখিনি এবং শিখছি না।

বাংলাদেশ থেকে একটি বড় অঙ্কের টাকা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে চলে যায়, তার একটি বড় পরিমাণ হলো তাদের কর্মীরা আমাদের এখানে কাজ করে। এবং এটাকে কিন্তু ফেলে দেওয়া যাবে না। কালকে যদি আপনি এদেরকে দেশ থেকে বের করে দিয়ে নিজেদের লোক দিয়ে চালাতে চান, তাহলে শিল্পগুলো ভেঙে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। আমাদের গ্রোথের সঙ্গে এরা জড়িত। তবে নিশ্চিয়ই এটা কারো কাম্য নয়।  চলুন কয়েকটা সেক্টরের দিকে তাকাই, তাহলে অনেকের ধারণা পরিষ্কার হতে পারে।

প্রথমেই বলি মিডিয়ার কথা। বাংলাদেশের মিডিয়াতে কাজ করেন অসংখ্য সিনিয়র সাংবাদিক এবং এডিটর পাওয়া যাবে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ভালো সিইও পাওয়া যাবে। তবে তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার মতো মাঝ পর্যায়ের মানুষ নেই; ম‌্যানেজার নেই। আপনি প্রতিটি হাউজ ধরে ধরে দেখুন। মাথা আছে অনেক; কিন্তু ভালো ম্যানেজার নেই, যারা একেকটি আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে পারে, আইডিয়াটাকে সময়মতো তুলে আনতে পারে এবং অনুষ্ঠানটিকে যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেভাবেই ব্রডকাস্ট করতে পারে। আর এটা নেই বলেই প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে প্রতিটি দিন চিৎকার করতে করতে গলা ব্যাথা করতে হয়। আর যদি সেটা কেউ না করেন, তাহলে সেখানে ভালো অনুষ্ঠান আর হয়ে ওঠে না। আমাদের টিভিগুলোর থেকে যে কলকাতার টিভি আলাদা তার একটি মূল কারণই হলো, মাঝ স্তরের ম্যানেজার কিংবা কর্মীর সংখ্যা এবং তাদের গুণগত মান।

এবারে টেলিকমগুলোর কথা বলি। বাংলাদেশের টেলিকমগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি বিনিয়োগ করেছে। কারণ এখানে তাদের অল্প খরচে নেটওয়ার্ক করা হয়ে গিয়েছে। এত অল্প জায়গা এত বেশি গ্রাহক পৃথিবীর আর কোথাও নেই। আর সেবা খারাপ দিলেও কারও কিছু আসে যায় না। ফলে তারা ব্যবসা হিসেবে ভালো করেছে। কিন্তু মাঝারি সারিতে ম্যানেজার কি খুব ভালো পেয়েছে? কিংবা দেশে তৈরি হয়েছে? একদম যে তৈরি হয়নি তা নয়। টেলিকমগুলো তাদের কিছু মানুষকে ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করে নিয়েছে। কিন্তু তার সংখ্যা খুব কম। বাংলাদেশে টেলিকম শিল্প প্রায় ২০ বছরের। কতজন ভালো ম্যানেজার আমরা পেয়েছি? বাংলাদেশের টেলিকমগুলোর একটা বড় ব্যবস্থাপনা দেখে বিদেশি ম্যানেজাররা। দেশিরা তাদের পাশে থাকে। তবে কেউ কেউ বেশ ভালো করছেন। কিন্তু সেটা পুরো শিল্পের তুলনায় খুব কম।

