Sunday, July 31, 2016

কি চাই

তুমি আছো বলে আকাশটা নীল হল
আমিও বিভোর হলাম স্বপ্নীল আকাশে

তোমার স্পর্শ বিমোহিত করে
আলোকিত করে আমার ভুবন

অধির আগ্রহে তোমাকে দেখার অপেক্ষা
আমাকে আশান্বিত করে

পাবার অপেক্ষা আমাকে বাঁচতে শেখায়
বিমুখ বসন্ত ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকারে

তোমাকে দেখতে চাই
দেখাতে চাই নিজেকে

Thursday, July 28, 2016

জাপানীরা

"আজ আপনাদের তথ্য দিতে চেষ্টা করব, তবে আপনি লজ্জা পাবেন কিনা জানি না।"

★জাপানী দল বিশ্বকাপে হেরে গেলেও জাপানী দর্শকরা গ্যালারী পরিষ্কার করে স্টেডিয়াম ত্যাগ করেন। এ কেমন কথা? এটা কি কোন পরাজয়ের ভাষা! হেরেছিস- রেফারীর গুষ্টি তুলে গালি দে- বলে দে পয়সা খেয়েছে। বিয়ারের ক্যান, কোকের ক্যান, চিনাবাদামের খোসা যা পাস ছুড়ে দে। দুই দিন হরতাল ডাক। অন্তত বুদ্বিজীবিদের ভাষায় এটা তো বলতে পারিস যে খেলোয়াড় নির্বাচন ঠিক হয়নি- সরকারের অথবা বিরোধী দলের হাত আছে।
--
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে হেরে গিয়ে জাপানের সম্রাট হিরোহিতো আমেরিকার প্রতিনিধি ম্যাক আর্থারের কাছে গেলেন। প্রতীকি আইটেম হিসাবে নিয়ে গেলেন এক ব্যাগ চাল। হারাকিরি ভঙ্গিতে হাটু গেড়ে মাথা পেতে দিয়ে বললেন- আমার মাথা কেটে নেন আর এই চাল টুকু গ্রহণ করুন। আমার প্রজাদের রক্ষা করুন। ওরা ভাত পছন্দ করে। ওদের যেন ভাতের অভাব না হয়।
আরে ব্যাটা তুই যুদ্ধে হেরেছিস তোর আত্মীয় স্বজন নিয়ে পালিয়ে যা। তোর দেশের চারিদিকেই তো পানি। নৌপথে কিভাবে পালাতে হয় আমাদের ইতিহাস (লক্ষণ সেন) থেকে শিখে নে। কোরিয়া বা তাইওয়ান যা। ওখানকার মীরযাফরদের সাথে হাত মিলা। সেখান থেকে হুংকার দে।
সম্রাট হিরোহিতোর এই ক্যারেক্টার আমেরিকানদের পছন্দ হলো। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের কুখ্যাত মহানায়কদের মধ্যে কেবলমাত্র হিরোহিতোকে বিনা আঘাতে বাচিয়ে রাখা হলো।
--
জাপানে পড়তে আসা এক বাংলাদেশী ভাই একদিন ফোনে বললো- ভাই, বড়ই লজ্জায় আছি।
কেন কি হয়েছে ?
ড্রইং ক্লাসে ড্রইং বক্স নিয়ে যাইনি।
তো?
জাপানী স্যার বড় একটা শিক্ষা দিয়েছেন।
কি করেছে?
আমার কাছে এসে উল্টা ক্ষমা চেয়েছেন। বলেছেন আজ যে ড্রইং বক্স নিয়ে আসতে হবে তা স্মরণ রাখার মত জোর দিয়ে আমাকে বুঝিয়ে বলতে পারেন নি। তাই সে দুঃখিত।
হুম।
আমি তো আর কোন দিন ড্রইং বক্স নিতে ভুলবো না, ভাই । আজ যদি সে আমাকে বকা দিত বা অন্য কোন শাস্তি দিত আমি কোন একটা মিথ্যা অজুহাত দিয়ে বাচার চেষ্টা করতাম।
--
২০১১ সালের ১১ই মার্চ। Tsunami র আগাম বার্তা শুনে এক ফিশারি কোম্পানীর মালিক সাতো সান প্রথমেই বাচাতে গেলেন তার কর্মচারীদের। হাতে সময় আছে মাত্র ৩০ মিনিট। প্রায়রিটি দিলেন বিদেশি (চাইনিজ) দের। একে একে সব কর্মচারীদের অফিস থেকে বের করে পাশের উচু টিলায় নিজ হাতে রেখে এলেন। সর্বশেষে গেলেন তার পরিবারের খোজ নিতে। ইতিমধ্যে Tsunami সাহেব এসে হাজির। সাতো সানকে চোখের সামনে কোলে তুলে ভাসিয়ে নিয়ে গেলেন। আজও খোজহীন হয়ে আছেন তার পরিবার। ইসস সাতো সান যদি রানা প্লাজার মালিকের সাথে একটা বার দেখা করার সুযোগ পেতেন ।
