Tuesday, March 29, 2016

আমার দীঘি

তুমি কি জান দীঘি কেমন
আমি জানি তুমি জাননা
দীঘির প্রতিবিম্ব দেখতে
মেঘ মুক্ত আকাশ লাগে

আমিত আকাশ নই
ঘন কাল বিজলী ভরা
শীলা সহ বাদল আমি
শুধু ভাসিয়ে দিতে পারি

দীঘি তারপরও অবিচল
শুধু অথই স্তব্দ জল
তুমি কি জান দীঘি কেমন
তুমি কখনো দেখনি তাকে

আমি জানি দীঘির নিস্তব্ধতা
কেউ কি জানে তার গভীরতা
কি কোথায় আছে সযতনে
কার কি কখন প্রয়োজনে

আমি দেখি দীঘিকে
বলতে পারো প্রতিদিন
অপলক চেয়ে থাকি
দীঘি তুমি কি ভাবে পারো

Sunday, March 27, 2016

ভালবাসি কথাটা হয়নি বলা

ভালোবাসা মানে কি কেবল স্ত্রীকে রাশি রাশি উপহার দেয়া, দামী রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়া কিংবা এখানে-সেখানে ঘোরা প্রতিদিন? একদম কিন্তু নয়! এসব দিয়ে কিছু মেয়েকে খুশি করা যায় বটে, কিন্তু বেশিরভাগ মেয়েই খুশি হয়ে থাকেন একদম সাধারণ কিছু ভালোবাসায়। হয়তো আপনার কাছে সেটা খুবই আনরোমান্টিক বা মূল্যহীন, কিন্তু মেয়েদের কাছে বিষয়টির মূল্য অনেক বেশি।

জেনে নিন এমন কিছু কাজ সম্পর্কে, যেগুলো করার মাধ্যমে খুব সহজেই জিতে নিতে পারবেন আপনি পছন্দের মেয়েটির মন। এবং সহজে আর অন্য কোন পুরুষ স্থান করে নিতে পারবে না সেই মনে। আর হ্যাঁ, আপনাদের ভালোবাসা হয়ে উঠবে অনেক বেশি মজবুত ও সুন্দর।

চুম্বনটি হোক ভীষণ আন্তরিক :-
অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন, চুমু তো আন্তরিকই হয়! চুমু খাওয়ার সময় তাঁর সুন্দর মুখটি নিজের দুহাতে কোমল করে ধরুন। আর অনেকটা সময় নরম করে তাকিয়ে থাকুন। দেখবেন, এই সামান্য জিনিসটি তিনি কি পছন্দই না করছেন। একটু লজ্জা পাচ্ছেন, আবার একটু খুশিও হচ্ছেন। নারীদের কাছে এই বিষয়টি খুব রোমান্টিক।

মাঝে মাঝেই তাঁর মাথায় হাত রাখুন :-
ভালোবাসা মানে শুধু তীব্র প্রেম আর দৈহিক আকর্ষণ নয়। একদম সাধারণ একটি স্পর্শও প্রকাশ করতে পারে গভীর ভালোবাসা। তাঁর মাথায় হাত রাখুন, কখনো চুলের মাঝে হাত বুলিয়ে দিন, মুখে চুল এসে পড়লে আলতো করে সরিয়ে দিন। আপনার এই ভালোবাসার ছোট্ট আচরণ তাঁর মনে তৈরি করে নেবে বিশাল একটি জায়গা।

তাঁকেও সুযোগ দিন আরাম করার :-
আপনার স্ত্রী নিশ্চয়ই সারাদিন কাজ করেন বাসায়? আর কর্মজীবী হয়ে থাকলে তো বাসা-অফিস মিলিয়ে তাঁর অবস্থা নিশ্চয়ই কাহিল! বাড়িয়ে দিন সাহায্যের হাত। চেষ্টা করুন এটা-সেটায় তাঁকে একটু সাহায্য করতে। নিজে রাঁধতে না পারেন, মাঝে মাঝে ডিনারের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে না হয় বাইরে থেকেই খাবার কিনে আনুন। এই একটুখানি আদরে আপনি তাঁর কাছে পাবেন আন্তরিক সম্মান।