বাংলাদেশের সফটওয়্যার শিল্পে মাঝারি খাতে কোনোও ম্যানেজার নেই। একদম শূন্য। আমাদের ভালো প্রোগ্রামার আছে। তাদের ব্রেইন আছে। কিন্তু একটা প্রজেক্ট কীভাবে পরিকল্পনা করতে হয়, কীভাবে দায়িত্ব ভাগ করে দিতে হয়, কীভাবে সময়টাকে ভালো করে ব্যবহার করতে হয়, কীভাবে দায়িত্ব নিয়ে প্রজেক্ট তুলে ফেলতে হয়, এই জ্ঞান শূন্যের কাছাকাছি। তারা ব্রিলিয়ান্ট, এই ব্যাপারে কোনোও সন্দেহ নেই। কিন্তু তাদের ব্যবস্থাপনার দক্ষতা একদমই নেই। আমি বাংলাদেশের অসংখ্য সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানকে চিনি, যারা ভালো ম্যানেজারের কারণে সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানটিকে পরের ধাপে নিয়ে যেতে পারছেন না। যিনি শুরু করেছিলেন, তিনি একাই পুরো প্রতিষ্ঠানটিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, যত দিন পারেন। পরবর্তীতে হাল ধরার আর কেউ তৈরি হচ্ছে না। যেকারণে বাংলাদেশে সফটওয়্যার শিল্প সামনে এগোতে পারবে না। মুখে আপনি যত বিলিয়ন ডলারের কথাই বলুন না কেন, ফলাফল তেমন একটা হবে না। তাই বিগত ২৫ বছর ধরে সেই একই প্যাঁচাল আমরা শুনে যাচ্ছি। সমস্যাটা হলো, ভালো দক্ষ ম্যানেজার।

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কিছু ম্যানেজার আছে, তবে তাদের সংখ্যাও খুব কম। সেখানে অসংখ্য বিদেশি ম্যানেজার কাজ করেন, যাদের দক্ষতার কারণে আমাদের পোশাক শিল্পটি সামনে এগিয়ে চলেছে। এর বাইরে আমাদের এমন কোনোও খাত নেই যেখানে সঠিক ম্যানেজার আছে। একটি ব্যাংকে যান, এমনকি প্রাইভেট ব্যাংক, রেস্টুরেন্টে যান, পর্যটন কেন্দ্রে যান, জাহাজে উঠেন, উড়োজাহাজে চড়েন, বিমানবন্দর ব্যবহার করেন, বিদ্যুৎ-গ্যাস ইত্যাদি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলো দেখেন, সব ফাঁকা। মানুষের অভাব নেই। কিন্তু সুন্দর গুছিয়ে দায়িত্ব নিয়ে একটি বিভাগ চালাবে, সেটা নেই। যে কারণে যেখানেই যাবেন, একটা অব্যবস্থাপনা। সব দায়িত্ব যেন প্রতিষ্ঠানের প্রধানের। মাঝখানে যারা আছেন, তারা দায়িত্ব নিতে পারেন না; গুছিয়ে কাজটা করতে পারেন না।

এবারে দেশ পরিচালনার কথা বলবেন? দেখেন ভালো করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে কীভাবে কাজগুলো করছেন। তার পরের ধাপগুলো? সবাই যেন তাকিয়ে আছে সেই একজনের দিকে। আর যাকেই তিনি দায়িত্ব দিচ্ছেন, তিনি রাতারাতি চুরি-ডাকাতি করে, পুরো অব্যবস্থাপনায় ভরে, নিজের আত্মীয় স্বজনদের চাকরি দিয়ে সেই বিভাগটার বারোটা বাজিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ আরও অনেক ভালো করতে পারত, যদি এই দেশ সঠিক ম্যানেজার পেয়ে যেত।

বাংলাদেশ যে কারণে ভালো ম্যানেজার পায় না কিংবা তৈরি হয় না, তার একটি মূল কারণ হলো শর্টকাট। ক্যারিয়ারে আমরা খুব দ্রুত উপরে উঠে যেতে চাই। সম্ভব হলে প্রধান নির্বাহী (সিইও)। আর যদি ওই প্রতিষ্ঠানের সিইও হতে না পারি, তাহলে নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান খুলে সেটার সিইও হয়ে গেলাম। সিইও আমাকে হতেই হবে, গোলাম হোসেন!