সাতো সান অমর হলেন চায়না তে। চাইনিজরা দেশে ফিরে গিয়ে শহরের চৌরাস্তায় উনার প্রতিকৃতি বানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।
--
নয় বছরের এক ছেলে। স্কুলে ক্লাস করছিল। Tsunami-র আগমনের কথা শুনে স্কুল কর্তৃপক্ষ সব ছাত্রদের তিন তলায় জড়ো করলো। তিন তলার বেলকনি থেকে দেখলো তার বাবা আসছে গাড়ি নিয়ে। গাড়িকে ধাওয়া করে আসছে ফোসফোসে পানির সৈন্য দল। গাড়ির স্পিড পানির স্পিডের কাছে হার মেনে গেলো। চোখের সামনে নাই হয়ে গেল বাবা। সৈকতের নিকটেই ছিল তাদের বাসা। মা আর ছোট ভাই ভেসে গেছে আরো আগে। পরিবারের সবাইকে হারিয়ে ছেলেটি আশ্রয় শিবিরে উঠলো। শিবিরের সবাই ক্ষুধায় আর শীতে কাপছে। ভলান্টিয়াররা রুটি বিলি করছেন। আশ্রিতরা লাইনে দাড়িয়ে আছেন। ছেলেটিও আছে। এক বিদেশী সাংবাদিক দেখলেন, যদ্দুর খাদ্য (রুটি) আছে তাতে লাইনের সবার হবেনা । ছেলেটির কপালে জুটবে না। সাংবাদিক সাহেব তার কোট পকেটে রাখা নিজের ভাগের রুটি দুটো ছেলেটিকে দিলেন। ছেলেটি ধন্যবাদ জানিয়ে রুটি গ্রহন করলো। তারপর যেখান থেকে রুটি ডিস্ট্রিবিউশন হচ্ছিল সেখানেই ফেরত দিয়ে আবার লাইনে এসে দাড়াল। সাংবাদিক সাহেব কৌতুহল ঢাকতে পারলেন না। ছেলেটিকে জিজ্ঞাস করলেন - এ কাজ কেন করলে খোকা? খোকা উত্তর দিল- বন্টন তো ওখান থেকে হচ্ছে। উনাদের হাতে থাকলে বন্টনে সমতা আসবে। তাছাড়া লাইনে আমার চেয়েও বেশী ক্ষুধার্ত লোক থাকতে পারে।
সহানুভুতিশীল হতে গিয়ে বন্টনে অসমতা এনেছেন- এই ভেবে সাংবাদিক সাহেবের পাপবোধ হলো। এই ছেলের কাছে কি বলে ক্ষমা চাইবেন ভাষা হারালেন।
--
যাদের জাপান সম্পর্কে ধারণা আছে তারা সবাই জানেন...যদি ট্রেনে বা বাসে কোন জিনিস হারিয়ে যায়, অনেকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন, ঐ জিনিস আপনি অক্ষত অবস্থায় ফেরত পাবেন। গভীর রাতে কোন ট্রাফিক নেই, কিন্তু পথচারী ঠিকই ট্রাফিক বাতি সবুজ না হওয়া পর্যন্ত পথ পার হচ্ছেন না। ট্রেনে বাসে টিকিট ফাকি দেয়ার হার (%) প্রায় শুন্যের কোঠায়। একবার ভুলে ঘরের দরজা লক না করে এক বাংলাদেশী দেশে গেলেন মাস খানেক পর এসে দেখেন, যেমন ঘর রেখে গেছেন, ঠিক তেমনই আছে।
এই শিক্ষা জাপানীরা কোথায় পায়?
সামাজিক শিক্ষা শুরু হয় কিন্ডারগার্টেন লেভেল থেকে। সর্বপ্রথম যে তিনটি শব্দ এদের শিখানো হয় তা হলো-
কননিচিওয়া (হ্যালো) - পরিচিত মানুষকে দেখা মাত্র হ্যালো বলবে।
আরিগাতোউ (ধন্যবাদ) - সমাজে বাস করতে হলে একে অপরকে উপকার করবে। তুমি যদি বিন্দুমাত্র কারো দ্বারা উপকৃত হও তাহলে ধন্যবাদ দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।