দুজনে বাইরে যাচ্ছেন - কি করবেন :-
হয়তো স্ত্রী খুব সেজেগুজে বের হয়েছেন আপনা সাথে বেড়াতে যাবেন বলে। হয়তো সাধারণত রিকশা বা বাসেই চলাচল করেন আপনারা। আজ নিয়ম ভেঙে একটি সিএনজি বা ট্যাক্সি ভাড়া করে ফেলুন। একটুখানি আরামে দুজনে পাশাপাশি উপভোগ করুন খানিকটা সময়। একটা দিন নাহয় তাঁকে বাস বা রিকশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচিয়ে দিলেন।

ভিড়ের মাঝে আগলে রাখুন :-
প্রচণ্ড ভিড় হয়তো বাসে কিংবা মার্কেটে। হয়তো কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন বা সিনেমায় গেছেন, সেখানেও। এই ভিড়ের মাঝে ভালোবাসার নারীকে অবশ্যই একটু আগলে রাখুন। চেষ্টা করুন তাঁকে ঠেলাঠেলি থেকে রক্ষা করতে, হাতটা শক্ত করে ধরে রাখুন। কে কী ভাবল সেসব নিয়ে চিন্তা করবেন না। সে যেন বোঝে যে জীবনের সকল পরিস্থিতিতে আপনি তাঁর পাশেই আছেন।

সবসময় তাঁকে সুন্দর, পরিপাটি থাকার জন্য চাপ দেবেন না :-
হ্যাঁ, তিনিও মানুষ। সবসময় সুন্দর পোশাক পরে পরিপাটি থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। সবসময়ে একজন মানুষকে দেখতে ভালো দেখানো এক কথায় অসম্ভব। তিনি যখন নিজের সবচাইতে খারাপ পোশাকটি পরে আছেন, কিংবা যেদিন তাঁকে দেখতে সবচাইতে বাজে লাগছে, কিংব সাজসজ্জা বিহীন ঘুরতে বেরিয়েছেন- তখনও তাঁকে সুন্দর বলুন। মিথ্যা করে হলেও বলুন। এই ছোট্ট মিথ্যাই তাঁকে নিয়ে আসবে আপনার খুব কাছাকাছি।

ছোট্ট আদুরে জেদ করুন :-
এর অর্থ তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করা নয়, বরং নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করা। কী রকম? যেমন ধরুন তাঁর চোখের কাজল আপনার খুব ভালো লাগে, কিংবা কপালের টিপটা। আদর করে জানিয়ে দিন- "তুমি কিন্তু টিপ না পরে বাইরে মোটেও যাবে না!" এই সামান্য ব্যাপারে তিনি যে কতটা খুশি হবেন আপনার ধারণাও নেই। জীবন একটাই। ভালো থাকুন, ভালো বাসুন।

ভুলবেন না ছোট্ট উপহার :-
তাঁকে অনেক কিছু কিনে দেয়ার সামর্থ্য নিশ্চয়ই আপনার আছে। কিন্তু সেসবের ভিড়ে ছোট্ট কিন্তু প্রিয় উপহার গুলোর কথা ভুলে যাবেন না। একটু ফুল, প্রিয় চকলেট, একটা গান, এক গুচ্ছ চুড়ি কিংবা এক পাতা টিপ- এসবের মাঝে যে রোমান্টিকতা আছে সেসব আসলে আর কিছুর মাঝে নেই।

Friday, March 25, 2016

যে চার বস্তু খুব দরকার

ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর অমূল্য বাণী:-

চার বস্তু শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি করে।
১. গোশত খাওয়া।
২.সুগন্ধির ঘ্রাণ নেওয়া।
৩. অধিক গোসল।
৪. সুতার কাপড় পরিধান করা।
.
চার বস্তু দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে
১. খানায়ে কা'বার সামনে বসা।
২. ঘুমানোর পূর্বে সুরমা ব্যবহার করা।
৩. সবুজ প্রকৃতি দেখা।
৪. পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গায় বসা।
.
চার বস্তু বিবেক বৃদ্ধি করে
১. অনর্থক কথা-বার্তা ত্যাগ করা।
২. দাত পরিস্কার রাখা।
৩. নেককারদের মজলিশে বসা।
৪. উলামাদের শংস্পর্শ অবলম্ভন করা।
.
চার বস্তু রিযিক বৃদ্ধি করে
১. নিয়মিত তাহাজ্জুদ।
২. অধিক পরিমাণ এস্তেগফার।
৩. অধিক পরিমাণ সদকা।
৪. অধিক পরিমাণ যিকির।