বাংলাদেশে যে একটু কাজ শিখে ফেলে কিংবা ভালো ট্রেনিং পায়, সে তখন ভাবতে শুরু করে- ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য সেই যোগ্য সিইও। তার সামনে যে আরও ২০ বছরের ক্যারিয়ার আছে, সেটা তার মাথায় থাকে না। কেউ ৩০ বছরের কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশে ক্যারিয়ার তৈরি করে না। সবাই মোটামুটি স্বল্পকালীন চিন্তাভাবনা থেকে চাকরি করে। তাই তার দক্ষতা তৈরির খুব একটা প্রয়োজন পরে না। চাকরি তো আর চলে যাচ্ছে না। আর যিনি শিখে ফেললেন, তিনি কয়েকদিন পর থেকেই চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন, কীভাবে নিজেই একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়ে যাবেন। এটাই বাংলাদেশের কমন চিত্র।

ভালো দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী হওয়াটা খুবই কঠিন একটি কাজ। এটা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের লেখাপড়ায় ভালো করার চেয়েও কঠিন। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক এটিচিউড এবং ট্রেনিং। এবং সর্বোপরি এমন একটা পরিবেশ, যার মাধ্যমে আমাদের কর্মীরা তাদের কর্মজীবনে প্রবেশ করে একটা সময়ে গিয়ে ভালো ম্যানেজার হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যারা তাদের কর্মীদের পেছনে প্রচুর বিনিয়োগ করে ট্রেনিং-এর জন্য। এবং তারা ভালো ম্যানেজার পেয়েছে এবং পাচ্ছে বলে আমি জানি। কিন্তু সেই গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিলে মোটা দাগে আমাদের দেশে দক্ষ ম্যানেজার তৈরির কোনোও প্রচেষ্টা নেই বললেই চলে।

পাশাপাশি বর্তমান বাংলাদেশের দিকে তাকান। দেখুন, সবাইকে কীভাবে উদ্যোক্তা এবং সিইও বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা হলো তরুণ প্রজন্মকে লোভ দেখিয়ে ভুল পথে পরিচালনা করার এক ধরনের ফন্দি। এগুলোতে সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়। যে মানুষগুলো জীবনে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেনি, তারাই গিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন উদ্যোক্তা বানানোর। কী ভয়ংকর কথা। আমি নিশ্চিত লিখে দিলাম, এই ছেলেমেয়েগুলো কিছু দিন এই দরজা ওই দরজায় ধাক্কা খাবে, তারপর একদিন হতাশ হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াবে।

একটি প্রতিষ্ঠানে উদ্যোক্তার যেমন প্রয়োজন, তেমনি ভালো ম্যানেজারের প্রয়োজন আরও বেশি। এবং সংখ্যার পরিমাণ প্রয়োজনটাও অনেক বড়। বাংলাদেশের পরিবেশ উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য মোটেও সহায়ক নয়। এখানে ফান্ডিং জোগাড় করতেই একজনের জীবন শেষ হয়ে যাবে। এবং কেউ সেই ফান্ডিং পেলেও তার যে টার্মস থাকবে, তাতে উদ্যোক্তার আর কিছু থাকে না। ফলে এগুলো ঠিক না করে, সবাইকে উদ্যোক্তা বানাও বলে মাঠে নামিয়ে দেওয়াটা ঠিক কাজ নয়। উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হলে গাছ এমনিতেই বেড়ে ওঠে। আপনাকে চিৎকার করতে হবে না, গাছ তুমি বড় হও।

বাংলাদেশে ভালো ম্যানেজার না হওয়ার আরও একটি দিক হলো পারিবারিক। আমরা আমাদের বাচ্চাগুলোকে পুতু-পুতু করে বড় করি। বিশেষ করে যারা একটু স্বচ্ছল পরিবারে বড় হয়, তারাই আবার ভালো স্কুল কলেজে যেতে পারে এবং সেই ছেলেমেয়েগুলোই কর্মজীবনে বেশি অংশ নিতে পারে। এবং এরাই বড় হয়েছে পুতু-পুতু আদরে।