গোমেননাসাই (দুঃখিত) - মানুষ মাত্রই ভুল করবে এবং সেই ভুলের জন্য ক্ষমা চাইবে।
এগুলো যে শুধু মুখস্ত করে শিখানো হয় তা না। বাস্তবে শিক্ষকরা প্রো-এক্টিভলি সুযোগ পেলেই ব্যবহার করবেন এবং করিয়ে ছাড়বেন।
সমাজে এই তিনটি শব্দের গুরুত্ব কত তা নিশ্চয়ই অনুধাবন করতে পারছেন। এই শিক্ষাটা এবং প্রাকটিস ওরা বাল্যকাল থেকে করতে শিখে। আমাদের রাজনীতিবিদরা বাল্যকালটা যদি কোন রকমে জাপানের কিন্ডারগার্টেনে কাটিয়ে আসতে পারতেন।
কিন্ডারগার্টেন থেকেই স্বনির্ভরতার ট্রেনিং দেয়া হয়। সমাজে মানুষ হিসাবে বসবাস করার জন্য যা দরকার - নিজের বই খাতা, খেলনা, বিছানা নিজে গোছানো; টয়লেট ব্যবহার, পরিষ্কার করা; নিজের খাবার নিজে খাওয়া, প্লেট গোছানো ইত্যাদি। প্রাইমারী স্কুল থেকে এরা নিজেরা দল বেধে স্কুলে যায়। দল ঠিক করে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ট্রাফিক আইন, বাস ট্রেনে চড়ার নিয়ম কানুন সবই শিখানো হয়। আপনার গাড়ি আছে, বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে আসবেন, উল্টা আপনাকে লজ্জা পেয়ে আসতে হবে।
ক্লাস সেভেন থেকে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যেতে পারবে। ক্লাসে কে ধনী, কে গরীব, কে প্রথম কে দ্বিতীয় এসব বৈষম্য যেন তৈরী না হয় তার জন্য যথেষ্ট সতর্ক থাকেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ক্লাসে রোল নং ১, মানে এই নয় যে একাডেমিক পারফরম্যান্স সবচেয়ে ভাল। রোল নং তৈরী হয় নামের বানানের ক্রমানুসারে।
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতার সমস্ত আইটেম গুলো থাকে গ্রুপ পারফরম্যান্স দেখার জন্য - ইন্ডিভিজুয়েল নয়। সারা স্কুলের ছেলে মেয়েদের ভাগ করা হয় কয়েকটা টা গ্রুপে- সাদা দল, লাল দল, সবুজ দল ইত্যাদি। গ্রুপে কাজ করার ট্রেনিংটা পেয়ে যায় খেলাধুলা জাতীয় এক্টিভিটি থেকে। এই জন্যই হয়তো জাপানে বড় লিডার তৈরি হয়না কিন্তু গড়ে এরা সবার সেরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার আগে ১২ বছর শিক্ষাটা সম্ভবত ইউনিভার্সেল। আমাদেরটা হলো ৫ +৫ +২ অর্থাৎ প্রাইমারী ৫ বছর, হাইস্কুল ৫ বছর তারপর কলেজ ২ বছর। জাপানে ৬+৩+৩। শতকরা ১০০ ভাগ শিশুই ৬ বছর বয়সে প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হয়। কারো বয়স জানতে হলে সিম্প্লি জিজ্ঞাস করুন কোন ক্লাসে পড়ে। তার সাথে ৫ যোগ করে ফেলুন।
১৮ বছর বয়সে এরা সমাজে অনেকটা প্রাপ্ত বয়স্ক-র স্ট্যাটাস পেয়ে যায়। এই স্ট্যাটাসে তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালাতে পারে। ছেলেরা বিয়ে করতে পারে (মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৬ বছর)। ২০ বছর বয়সে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রাপ্ত বয়স্কে পা দেয় এবং ভোট দিতে পারে।

[Collected]

Tuesday, July 26, 2016

ভাঙা মন

পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সস্তা দরে বিক্রী হয় মানুষের ভাঙা মন। আর মন তখনই ভাঙে যখন সে মন কাওকে ভালোবাসতে জানে। যে ভালোবাসতে জানেনা তার মন হাজার চেষ্টা করেও তুমি ভাংতে পারবেনা। তুমি চলে যাবে হাসতে হাসতে সে দুদিনের মাথায় অন্য কারো হবে!

আর তুমি? ভাঙা মন?  তোমার ভাঙা মনে রোজ চাপ চাপ কষ্ট জমা হবে। চোরা বালিতে তলিয়ে যাওয়ার মত করে হারিয়ে যাবে তুমি ! যতবারি তুমি বেরিয়ে আসতে চাইবে ততোবার আরো গভীরে তলিয়ে যাবে।  তোমার চার পাশে একটা দেয়াল তৈরি হবে,কাটার দেয়াল। মুক্তির নেশায় বার বার তুমি সে দেয়ালে ক্ষত বিক্ষত হবে। বার বার তার প্রতি ঘৃনায় তোমার মুখ বাঁকিয়ে আসলেও সুন্দর স্মৃতি গুলো তোমায় কাঁদিয়েই যাবে।

কিছুতেই তুমি মানতে পারবেনা মানুষটা আজ বদলে গেছে! তোমার বার বার মনে হবে ভয়ংকর কোনো দু:স্বপ্ন দেখছো একটু পরেই সব ঠিক হয়ে যাবে।  এত কিছুর পরেও সে এসে বলবে আমার ভুল হয়ে গেছে আর তুমি তাকে ক্ষমা করে দিবে।

সে আর কোনোদিন আসবেনা! অনেক গুলো রাত অসস্র অশ্রু ঝড়িয়ে একদিন তুমি স্বাভাবিক হবে। তোমার জীবনে আবার নতুন কেউ আসবে। ভাঙা মনের সব চেয়ে বড় দোষ হলো এরা বার বার প্রেমে পড়ে! কাওকে ভোলার জন্য আবার নতুন করে কাওকে বিশ্বাস করে। অথচো বোকা মন জানেনা ভাঙা মনের মুল্য কত সস্তা। যে মানুষটা তোমার চোখের পানি মুছে দিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখাবে একদিন সে মানুষটাও তোমায় লুটে পুটে ছুঁড়ে ফেলে দিবে! যাকে তুমি নতুন করে ভালোবেসেছো সে তোমায় ভালোবাসেনি তোমার ভাঙা মনের সুযোগ নিয়েছে মাত্র!