এই ছেলেমেয়েগুলো গায়ে গতরে অনেক বড় হয়ে গেলেও এদের মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হয়নি। আমাদের ছেলেমেয়েদের শারীরিক বয়স আঠারো হলেও মনের বয়স রয়ে যায় ১০ কি ১২। যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে ২৩/২৪ বছর বয়সে, তখন তাদের মানসিক বয়স হলো ১৬ কি ১৭, কিংবা আরও কম। এরা ঠিকমতো গ্লাসে পানি ঢেলে খেতে পারে না, নিজের কাপড়টা আয়রন করতে পারে না। একটা কোনোও সমস্যা দেখলে আশা করে কাজের মানুষ এসে সেটা সমাধান করে দিয়ে যাবে, নিজে মানুষটা যে কিছু একটা করতে পারে, তার যে আশেপাশে আরও কাজ আছে, এটা তারা বুঝতেই পারে না।

আমাদের ছেলেমেয়েদের বড় অংশটাই পরিবারে যেভাবে বড় হয়, তারই প্রতিফলন ঘটে অফিসে এসে। তারা মনে করে, আমার কাজ ইঞ্জিনিয়ারিং, আমি কেন অন্য একটা সমস্যা সমাধান করতে যাব? তারা বুঝতে শেখে না, প্রতিটি অফিস তাকে চাকরি দিয়েছে তাদের কোনোও না কোনোও সমস্যার সমাধান করতে। একটা দায়িত্ব নিয়ে সেই সমস্যাটা যে সমাধান করবে, সেটা তার ব্রেইন ট্রিগার করে না। ফলে যে কোনোও পরিস্থিতিতে তারা নিজেদের কাজটি করেই আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। উপর থেকে কেউ এসে তাদেরকে সাহায্য করবে যেন। আমাদের পরিবারগুলো আমাদের ছেলেমেয়েদেরকে নষ্ট করেছে এবং করছে। আমরা বুঝতেই পারি না, একটি ছেলে বা মেয়েকে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের কাজটা করতে দিলে ধীরে ধীরে তার মানসিক শক্তির প্রবৃদ্ধি হবে। যে কারণে আমরা আমাদের আশেপাশের দেশের ছেলেমেয়েদের থেকে মানসিকভাবে অনেক পিছিয়ে থাকি। একজন ২৪ বছরের তরতাজা যুবকের যা করতে পারার কথা, সেটা সে পারে না। সে ওটা পারে ৩৪ বৎসর বয়সে গিয়ে। ততদিনে অনেকটা দেরি হয়ে যায়।

শারীরিক বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তার মানসিক বয়সও বাড়তে হবে। আমাদের সমাজে অনেকেই মনে করেন, মনের বয়স বাড়ানোর দরকার নেই, তাহলে বুড়ো হয়ে যাব। এটা খুবই ভুল একটা ধারণা। একজন ৬০ বছরের মানুষ যদি ৩০ বছরের মানুষের মতো আচরণ করে, তাহলে তাকে দিয়ে এই জগতের কোন কাজটা হবে বলুন তো? বাংলাদেশসহ বিশ্বে যারা ভালো করেছে, দেখবেন কেউ তারা পুতুপুতু হয়ে বেড়ে ওঠেনি। তাদের শারীরিক বয়সের সঙ্গে মানসিক বয়সটাও বেড়েছে। তারা ৪০ বছর বয়সে ৪০ বছরের পরিপক্ক মানুষের মতোই তাদের ব্রেইনকে কাজে লাগিয়েছে। কেউ কেউ হয়তো আরও বেশি।

মানসিক বয়স শরীরের সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে হবে। প্রতিটি বয়সের তার নিজস্ব রূপ আছে, জীবন আছে। সেই বয়সে ওই রূপটাই উপভোগ্য।

Sunday, February 12, 2017

কথপোকথন

'একটি মাতৃগর্ভে জমজ দুই শিশুর মধ্যে কথা হচ্ছে।তাদের প্রথমজন দ্বিতীয়জনকে জিজ্ঞেস করলো,- 'তুমি কি প্রসব পরবর্তী জীবনে বিশ্বাস করো?'

'দ্বিতীয়জন বললো,- 'অবশ্যই করি।নিশ্চয় প্রসব পরবর্তী জীবন বলে কিছু আছে।হয়তো প্রসব পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতির জন্যই আজ আমরা এখানে।'

'প্রথমজন বললো,- 'আরে বোকা! প্রসব পরবর্তী জীবন বলে কিছুই নেই।তোমার সেই কাল্পনিক জগত কেমন হতে পারে বলতো দেখি?'

'দ্বিতীয়জন বললো,- 'আমি ঠিক জানিনা। তবে হতে পারে সেখানে এখানের(মাতৃগর্ভ) তুলনায় আলো অনেক বেশি হবে।হতে পারে সেখানে আমরা আমাদের পা দিয়ে হাঁটতে পারবো।আমাদের মুখ দিয়ে নিজেরাই খাদ্য গ্রহন করতে পারবো।হয়তো সেই জগতে আমাদের অন্যান্য ইন্দ্রিয় থাকবে যা আমরা এখন কল্পনা করতে পারছিনা।'

'প্রথমজন বললো,- 'এটা নিছক কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়।পা দিয়ে হাঁটাহাঁটি? অসম্ভব। মুখ দিয়ে খাদ্য গ্রহন? অলিক কল্পনা। আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় পুষ্টি আসে এই নাড়ির মাধ্যমে।কিন্ত নাড়ির এই স্বল্প দৈর্ঘ্য কখনোই প্রসব পরবর্তী জীবনের পক্ষে যুক্তি হতে পারেনা।প্রসব পরবর্তী জীবন বলে আদৌ কিছু নেই।এটা বাতুলতা।'

'দ্বিতীয়জন বললো,- 'আমি মনে করি প্রসব পরবর্তী জীবন বলে কিছু আছে এবং সেটা এই মাতৃগর্ভের জীবনের চেয়ে ভিন্ন।হতে পারে সেখানে বাঁচার জন্যে আমাদের এই নাড়ির দরকার হবেনা।'

'প্রথমজন উত্তর দিলো,- 'হাধারাম! প্রসব পরবর্তী জীবন বলে যদি কিছু থেকে থাকে,তাহলে সেই জীবন থেকে কখনো কেউ এই জীবনে ফেরত আসেনা কেনো? আসলে প্রসবের পরের জীবন বলতে কিছুই নেই।প্রসব হচ্ছে জীবনের শেষ। এরপর আর কিছু নেই আছে কেবল অন্ধকার আর শুন্যতা।'

''আমি ঠিক জানিনা।'- দ্বিতীয়জন বললো। সে আরো বললো,- 'হতে পারে সে জগতে আমাদের সাথে আমাদের মায়ের দেখা হবে।মা হয়তো সে জগতে আমাদের দেখাশুনা করবেন।'

'প্রথমজন হাসতে লাগলো, আর বললো,- ' মা তুমি 'মা' তে বিশ্বাস করো? এটা সত্যিই হাস্যকর! যদি মা বলে কেউ থেকে থাকে,তাহলে সে এখন কোথায়?'

'দ্বিতীয়জন বললো,- 'সে আমাদের চারপাশে বিরাজমান।সে আমাদের ঘিরে আছে।আমরা তার মাঝে বেঁচে আছি।তাকে ছাড়া এই জগত অসম্ভব।এই পৃথিবী অসম্ভব।'

'প্রথমজন বললো,- 'যেহেতু আমরা মা বলে কাউকে দেখিনা,অনুভব করিনা।সুতরাং, এর যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যা এই যে, আসলে মা বলে কেউ নেই।'

'দ্বিতীয়জন মুচকি হেসে বললো,- 'মাঝে মাঝে যখন তুমি নীরব থাকো,তখন মনোযোগ সহকারে যদি খেয়াল করো তাহলে তুমি তার উপস্থিতি টের পাবে।তুমি তার কন্ঠ শুনতে পাবে।বুঝতে পারবে তিনি তার দরদভরা মধুর কন্ঠে উপর থেকে আমাদের ডাকছেন।'