একটা কথা জেনে রাখো যতক্ষন তুমি তোমার নিজেকে না বদলাবে কেউ তোমায় বদলে দিবেনা। মনের কষ্টে তুমি তোমার ভাঙা মনের ঠিকানা অন্য কাওকে দিচ্ছ। ভেবে আছো সে হয়তো তোমার ক্ষত সারিয়ে দিবে! আসলে তুমি তোমার মনের ফাঁটলটা তাকে চিঁনিয়ে দিচ্ছ, সে ঠিক পুনরায় ওই ফাটলটাতেই আঘাত হানবে। এবার তুমি শুধু ভাঙবে না চুরমার হয়ে যাবে।

হাতের মুঠি শক্ত করে একবার তুমি ভাবো, তোমার থেকে তোমায় আর কে বেশি ভালোবাসে? এইযে তুমি কষ্ট পাচ্ছ তার চলে যাওয়া দেখে, আসলে তুমি তার চলে যাওয়া দেখে কষ্ট পাচ্ছনা, কষ্ট পাচ্ছ নিজের একলা জীবনের কথা ভেবে।

অতএব যে হাঁরিয়ে গিয়েছে তাকে ভুলে গিয়ে নিজেকে ভালবাস। ভাঙা মনের সবচেয়ে বড় গুন কি জানো?  একবার যদি এই মন আবেগটাকে জেদে বদলাতে পারে তাহলে এই মন সবার ধ্রা ছোঁয়ার ঊর্ধে যেতে পারে। এমন কিছু করো যাতে দশ জন তোমার দিকে তাঁকিয়ে থাকে। তবেই এমন একদিন আসবে দেখবে সেদিন যে মানুষটার কথা ভেবে রাতের পর রাত বালিশ ভিজিয়েছ তার কথা ভেবেই তোমার হাসি পাবে। ফেলে আসা ক্ষত বিক্ষত জীবনটাকে তোমার পাগলামি মনে হবে।

মৃত ব্যক্তিকে স্বপ্নে দেখলে

পরকালে কোন মানুষ কি অবস্থায় আছে তা একমাত্র আল্লাহ পাক ছাড়া কেউ বলতে পারে না। তবে অনেকেই ঘুমের মধ্যে মৃত ব্যক্তিকে স্বপ্ন দেখেন। ধরে নেয়া হয় স্বপ্নের মাঝে মৃত ব্যক্তিকে যে অবস্থাতে দেখা যায়, ওটাই তার প্রকৃত অবস্থা।

অর্থ্যাৎ যদি কেউ মৃত ব্যক্তিকে ভাল পোশাক পরা অবস্থায় বা সুস্বাস্থের অধিকারী দেখে, তাহলে বুঝতে হবে সে ভাল অবস্থায় আছে। আর যদি জীর্ণ, শীর্ণ স্বাস্থ্য বা খারাপ পোশাকে দেখে তাহলে বুঝতে হবে, ভাল নেই। তার জন্য তখন বেশি করে মাগফিরাত কামনা ও দোআ-প্রার্থনা করতে হবে।

ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, বিদ্রোহীরা যখন উসমান (রা)- এর বাসভবন ঘেরাও করেছিল, তখন উসমান (রা) বলেন, আমি গত রাতে স্বপ্ন দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, উসমান আমাদের সাথে তুমি ইফতার করবে। আর ঐ দিনই উসমান (রা) শহীদ হলেন। (আল কাওয়ায়েদুল হুসনা ফী তাবীলির রুইয়া : শায়খ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আস সাদহান)

আনাস ইবনে মালেক (রা) থেকে বর্ণিত, আবু মূসা আশ আশআরী (রা) বললেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমি একটি পাহাড়ের কাছে গেলাম। দেখলাম, পাহাড়ের উপরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রয়েছেন ও পাশে আবু বকর (রা)। আবু বকর (রা) তার হাত দিয়ে ওমর (রা) এর দিকে ইশারা করছেন। আমি আবু মূসা (রা) এ স্বপ্নের কথা শুনে বললাম, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। আল্লাহর শপথ! ওমর (রা) তো মারা যাবেন! আচ্ছা আপনি কি বিষয়টি ওমর (রা) লিখে জানাবেন?

আবু মূসা (রা) বললেন, আমি ওমর (রা) তার জীবদ্দশায তার নিজের মৃত্যু সংবাদ জানাব, এটা কি করে হয়? এর কয়েকদিন পরই স্বপ্নটা সত্যে পরিণত হল। ওমর (রা) শহীদ হয়ে গেলেন। কারণ, মৃত্যু পরবর্তী সত্য জগত থেকে যা আসে, তা মিথ্যা হতে পারে না। সেখানে অন্য কোনো ব্যাখ্যা দেয়ার সুযোগ নেই। (আল কাওয়ায়েদুল হুসনা ফী তাবীলির রুইয়া : শায়খ আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ আস সাদহান)

তাই মৃত ব্যক্তিকে স্বপ্নে দেখলে সর্বাবস্থায় জরুরিভাবে তাদের জন্য দো‘আ ও ছাদাক্বা করা উচিত। মানুষের স্বপ্ন তিন ধরনের হয়ে থাকে (ক) ভাল স্বপ্ন- যা আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ বহন করে (খ) শয়তানের পক্ষ থেকে- যা মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলে (গ) নিজের খেয়াল ও কল্পনা- যা স্বপ্নে দেখা যায় (মুসলিম হা/২২৬৩)।

স্বপ্নে ভাল কিছু দেখলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবে। চাইলে অন্যকেও সে বিষয়ে অবহিত করবে। আর খারাপ কিছু দেখলে শয়তান থেকে আশ্রয় চাইবে, বাম দিকে তিনবার আঊযুবিল্লাহ বলে থুক মারবে এবং পার্শ্ব পরিবর্তন করবে। কাউকে সে বিষয়ে বলবে না (বুখারী হা/৭০৪৫)।

Monday, July 18, 2016

কেমন কষ্ট

কষ্ট পুষি বুকের ভিতর
দিন গেলে যায় দিনের
যায় মুচড়ে আষ্টে পিষ্টে
হৃদয় জ্বলে দেখার কষ্টে

আমার আমার কি যা
ছিল কখন আমার তা
আমার কেন এতো কষ্ট
ভালবাসা এখন কি নষ্ট

ফিরেও চাইনি অন্য পাশ
ছিলনা কোন অভিলাষ
বার বার কেন দেখি প্যারিস
আমি কেন হব মেনিলাউস

কষ্ট পুষি বুকের ভিতর
রাত গেলে যায় রাতের
কেমন ভালবাসার চাষ
অবিরত কষ্টে বসবাস

Saturday, July 16, 2016

গানেরই খাতায় স্বরলিপি

গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে বল কি হবে
জীবন খাতার ছিন্ন পাতায়
শুধু বেহিসাবে পরে রবে।।

মন নিয়ে লুকোচুরি খেলে
কোনদিন যাবে পথে ফেলে।।

ফুরাবে আমার এ গান যবে
আমায় কি গো ডেকে নিবে
জানি নেবে না, নেবে না, নেবে না।

যে কুড়ায় কাঁচের গুড়ো
পথের ধারে ঘিরে ফেলে
আচঁলে চন্দ্র ঢেকে
সে হয় খুশি পিদিম জ্বেলে।

গান শুনে ভাল লাগে যারে
এত দেখে চিনো নিকো তারে।।

ঠিকানা তোমার বল কবে
সুরের রেখায় একে দেবে
জানি দেবে না, দেবে না, দেবে না।

Monday, July 04, 2016

ছুয়ে দাও

আমি ভালবাসি তোমায়
খু্ব গোপনে সন্তর্পণে
আমি দেখি তোমায়
অপলক অতৃপ্তি নয়নে

আমি হাত ধরি তোমার
বুঝে নেই শিরা উপশিরা
গালটাকে আলতো ছুয়ে
করি আরো রক্তিম ধারা

আমি কোমরে স্পর্শ করি
তুমি কি বুঝে নেও বন্ধন
যখন আমায় ছুয়ে দাও
বাঁধা মানে না হৃদ স্পন্দন